ు i. | অত খণ্ড । লালচাদ মালাকারের উপাখ্যান ।
- ~.
পয়ার । রাজপাট বাসী লালচাদ মালাকার । হরিচাদ পদে নিষ্ঠ ভকতি তাহার ॥ বৈশাখ মাসের শেষ হইয়াছে আম্র । সুখ দৃশু ফল ভরে শাখা সব নম্র । , 'এক গাছে আম তার বড় মিষ্ট হয়। “বার্ষিক" সে আম্র দেন প্রভুর সেবায় । প্রথম পাকিলে আম ঠাকুরকে এনে । ঠাকুরের সেবা করে আনন্দিত মনে । কোমবার ওঢ়াকান্দী দেন পাঠাইয়া । কোনবার দেন আমি কিনিয়া অানিয়া ॥ --মাঝে মাঝে মহাপ্রভু যান সে বাটীতে । এবার হয়েছে মন ঠাকুরকে নিতে ॥ : আসিয়া প্রভুর সঙ্গে কথা নাহি কয় । জেনে মন নারায়ণ তার বাড়ী যায় ॥ একদা সকালে প্রভু বসিয়া নির্জনে । এক মাত্র তারক বসিয়া প্রভু স্থানে ॥ হরিচাদ কহিলেন তারকের ঠাই । চল রে তারক মোরা রাজপাঠ যাই ॥ রাজপাট লালচাদ ক’ট করিয়াছে। আমাকে খাওয়াবে আমি সে খাইবে পাছে ॥ গতহাটে পথপুরে আম কিনিরছে । আর কত আম তার গাছে পাকিয়াছে। ঝাক ভরি রাখিয়াছে তুলিয়া ঘরেতে । আমি গেলে সেই আমি মোরে দিবে খেতে ॥ যাব কি না যাব তাই ভাবি মৃনে মনে । আমারে নিবে সে বেটা আসেবা না কেনে ॥ তারক কহেন প্ৰভু যে ইচ্ছা তোমার। ইচ্ছাময় তব ইচ্ছ, সে ইচ্ছা সবার ॥ শুনিলাম শ্ৰীমুখেতে লালচাদ কথা । আমার হয়েছে ইচ্ছ। যাইবারে তথা ॥ তাহা শুনি প্রভু কহে মনে হয়ে সুখী। . ক্ষণে থাক দেখি, লালচাদ আ’লে নাকি ॥ হেনকালে লালচাদ হইল উদয় । পূৰ্ব্বাকাশে রবি চারিদণ্ডের সময় । মাথে লম্বী চুল তার মুখে গোপ দাড়ি। সন্ন্যাসীরা থাকে যেন বিশ্বেশ্বর বাড়ী ॥ )న) ঠিক যেন বন হতে পরমহংসেরা। সুগন্ধেতে কাশী আমোদিত করে তারা ॥ তেমতি বসিল এসে প্রভূর সম্মুখে । ঠাকুর পরমমুখী লালচাদে দেখে ॥ পরমহংস তাহার। উলঙ্গ থাকয় ॥ লালচাদ তেন কিন্তু উলঙ্গ সে নয় ॥ ছিন্ন বস্ত্ৰ দিয়া মাত্র, পরিয়াছে লেংটী । তার এক কোণ দিছে তাগ সঙ্গে আটি ॥ নিতম্ব বাহির ঠিক উলঙ্গের প্রায়। দূর হতে দেখিলে উলঙ্গ বোধ হয়। বরণ তাহার ঘোর কাল, স্তুলাকার। কালো অঙ্গ মধ্যে আলে। করে দীপ্তকার ॥ ঠাকুরের মুখ তাকাইয়। লালচাদ । বদনে ঈষৎ হাসি অস্তরে আহলাদ ॥ তাহা দেখি তারক ভেবেছে মনে মনে । এই বুঝি লালচাদ বুঝি অনুমানে ॥ পূৰ্ব্বে ছিল কপিল বশিষ্ঠ বেদব্যাস । পরাশর কাত্যায়ণ কশ্ব দিগবাস ॥ * মরিচি আঙ্গিরা শতাতপ সতানন্দ । , গৌতম বান্সিকি অত্ৰি সিদ্ধমুনি বৃন্দ ॥ * আজন্ম কাননবাসী মহাযোগে যোগী । ইনি কোন মহাজন এল কিবা লাগি ॥ যতি, হংসী, গৃহী, বনচারী, কি সন্ন্যাসী । প্রভু সঙ্গে লীলারঙ্গে মৰ্ত্ত লোক বাসী। ইতি উতি ভাবি বসিলেন সেইখানে । ঠাকুরের বামে লালচাদের দক্ষিণে । এক হালুণী কইমাছ আনিয়া ছিলেন। ঠাকুরের সন্মুখেতে রেখে বসিলেন ॥ ঠাকুর কহেন কি করিবি লালচাদ । আম খেতে দিবি তোর মনে আছে সাধ ॥ গাছে অাছে আম আর কেন ব৷ কিনিলি । হাটে গিয়া বুঝি আম দেখে ভুলে গেলি ॥ কেন অাম গাছে আম আমে আমদানি । দুগ্ধ আমদানি কত বল তাই শুনি ॥ ঠাকুর বলেন আর শুনাবি কি তাই । দুগ্ধ আমদানী দোয়া আছে দুটি গাই ॥ যারে লালচাদ কল্য আমরা যাইব । § মধ্যাস্তুে তোমার বাড়ী ভোজন করিব ॥ মৎস্য দিকে লালচাদ চাহে বারেবারে । প্রভু বলে মাছ কিছু দিবি নাকি মোরে। o