f t
পিতা যান লোকান্তরে ॥ পাচের প্রবীণ, পরিল কৌপিন, . না করিল পরিণয় । হয়ে গৃহ ত্যাগী, হইল বৈরাগী, * ভিক্ষা মাগী সদা খায় ॥ কিছু দিন পরে, গ্রাম শিবপুরে, আখড়ায় বাল করে । যত সব লোকে, তার ক্রিয় দেখে, ঠাকুর বলেন তীরে ॥ লোচন গোসাই, দেখে শুনে তাই, ভাই গেল গৃহ ত্যজি । আমি কি সুখেতে, থাকিব গৃহুেতে, সংসার ভোজের বাজী ॥ বাল্যকালাবধি, করে নিরবধি, হাই ছাড়ে কৃষ্ণনাম । কৃষ্ণ বলে সদt, আর বলে দাদা, কেন মোরে হ’ল বাম ॥ ডাকি একদিনে, ভাই তিন জনে, কহেন মধুর ভাষে । - আমিও বৈরাগী, হই গৃহত্যাগী, সবে সুখে থাক বাসে ॥ লোচন জননী, নামেতে আছানী, কথা শুনে মাত কয় ! বাছারে লোচন, শুনিয়া বচন, • জীবন জলিয়া যায় ॥ জনক তোমার, হ’ল লোকান্তর, সহোদর তব জ্যেষ্ঠ । দুঃপিনী দেখিয়া, গিয়াছে ছাড়িয়া, #. অন্তরে অনন্ত কষ্ট । - কিছু দিন পর, মাতা লোকান্তর, সাধু পেল অবসর । পরিয়া কৌপিন, হৈল উদাসীন, দীনহীন ক্ষুদ্রতর। - মেগে খায় ভিক্ষ, নাহি দীক্ষা শিক্ষা, নিজেই কৌপিনধারী। হ। গুরু বলিয়া, ডাক ছেড়ে দিয়া, হইল দীন ভিখারী ॥ ১৭২ শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত । পাচটী নন্দন, সকলে সুজন, কালো রূপ আলো, বরণ শু্যামল, শ্ৰেীকৃষ্ণ ভজন করে । নীল কমল শরীর। পঞ্চ সহোদর, ভজনে তৎপর, দ্বিবাহু লম্বিত, অতি সুললিত, নাভীপদ্ম সুগম্ভীর ॥ শ্রীরামলোচন, কহে কোন জন, নামে লোচন প্রকাশ । কখন কখন, কহে কোন জন, শ্রীরামলোচন দাস ॥ হা গুরু গোঁসাই, বলে ছাড়ে হাই, কখন কহিত দাদা। মোর এ সময়, থাকি বা কোথায়, হৃদয় থাকিও সদ। ॥ সাধু লোক সব, বলেন বৈষ্ণব, হইল বৈষ্ণবোপাধি । . কাটি কৰ্ম্মভোগ, ত্যজি গুiসযোগ, মহীরোগ নিল ব্যাধি ॥ হস্ত পদাঙ্গুল, হ’ল স্থল স্থল, ক্ষত হ’য়ে গেল খসি । ছিল মাত্র রেখা, কাঠের পাদুক। পায় বঁধে দিয়া রসি ॥ বৃদ্ধ পদাঙ্গুল, ছিলমাত্র মূল, হস্তের তর্জনী মূৰ্দ্ধ। শ্ৰীকর যুগলে, চতুর অঙ্গুলে, র’ল মাত্র অৰ্দ্ধ অৰ্দ্ধ । ক্লেদ শুকাইল, ক্ষত সেরে গেল, রহে চিহ্ন অন্যাঙ্গুল ! নাশ চক্ষু লাল, বদন আমল, দত্ত যেন কুন্দকুল ৷ মুখে নাহি ক্ষত, কমল শোভিত, অধরে অধর হাসি। অধরোষ্ঠ প্রান্তে, কুন্দ সম দন্তে, হাসিতে খসিত শশী ॥ শরীর মাঝেতে, স্থানেতে স্থানেতে, ইচ্ছায় করিত ক্ষত । একঘ সারিত, আর ঘা করিত, রক্ত ক্লেদ বহির্গত ॥ কখন নৌকায়, যান কখন কখন । ক্ষুধার সময়, হইত যথায়, তথা করিত ভোজন ॥ शृश्ष्ट्र अनिम्न,
