আকার দেখিয়া, লইবা চিনিয়া
বিশুদ্ধ মাধূর্য্য ভাব।
শুদ্ধ প্রেমরসে, তরাইব শেষে,
জগতের জীব সব॥
এতেক শুনিয়া, শোক সম্বরিয়া,
নিজ নিজ স্থানে যায়।
এ বাক্য বিধানে, প্রেমরস দানে,
জনম লভিতে হয়॥
গোলকের নাথ, গোলকের সাত,
ওঢ়াকাঁদি আগমন।
লয়ে ভক্তবৃন্দ, করে মহানন্দ,
লীলামৃত বরিষণ॥
বৈরাগী ও পৌরাণিক
অন্যান্য ভক্ত চরিত্র
শ্রীনিবাস রামচন্দ্র নরোত্তম দাস।
সাধিল নিগূঢ় লীলা নিজ অভিলাষ॥
গৌরাঙ্গ লীলায় যেন লয়ে ভক্তগণ।
ঘরে ঘরে যারে তারে দেয় প্রেমধন॥
শ্রীনিবাস রামচন্দ্র করিলেন লীলা।
নিজভক্তগণ ল’য়ে প্রেম আস্বাদিলা॥
পূর্ব্বে প্রভু অদ্বৈতেরে কহে যে বচন।
করিব নিগূঢ় লীলা রস আস্বাদন॥
এই প্রেম দিয়া যদি জগৎ মাতায়।
নিগুঢ় প্রকট হয় পূর্ব্ব কথা যায়॥
ধর্ম্মসংস্থাপন জীব উদ্ধার হইল।
পরে প্রেম প্রকাশিবে বাসনা থাকিল॥
সফলা নগরী ধন্য ওঢ়াকান্দি ধন্য।
যে যে গ্রামে হরিচাঁদ হৈল অবতীর্ণ॥
সফলা নগরী শ্রীযশোমন্ত ঠাকুর।
তাহার মহিমা কথা কহিতে প্রচুর॥
কৃষ্ণ ধ্যান কৃষ্ণ জ্ঞান কৃষ্ণ প্রাণ তার।
কৃষ্ণের নৈবিদ্য বিনে না হ’ত আহার॥
সদা করে কৃষ্ণ কথা কথোপকথন।
কৃষ্ণ বলে অশ্রুজলে ভাসিত বয়ন॥
প্রতিপক্ষে করাইত বৈষ্ণব ভোজন।
হরিব্রত একাদশী নাম সংকীর্ত্তন॥
নীচ নীচ কুলে প্রভু দিয়া প্রেমধন।
নমঃশুদ্র কূলে এল ব্রহ্ম সনাতন॥
হয়গ্রীব কপিল হইল অবতার।
অংশ অবতার সেও ব্রাহ্মণ কুমার॥
ব্রাহ্মণ সম্মান হেতু ভৃগু পদ ধরে।
শ্রীবামন অবতার কশ্যপের ঘরে॥
ভৃগুরাম অবতার জমদগ্নি সুত।
ক্রমে নীচ কূলে যায় হয়ে পদচ্যুত॥
শেষে দ্বিজ হ’তে একপদ নীচে এলে।
ক্ষত্রিয় কুলেতে জন্ম করে রামলীলে॥
প্রথম পুরুষ অবতার রাম হন।
তার পরে গোপ বৈশ্য শ্রীনন্দ নন্দন॥
ধরা দ্রোণ দুইজন ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মনী।
অতিথি বিধানে পূজে শ্যাম চিন্তামণি॥
ছদ্মবেশে পদ্মনেত্র গিয়া সেই স্থানে।
ধরাকে দিলেন ধরা আতিথ্য বিধানে॥
স্তন কেটে সেবা করে সেইত ব্রাহ্মণী।
ভক্তিতে আবদ্ধ হল শ্যাম চিন্তামণি॥
ধরাকে দিলেন হরি এ সত্য কড়ার।
দ্বাপরে শোধিব মাগো তব ঋণ ধার॥
যেই স্তন কেটে মাগো আমাকে সেবিলে।
পুত্ররূপে সেই স্তন্য খাইব মা বলে॥
পতিতাপাবন পুত্র পাইবেন বলে।
নিচকুলে নন্দ এসে বৈশ্য পুত্র হ’লে॥
দ্বাপরে করিল লীলা সেই ভগবান।
ব্রজলীলা ত্যাজি মথুরাতে হরি যান॥
সুদাম মালীর কন্যা কুবুজা সুন্দরী।
বসুদেব নন্দনের হৈল পাটেশ্বরী॥
যদুকুলে রাজা নাই উগ্রসেন রাজা।
রাজা হয়ে করে কুব্জা মোহনের পূজা॥
দ্বারকায় গিয়া হরি লীলা প্রকাশিল।
প্রেমদায় অর্জ্জুনের সারথি হইল॥
পঞ্চভাই শ্রীকৃষ্ণের পঞ্চ আত্মা প্রায়।
সে “দিব্য বিলাপ সিন্ধু” গ্রন্থে দেখা যায়॥
সেই পঞ্চ ভাই সতী দ্রৌপদী সহিতে।
নিযুক্ত হইল রামদাসের সেবাতে॥
রাজসূয় যজ্ঞকালে মুনিগণে ভজে।
মুচিরাম সেবাকালে স্বর্গে ঘণ্টা বাজে॥