যার মেয়ে লোকে, মধ্য খণ্ড । কবে রে ঠাকুর, হলি এত দূর, পোতায় ছিল না ঘর । মাঠে বই রাখে, এত বৃদ্ধি কেন তার ॥ প্রভু দেন গালি, যাহা যাহা বলি, পাগলের বংশে নাই । রঙ্গ বাড়ী থেকে, গালিদেন রুখে, সেই বংশে আছে তাই ॥ চক্র নহে সোজা, চক্ৰী চক্র বোঝা, কিচক্রে কারে ঘুরায় । কুবের ভবনে, আসিয়া তখনে, পাগল নিরস্ত হয় ॥ কুবেরের বাসে, উপনীত যখনেতে । কুবের নারীকে, বলেছেন ডেকে, রায়চাদে দেও খেতে ॥ রায়চাঁদ কয়, খাওয়ালে আমায়, সঙ্গে করে এনেছিলে । , বহু পরিশ্রমে, আসি শিঙ্গাগ্রামে, খুব ভাল খাওয়ালে ॥ শুনিয়া পাগল, বলে হরি বোল, জয় হরি বলে উঠে । রুষিল দুরন্ত, পাবকে উল্কা ছুঠে ৷ কুবেরের ঘরে, আনিতে ঠাকুরে, যুধিষ্ঠির বাড়ী যথা । ঠাকুরে অসিতে, ভক্তিযুক্ত চিতে, কুবের গিয়াছে তথা ॥ পায়স পিষ্টক, . ব্যঞ্জনাদি টক, লাবড়া ডাইল শাক । ঠাকুরে আনিতে, ভক্তি যুক্ত চিতে, এ দিকে হয়েছে পাক ॥ কুবেরের নায়, উঠে দয়াময়, আসিতেছে তার বাসে । পাগল শুনিয়া, ধাইয়া যাইয়া, ঘাটে দাড়াইল রোষে । রায়চাঁদ এসে, যেমন জলন্ত, ঠাকুরে চাহিয়া, কহিছে ডাকিয়া, আয় দেখি আয় আয় । ঠাকুর কেমন, বুঝিব এখন, কে কেমন দয়াময় ॥ [ २ > ] করিল জহুরী, ×ჯx ঠাকুর আমায়, কেবলে কোথায়, ঠাকুর বানা’লে কেটা । তুই না ঠাকুর, বানালি ঠাকুর, আমি ঠাকুরের বেটা ॥ মানিনে ঠাকুর, আই যে ঠাকুর, শতেক ঠাকুর এলে । ঠাকুরে দেখিব, আজ কি ছাড়িব, ঠাকুর ডুবা”ব জলে ৷ তুই যাস্ যখ, আমি নাহি তথা, একথা ভাবিস কেনে । - যাই কিনা যাই, দেখাইব তাই, জানিতে পারিবি মনে ॥ বক্ষঃ বিদারিয়া, দিব দেখাইয়া, তেমন নিৰ্ব্বেtধ নয় । পর দেহ ধরি, কার দেহ চিরি, অধিকার নাহি তায় ॥ তার একজন, পবননন্দন, হৃদি বিদারী দেখায়। তাতে লাজে মরি, পশু শিশু আমি নয় ॥ যে জানে অন্তর, চিরিয়া অন্তর, অন্তর দেখাতে হয়। সে রহে অন্তরে, না রহে অন্তরে, অন্তরের ধন নয় ॥ থাকিয়। অন্তরে, কি জেনে অন্তরে, - মারিস অন্তর হয়ে । কে তোর আপিন, বুঝিব এখন, আয় দেখি নাও বেয়ে। দিব জলাঞ্জলী, সব ঠাকুরালী, যা থাকে আমার ভাগ্যে ৷ বুঝিব ক্ষমতা, আt'জ সেই ত্রেতা, দেখুক ভকত বর্গে ॥ এক এক বার, ভীষণ চীৎকার, কহিছে সাররে সার । অধরোষ্ঠ কম্পে, এক এক লম্ফে, ভূমিকম্পে লম্ফে তার ॥ ঠাকুর দেখিয়া, ভয় ভীত হৈয়া, কহিছে কুবের ঠাই । চেয়ে দেখ আড়ি, আজ তোর বাড়ী, গিয়া মম কাজ নাই ॥
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।