ձե-Հ বিবাহিত রমণীকে ডাক ম৷ বলিয়৷ এতটুক জ্ঞান আছে অজ্ঞান হইয়। বিচারের কথা তোরে কহিলাম সার । মানা করি মাতৃ কুল থেপাইওন। আর ॥ তাহাগুনি হীরামন হইল কাতর। ক্ষমা কর অপরাধ হইয়াছে মোর ॥ শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত . কহিছেন হীরামন করিয়া ভকতি। ভট্টাচাৰ্য্য ঠাকুর করুণ অব্যাহতি ॥ আজ হতে পাইলাম ব্যবস্থার পত্র। প্রায়শ্চিত্ত করি মোরে করুণ পবিত্র ॥ লোচনের ঠাই হীরামন পেল লাজ । রচিল তারকচন্দ্র কবি রসরাজ ॥
t দ্বিতীয় তরঙ্গ। বন্দন । জয় জয় হরিচাদ জয় কৃষ্ণদাস । জয় ঐবৈষ্ণবদাস জয় গেরিদাস ॥ জয় শ্রীস্বরূপদাস পঞ্চ সহোদর। পতিত পাবন হেতু হৈল অবতার ॥ জয় জয় গুরুচাদ জয় হীরামন । জয় শ্ৰীগোলোকচন্দ্র জয় শ্ৰীলোচন ৷ জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয় । জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দ ময় ॥ জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ । নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ ৷ শ্ৰীমদ্বারামন গোস্বামীর মৃত গরু ও মনুষ্য বাচাইবার কথা । পয়ার। পাতল। নিবাসী নাম বাল্যক বিশ্বাস । সদ। হরি পদে মতি সুদৃঢ় বিশ্বাস ॥ " বাহিরে ঐশ্বৰ্য্য ভাব অন্তরে বৈরাগ্য। ওঢ়ার্কাদি আসে যায় ভজনে সুবিজ্ঞ । প্রভু হরিচাদের ভকত মহাজন। হরিচদ বলি ডাক ছাড়ে সৰ্ব্বক্ষণ । , শ্ৰীধাম ওঢ়াকাদীর দায় তার করে। মতুয়ার সম্প্রদায় খ্যাত চরাচরে ॥ - মুহাপ্রভু হরিচাদ ধাম ওঢ়াকাদি। তাহার ভকত যত মতুয়া উপাধি। প্রভু শ্ৰীহরিচাদের মতুয়া বাল্যক । মতুয়া বলিয়৷ তারে ঘোষে সৰ্ব্ব লোক ॥ হরি বোলা ভকত কাহারে যদি পায় । ভক্তি সহকারে পূজে আনন্দ হৃদয় । মতুয়া বাল্যক যিনি তাহার নিবাসে। গোস্বামী শ্ৰীহীরামন মাঝে মাঝে আসে। একদিন হীরামন আসিল তথায় । বাল্যক ছিলনা বাড়ী কাৰ্য্যন্তরে যায়। বাল্যকের মাতা হন কৌশল্য নামিনী । মতুয়া পাইলে ভক্তি করিতেন তিনি। কৌশল্যার পেটে ছিল বেদন অঙ্কুর । আর দিন এল শ্ৰীহীরামন ঠাকুর ॥ গোস্বামীকে দিয়াছেন তামাক সাজিয়ে। কৌশল্য পড়িল পদে দণ্ডবৎ হ’য়ে। পদরজ নিতে দিল শ্রীচরণে হাত । গোস্বামী তখন করে হুকার আঘাত ॥ সে আঘাতে মূছান্বিত হয়ে প’ল বুড়ী। পুনরায় মারিলেন দোহাতিয়া বাড়ি। অমনি কৌশল্য। ধনী জীবন ত্যজিল । গোসাই গৃহেতে গিয়া বসিয়া রহিল। প্রাঙ্গণেতে কৌশল্যার মৃত শব ল’য়ে। হুড়াহুড়ি লাগাইল গ্রামীরা আসিয়ে ॥ সবে বলে এ পাগল মানুষ মারিল। কোথা হ’তে এ পাগল পাতলায় এল ॥ উলঙ্গ ভৈরব প্রায় ন পরে বসন । এর। এরে ভক্তি করে কিসের কারণ ॥ কেহ কেহ বলে ভাই ভালই করেছে। যেমন মানুষ ওরা তেমন হয়েছে।