一一=飞 _一一一飞 i i i | #. | l t § i i i | | >やや শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত। হেন কালে হুঙ্কারিয়া পাগল দাড়ায়। গোবিন্দ মাজীর বাড়ী দৌড়াইয়া যায় ॥ তিনখান গামছা করিয়া একত্তর । গামছা রাখিল এক থালার উপর ॥ আটিয়া ধরেছে পেট কয়ট দোহারে। গামছা ধরিয়া রাখে পেটের উপরে ॥ থালা এক পাশ্বে রাখে পেটের বাহির । বলে অঙ্গ বেদনায় হ’য়েছি অস্থির ॥ তারকেরে কহে থালে জল ডালি বারে । দেখি তায় ব্যথা মোর শীতল নি করে ॥ তখন তারকচন্দ্র বলে হরিবল । থালার উপরে ঢালে চারি ঘট জল । চারি ঘটী পরিমাণ দশ সের জল । থালার উপর শুষ্ক হইল সকল । বেদনায় যাতনায় অগ্নিতাপ উঠে। সেই তাপে জল সব শুষ্ক হ’য়ে পেটে । গোস্বামীর বক্ষঃস্থল সাপুটে ধরিল। তারক সে গামছা উঠা’য়ে চিপাড়িল । জলবিন্দু না পড়িল গামছা হইতে। . মৃতপ্রায় পাগলেরে রাখিল শয্যাতে ॥ বলিল গোবিন্দ মাজী উপায় কি হবে । গোস্বামী মরিলে বল মরা কে ফেলা'বে ॥ তারক কহিছে ওরে হারাম জালিয়া । মরিলে কি তোর বাড়ী যাবরে ফেলিয়। ॥ তোর বাড়ী লীলা সাঙ্গ কর। অসম্ভব। মরিলে কি দেহ তোরে স্পর্শ করিতে দিব ॥ তোর এই বাড়ী ভরে কে করে প্রস্রাব । গোস্বামী কহেন তোর বাক্যে হ’ল পাপ ॥ এতবলি গোস্বামী উঠিল ক্রোধভরে । দৌড়াইয় গেল গোলোক মাঙ্গীর ঘরে ॥ কহিছে গোলোক মাঙ্গ আমার বাটতে। থাকুক গোস্বামী মোর। থাকিব সেবাতে ॥ দিবা গেল রাত্রি গেল হইল প্রভাত। গোস্বামী বলেন যাব তারকের সাথ ॥ জয়পুর ঘাট আমি বড় ভালবাসি। ইচ্ছ। হয় নবগঙ্গা নদীমধ্যে পশি ॥ মনের যে কষ্ট মোর সব হবে দুর। এখন অবশ্য আমি যাব জয়পুর। তারকের পানে চাহি কহিছে গোলোক । তুমি যদি পুত্র মোর হইতে তারক । তুমি যদি হইতে আমার পুত্ৰধন। তাহলে অনেক কাৰ্য্য হইত সাধন ॥ আমি আর তোমারে যে বলিব না দাদা । তারক বলিয়। আমি ডাকিব সৰ্ব্বদ ॥ গোস্বামী কহে তারক আর কিবা চাও। মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হোকু তুমি পুত্র হও। তারক তারক বলি ডাকে বার বার । এক মধ্যে দাদা বলে ডাকে অীর বার | উন্থ উহু করি তবে উঠিল গোঁসাই। ডাকিব তারক বলে তাহ মনে নাই ॥ ভাবি যে তারক বলে ডাকিব সৰ্ব্বদ। মনেভাবি পুত্ৰ ভাব মুখে আসে দাদা ॥ ভুল ক্রমে যাহা কহি তাতে নাহি লাজ । আমার অসন্ন কালে কর পুত্র কাজ। হেন ক’লে স্থৰ্য্য নারায়ণ কেঁদে কয় । আসন্ন সময় যদি ভগব মহাশয় ॥ পুত্র আছে নিবারণ নারিকেলবাড়ী । এসময় কি জন্য তাহারে এলে ছাড়ি ॥ দশরথ মহানন্দ আছে বৰ্ত্তমানে । পিতা হ’তে অধিক তাহারা সবে মানে ॥ সেই দেশে জ্ঞাতি বন্ধু আছয় প্রচুর। তাহা ছাড়ি কি জন্য যাবেন জয়পুর। গোসাই বলেন মোর জ্ঞাতি বন্ধু নাই। মনের মানুষ যেই তার সঙ্গে যাই ॥ গৃহিণী থাকিলে হয় গৃহস্থ তাহার। কেবা কার পুত্র হয় কেবা কার দার। পুত্র বটে নিবারণ ভালবাসি মনে । মোর পুত্র আমি তাহা বলিতে পারিনে ॥ আছে মহানন্দ দশরথ দুটি ভাই । এ সময় যাই যদি তাহীদের ঠাই ॥ মহানন্দ আছে সেই এক কি করিবে ! এত উপদ্রব একা কেমনে সহিবে। তাই মনে ভাবি সবে না বুঝিবে ইহা । জয়পুর যাইতে সে হেতু মনে পৃহা ॥ হরিচাদ তরাইবে এই ভবসিন্ধু ॥ হরি মাতাপিত ভ্রাতা পুত্র জ্ঞাতি বন্ধু । বাসনা দেখিতে বড় তারকের মুখ । জয়পুর গেলে আমি পাই বড় সুখ । এত বলি খেপাচাদ উঠিল খেপিয়।। কিসের বেদন মোর গিয়াছে সারিয়া ॥
4.