& ہمراہ ঐশ্ৰীহরিলীলামৃত l অতিরিক্ত মূল্য তার দুই আন নিল । হাটে গিয়া খোদার নামেতে লুঠ দিল ॥ গোস্বামীর নৌকা মেরামত করিবারে। নৌকা খান উঠাইল নদীর কিনারে । তারক আনিয়া নেীক দিল ধৌত করি । পরিস্কার করে তরী বলে হরি হরি। ধৰ্ম্ম নারায়ণ পুত্র ঈশান নামেতে । নৌকা ধৌত করে তারকের সাথে সাথে । পাড়িল গাছের গাব ঢেকিতে কুটিল । তারক ঈশান দোহে রস বানাইল । সেই রস করিবারে নৌকায় লেপন। তারক গাবের হাড়ি আনিল যখন ॥ লোচম কহিছে ওহে তারক থাকহ । অন্য দিয়া গাব দিব তুমি রহ রহ ॥ গাওনি করিল নৌকা ডাকি ঈশাণেরে । গাব দিতে পাইলেন হৃদয় নাথেরে । , গোসাই দয়াল বড় অভিমান শূন্ত । সে হৃদয় নাথের অবস্থা বড় দৈন্ত । দুই দিন গাব দিল মেরামত করি ॥ তৃতীয় দিবসে জলে ভাসাইল তরী ॥ তারপর ডাকাইল হৃদয়নাথেরে । নৌকা মেরামত মূল্য দিব যে তোমারে। চারি টাকা দিল তারে নিল সে যতনে। তারক বলেরে হৃদে এত নিলী কেনে ॥ হৃদয় বলিল গোস্বামীর পদ ধরি । এত টাকা দেহ কেন মনে শঙ্কা করি ॥ দুই দিন খাটিযাছি পাব অৰ্দ্ধ তঙ্ক ॥ চারি টাকা নিতে প্রভু মনে করি শঙ্ক। গোস্বামী বলেন আমি ভিক্ষা করি খাই । পূজি করে খেতে দিব হেন কেহ নাই। দীন জনে দিব দান এই মোর মন। নীরু ভীরু লোক মোর পুত্র পরিজন ॥ আমি দেই দয়া করে নেও হ’য়ে রাজী ॥ এই টাকা দিয়া কর ব্যবসার পুজি। তারক নীরব হ’ল সে কথা শুনিয়া: | হৃদয় লইল টাকা সন্তুষ্ট হইয়৷ . . ভিক্ষার তণ্ডুল বিক্ৰী করিতে করিতে। ক্রমে চোঁদ টাকাহ’ল গোস্বামীর হাতে ॥ তারকের নিকটে কহিছে বারে বারে। এই টাকা দিয়া আমি ৩াধিব কাহারে ॥ এক দিন সেই চোঁদ টাকা ল’য়ে সাথে । নৌকা বাহি গেল লক্ষ্মীপাশ বাজারেতে ॥ রাধামণি নামে ছিল বৃদ্ধ এক ব্যাশ্য। ’ দিন পাত নাহি চলে না চলে ব্যবসা ॥ গোস্বামী যাইয়। সেই গৃহেতে প্রবেশে । হেসে হেসে কহে তারে মৃদু মৃদু ভাযে ॥ একেবারে বৃদ্ধ নয় এমতি বয়স । বৃদ্ধ মধ্যে গণ্য হয় প্রৌঢ়ার যে শেষ ॥ রাধামণি বাহিরেতে ছিল কাৰ্য্যান্তরে । বারে বারে ডাকে তারে শীঘ্র আয় ঘরে । রাধামণি যেই গেল গৃহের মাঝেতে। সেই চোঁদ টাকা দিল রাধা মণি হাতে ॥ রাধামণি ভীত হ’য়ে বাহিরেতে গিয়ে । নৃত্যমণি ব্যাখ্য' স্থানে বলিল ডাকিয়ে ॥ নৃত্যমণি সেই টাকা গোস্বামীকে দিল । গোসাই বিরস মনে ফিরিয়া আসিল ॥ লোচন আনিয়া টাকা দিল তারকেরে। পরদিন নৃত্যমণি আসিয়া বাজারে । তারকেরে দেখে বলে গোপনেতে ডাকি । কেমন গোসাই তব মোরে বল দেখি ॥ ঘারে তারে ভকতি করেন মহাশয় । , আমাদের তত বড় বিশ্বাস ন হয় ॥ রাধামণি বৃদ্ধ মাগী তার ঘরে এসে । চোঁদ টাকা সাধে আর মৃদু মৃদু হাসে ॥ বলে তোর এখনে ত নাহিক যৌবন। তোর দশ। মোর দশা সমান এখন ॥ তুষ্ট বৃদ্ধ। কি কারণ থাকিস বাজারে। আমি রোগী ভিক্ষা মাগী নগরে নগরে ॥ অর্থ হেতু অনর্থের কিবা প্রয়োজন। তোর ভাল হবে তুই মোর কথা শোন ॥ তারক শুনিয়। তাই নৃত্যকে বলিছে। এ কথায় মধ্যে কিবা দোষ কথা আছে। টাক। যদি সাধিবেন কাম ব্যবহারে । কেন টাকা সাধিলন যুবতী নারীরে ॥ রূপবতী ব্যীশু কত অাছেত বাজারে । কেন বা না গেল সাধু তার এক ঘরে ॥ রূপ নাই গুণ নাই প্রৌঢ় শেষ বৃদ্ধ । এটুক বুঝিয়া দেখ কোন ভাবে শ্রদ্ধা ॥ তাহগুনি নৃত্যমণি গলে বাস দিয়া । বলে অপরাধ ক্ষম সাধুকে আনিয়া ॥
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।