उड्डि ५९५ ।। ১৯৩ ক্ষণেক ভ্রমণ করি মনেতে ভাবিয়া । সেই ভোল৷ কুকুরকে ধরিলেন গিয়া ॥ স্কন্ধ পরে হাত দিয়া চাটিবারে যায় । হেন কালে রামকৃষ্ণ কুকুরকে কয় ॥ আলাপ কর ত ভাল আমরা কি করি । তাহাত দেখন। তুমি অষ্ট দুঃখে মরি। যাহ ভোলা একবার প্রভুর গোচরে । বল, গে, অনেক লোক বাড়ীর বাহিরে ॥ তোলা গেল রামকৃষ্ণ যায় পাছে পাছে । ভোলা গেল যেই গৃহে প্ৰভু শোয় আছে। যবে ভোল৷ কুত্ত গেল পদের নিকটে। মহাপ্রভু তৎক্ষণাৎ শয্যাহতে উঠে। প্রভু বলে আসি আমি সবে বল গিয়া। আসিতেছি কিছুক্ষণ থাকুক বসিয়া ॥ -- + তাহাগুনি ভোলা কুত্ত আসিয়া বাহিরে। আসিতেছে ঠাকুর দেখা’ল লেজ নেড়ে ॥ কিছুক্ষণ পরে এল প্রভু দয়াময়। মনে কথা কহি সবে করিল বিদায়। ভোল৷ কুত্ত পরিচ্ছেদ হ’য়ে গেল সাঙ্গ । রচিল তারকচন্দ্র কুকুরের রঙ্গ ॥ । মহাপ্রভুর লালচাদের বাট গমন। পয়ার। এইরূপে যাত্রা করিলেন ছয়জন । মহাপ্রভু বলে অগ্রে যাও একজন। তথা যেতে পথে মোর আছে বড় ভয় । সাপে নাহি ছাড়ে মোরে আসিয়া জড়ায় ॥ তাহাগুনি কাঙ্গালী চলিল আগে অাগে । চলিলেন মহাপ্রভু তার পিছু ভাগে । বরইহাট গ্রামে গিয়া হইল উদয়। ভক্তদের বাট গিয়া উঠিল সবায় ॥ ভক্ত কহে মহাপ্রভু নিবেদন করি। বাল্য ভোজ নিতে হ’বে তোমার এ বাড়ী ॥ মহাপ্রভু বলে যদি বাড়ী মোর হয়। কি আছে বাল্য সেবার শীঘ্ৰ ল'য়ে আয় ॥ অমনি ভকত যায় জাল বাহিবারে। ঠাকুর বলেন মোর মাছ খাবনারে ॥ তাহাগুনি ভক্ত কহে আছে শুধু ভাত । কেমনে হইবে সেবা প্ৰভু জগন্নাথ ॥ [ ૨૯ ] ঠাকুর কহেন কেন শুধু ভাত খাব। স্বধা হ’তে স্বধা আমি ভোজন করিব ॥ কি দিব কি দিব ভক্ত কহে অবিরত । মহাপ্রভু বলে তোর ঘরে আছে ঘৃত ॥ তাহাগুনি ভকত হইয়। উল্লাসিত । নারীকে কহিছে ঘরে আছে নাকি ঘৃত ॥ তাহার রমণী কহে ঘূত অাছে ঘrর । প্রভু হরিচাদ কহে শুন ভাল ক’রে । দধি আছে আরো আছে সুরভী দোহন । ঘরে আছে কল্যকার মথিত মাখন ॥ ঠাকুরের পদে পড়ি কহে তার নারী । কি দিয়া হইবে প্রভু ভোজন তোমারি ॥ প্রভু কহে ভকতের রমণীর কাছে। কুষ্মাণ্ডের শাক, আগ ভাতে দেওয়া আছে। দেহ মাগো তাহাতে ভোজন হ’বে ভারি। মধ্যাহ্লে হইবে সেবা লালচাদ বাড়ী। তাহাগুনি বসিতে করিয়া দিল ঠাই । সভক্তি শাল্যন্ন ভোজে বসিল গোসাই ॥ মাখিয়া ঠাকুর দিয়াছেন বদনেতে । , তারক প্রসাদ নিব ব’লে হাত পাতে ॥ শাক ভাত মাখন করিয়া একত্তরে । এক মুষ্টি দেন প্রভু তারকের করে । তারক যখনে দিল বদনে তুলিয়া। দোম এটে উঠে তার তালুকায় গিয়া ॥ উঠিল বিষম কাশ ভাত উঘাড়িয়া । ঠাকুরের পাতে পড়ে ভাত কাশ গিয়া ॥ কতক মাটীতে কত মহা প্ৰভু পাতে। কতক পড়িল মহাপ্রভুর বক্ষেতে ॥ বক্ষে যাহা পড়েছিল বাম হাত দিয়া । ধরিয়া দিলেন প্রভু বদনে তুলিয়া ॥ লালচাদ এসেছিল ঠাকুরকে নিতে । আগুলিল এসে সেই ভক্তের বাটতে। তিনি ও সেবায় ব’সে ছিলেন সেখানে । কথা নাহি কয় তবু বলিল তখনে ॥ তিনি কন প্রসাদ পাইতে ইচ্ছ। আছে । যেমন নিয়াছ প্রভু ভাল দেওয়া দিছে। অমনি তারক কেঁদে পড়িল ধরায় । প্রভু কন ওঠ, তোর নাহি কোন ভয় । , তারক ভোজন করে র্কাদিয়া কঁদিয়া । যাত্রা করিলেন সেই বাড়ী সেবা নিয়া ॥
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/২০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।