ব্রাহ্মণ কহিছে ভাল পেয়েছ গোসাই । মুহাপাপে মহারোগ হস্ত পদ নাই ৷ নব কৃষ্ণ ক্রোধ ভরে কহে ব্রাহ্মণেরে ॥ সাধু নিন্দ কর ন৷ এ বাড়ীর উপরে ॥ ব্রাহ্মণ চলিল বড় বিমর্ষ মনেতে । কি বুঝিয়া সাধু বলে না পারি বুঝিতে । ক্রোধ দেখি দ্বিজবর অবাক হইল । সাত প{চ ভেণে শেষে বাড়ী চলে গেল । অীর একদিন প্রভু আসে উল হ’তে । আমাদায় গিয়াছিল ভিক্ষার জন্তেতে । উলার কুঠির পরে দ্বিজবর ছিল। গোসাই এসেছে বেগে দেখিতে পাইল ॥ দ্বিজ গোস্বামীকে দেখে ভাবিতেছে মনে । টুণ্ড বেটা এত বেগে চলিছে কেমনে ॥ দেখিয়া চিনিল এই সেই টুও বেট। অঙ্গেতে গলিত কুষ্ঠ সাধু বলে কেট ॥ দশরধ মণ্ডলের বাড়ী গিয়া রয়। পরম ভকতি করে তাহার। সবtয় ॥ গোস্বামী লোচন আগে ব্ৰাহ্মণ পশ্চাতে । চলিছেন মৌন হয়ে ভাবিতে ভাবিতে ॥ লোচনের শরীর ছিল যে পরিমান। দ্বিগুণ বলিষ্ঠ দেহ করিছে প্রয়াণ ॥ ব্রাহ্মণ দেখিয়া তাহ। গণে চমৎকার । ধাবমান হইল লোচনে দেখিবার ॥ নবীন মেঘের বর্ণ যাইতেছে দেখা । উপরে উঠেছে যেন অনলের শিখ ॥ হস্ত পদাঙ্গুলী দেখে অক্ষত সম্পূর্ণ। নাহি কুষ্ঠরোগ স্বৰ্য্য মেঘেতে আচ্ছন্ন ॥ দেখিয়া ব্রাহ্মণ বড় মানিল বিস্ময় । ভাল করে দেখিবারে ধtধবান হয় ৷ ধরিতে ন পারে, নরে নিকটে যাইতে । যত দূর দূরে আছে ততই দুরেতে ॥ গোস্বামী হাটিছে স্বাভাবিক ব্যবহারে। ব্রাহ্মণ দৌড়িয়া কাছে যাইতে না পারে। ব্রাহ্মণ যাইত দীঘলিয়। নিমন্ত্রণে । জ্ঞান হারাইয়া যায় গোস্বামীর সনে ॥ " গোস্বামী উঠিল নবকৃষ্ণের প্রাঙ্গণে । তামাক খাইব বলে ডাকিল সাধনে ॥ পুরুষ বলিতে কেহ বাড়ীতে ছিল না। যতনে তামাক স্েেজ দিলেন সাধন ॥ - [ ২৩ ] অন্ত খণ্ড । إنتقت تشن عنه عهد . ›ፃፃ ব্রাহ্মণ আসিয়া পরে হৈল উপস্থিত। অমনি লোচন উঠে চলিল ত্বরিত ॥ ভিক্ষণপাত্র রাখি সাধনার নিকটেতে। ঘাটে গিয়া নামিলেন জলের মধোতে ॥ দ্বিজ ষষ্ঠী কহে ধন্য ধন্য তোরা সব । নমঃপূদ্র কুলে জন্ম নমস্ত বৈষ্ণব ॥ মানুষ চিনিয়া সবে হয়েছ মানুষ । ব্ৰহ্মকুলে জন্ম ল’য়ে আমরা বিহুষ ॥ কই সেই টুণ্ড প্রভু গেছেন কোথায় । সাধন কহিছে এই মাত্র ঘাটে যায় ॥ ব্রাহ্মণ যাইতেছিল নদীর ঘাটেতে । স্বান করি আসে ফিরি দেখা হয় পথে ॥ একমাত্র কৌপিন কটিতে দড়ি গ্রন্থী । ‘A. সিক্ত অঙ্গে এসেছেন ক্লান্ত ভাব অতি ॥ পূৰ্ববৎ ক্ষত অঙ্গ অঙ্গুলী বিচ্ছিন্ন। টুণ্ড হস্ত টুও পদ কত ক্ষত চিত্ন ॥ দাদা ! দাদা ! বলিয়া কাতরে ছাড়ে ডাক । দেখিয়া শুনিয়। দ্বিজ হইল অবাক ॥ কি দেখি কি হই কি করিমু ধাৰ্য্য । ব্রাহ্মণ দেখিয়৷ বড় মানিল আশ্চৰ্য্য ॥ হেনকালে ভোলানাথ আসিল বাটীতে । লোচন চলিয়া গেল সাধনার সাথে ॥ সাধনার পশ্চিমের গৃহেতে বসিল । ব্রাহ্মণ অtসিয়া কতক্ষণ চেয়ে র’ল ৷ ফিরে গিয়া বলিলেন ভোলানাথ ঠাই। — দ্বিজ বলে কি বলি আমাতে আমি নাই ॥ দুই চক্ষে বারি ধারা বক্ষঃ ভেসে যায়। ভোলানাথ নিকটেতে কেঁদে কেঁদে কয় ॥ শুন ওহে ভোলানাথ কি বলিব আর । টুও বেটা বলেছিল অবজ্ঞ। আমার ॥ তার প্রতিফল পাইলাম হাতে হতে । আমি যাহ। দেখিয়াছি না পারি কহিতে ॥ ভোলানাথ বলে দ্বিজ কি বলিব| আর । আমার গোঁসাই হয় ব্রাহ্মণ উপর ॥ ওঢ়ার্কাদি বাবা মোর স্বয়ং অবতার। ঘুরে ফিরে লীলা করে চেল বেলা তার । অন্য অন্য যুগে যত অবতার হন। এ যুগের ভক্ত তাহ হ’তে বলবান। টুণ্ড হয়ে থাকে প্রভু আমার বাটতে। বাবা হরিচাদ ভক্ত কে পরে চিনিতে ॥ 3.
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।