〉qS দশদিন একপক্ষ কিম্বা মাসান্তর । একারস্তে থাকিয় যাইত পুনৰ্ব্বার ॥ কোলা গ্রামে যাইতেন সাধনার ঘরে । দিন দশ দ্বাদশ থাকিত তথা কারে ॥ তারকের হ’ত যদি দেখিবারে মন । কোলা গ্রামে গিয়া করিতেন দরশন ॥ সাধনার বাটী ভক্তি পাইত প্রচুর। দশ বারে। দিন পরে যেত জয়পুর ॥ কোলা গ্রামে বসতি নামেতে আরাধন । আরাধন দশরথ ভাই দুইজন ॥ ভোলানাথ খুল্লতাত দশরথ নামে । বড়ই মুখের বাস ছিল কোলা গ্রামে ॥ তার জেষ্ঠ তনয় নামেতে নবকৃষ্ণ । মথুরানাথ নাযেতে তাহার কনিষ্ঠ । আরাধন পুত্র ভোলানাথ নামধর । দশরথ নন্দন যাদব কোটশ্বর । দশরথ গৃহিনী সে ফেলীনামে ধনী। গোস্বমীকে বড় ভক্তি করিতেন তিনি ॥ তাহাকে লোচন ডাকিতেন ম৷ বলিয়ে। ডাক শুনিতেন মাতা অতি হর্য হ’য়ে ॥ যাদবের মা বলিয়৷ ডাকিত কখন । জেঠী বলে কখনে করিত সম্বোধন ॥ শ্ৰীনব কৃষ্ণের চরিপুত্র দুই কন্যা। জেষ্ঠ কহু সাধনা সাধনে বড় ধন্ত ৷ সনাতন নামে ছিল ইহাদের জ্ঞাতি । এক বাড়ী তিন ঘর করিত বসতি ॥ তিন ঘর গৃহস্থ একটা বাড়ী পর। নাহি ভিন্ন ভাব যেন ছিল একতর ॥ গণনাতে লোক ত্রিশ উনত্রিশ জন । ছোট বড় নামে প্রেমে মত্ত সৰ্ব্বজন ॥ তার মধ্যে সাধনা নামেতে ছিল যিনি। সাধনে তৎপর ছিল যোগেতে যোগিনী ॥ অন্নত্যাগী ফলাহারী নিদ্রা না যাইত। শীত কালে শয্যাতে না শয়ন করিত ॥ কট বেড়। বাসমত্রে গায় নাহি দিত। ভুমে বাস যোগাসনে যোগেতে বসিত। কোলা গ্রামে গোস্বামী লোচন দেব আসি । সাধনার নিকট থাকিত অহনিশা ॥ অমায়িক মায়া বাৎসল্যের একশেষ । গোস্বামী সঙ্গেতে বঞ্চে নাহি কোন ক্লেশ ॥ শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত । কোন কোন দিন যাইতেন ভিক্ষা জন্য । জ্ঞান হত বাড়ী যেন হইয়াছে শূন্ত । সবে চেয়ে রহিত গোসাই আশা পথে । শান্ত হ’ত গোস্বামীজী আসিলে বাটীতে । গৃহ কাৰ্য্য করে থাকে গোস্বামী আশায়। গোসাই আসিলে বড় হরষিত হয় ৷ পুরুষেরা কাৰ্য্যান্তরে যাইত যখনে । গোস্বামীর কাছে যা’ব সদা ভাবে মনে ॥ দিবা ভরি কার্য্য করি যবে সন্ধ্যা হ’ত । গোস্বামী নিকটে এসে সকলে বসিত ॥ প্রেমণবিষ্ট অকুক্ষণ থাকিত সবায়। বাহ হার হ’য়ে কোন নিশী গত হয় ॥ এইভাবে জয়পুর থাকেন গোসাই । সময় সময় যেত সাধনার ঠাই ॥ যেই ভক্ত সেই হরি ভজ নিষ্ঠা করি । ৯ নামের সহিত আছে আপনি শ্ৰীহরি ॥ মহানন্দ চিদানন্দ রচিতে পুস্তক। আদেশে প্রকাশে কবি রসনা তারক ৷ অবিশ্বাসী দ্বিজের ভ্রান্তি মোচন। পয়ার । মাঝে মাঝে যান প্রভু তিক্ষা করিবারে। ভিক্ষণ করি আদিতেন বেল দ্বিপ্রহরে ॥ একজন দ্বিজ তার বাড়ী উলা গ্রাম। গৃহস্থ ব্রাহ্মণ তিনি ষষ্ঠী চন্দ্র নাম । কোল। গ্রামে এসেছিল সাধনা বাটতে । দেখিলেন গোস্বামীকে ভকতি করিতে ॥ তাহা দেখি ব্রাহ্মণের মনে হ’ল বৃণ। একে যে ভকতি করে নিৰ্ব্বোধ সে জনা ॥ অল্প বুদ্ধি বিদ্যাহীন নমঃশূদ্র জাতি। কারে কি জানিয়; এরা কহিছে ভকতি ॥ সাধনার পিতাকে বলেন সে ব্রাহ্মণ । ইহাকে ভকতি কর কিসের কারণ ॥ ফুেয়ে তব সতী সাধ্বী যোগিনীর প্রায়। কি লাগি দিয়াছ সপে ও টুণ্ডার পায় ॥ তাহাগুনি নবকৃষ্ণ কহে ব্রাহ্মণেরে । সাধু সেবা সবে মিলে করি হর্ষান্তরে ॥ কৃষ্ণ তুল্য ব্যক্তি ইনি গ্রন্থে লেখে এই। সৰ্ব্ব রোগী ভোগী ত্যাগী কৃষ্ণ তুল্য সেই ॥
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।