রামচাদ চৌধুরীর বুদ্ধি বিচক্ষণ । বলে বৃথা পরিশ্রম কর কি কারণ ॥ চৌদ্দ জনে বেত টানি কিছুই না হয়। এ হেন আশ্চৰ্য্য কেব। দেখেছে কোথায় ॥ দুই বেত তুলিবারে প্রভু দেন বলি । সে আজ্ঞা লঙ্ঘন ক’রে কেন বেত তুলি ৷ চৌদ্ধ জনে টানি বেত নাহিক বিরাম। নিশ্চয় জানিও এই ঠাকুরের কাম ॥ কেন মিছ টানাটানি পরিশ্রম কর । , চল গিয়া প্রভুকে জানাই সমাচার। - কে যাবে কে যাবে সবে ভাবে মনে মনে । সবে কহে তারকে পাঠাও প্রভু স্থানে ॥ তারক দাড়ায় গিয়া প্রভুর সম্মুখে। মৃত্যুঞ্জয় কিছু দূরে দাড়াইয় থাকে। ন-প্ৰভু কন একা-কেন অসিলে তারক । এক বেত ল’য়ে বুঝি হাসাইলে লোক । দুটি বেত নিব আর নাহি আবখ্যক । তিন বেত কাটিয়াছি কহিল তারক। ঠাকুর কহেন কেন এ কার্য্য করিলে । সামান্য একটি কথা মানিতে নারিলে ৷ যেমন লোভের বশ করিয়াছ তাই । চোঁদ জনে হারে কেনে এক বেত ঠাই ॥ ছোট এক বাক্য তাহ ন পার মানিতে। ধন্যবাদ দেই আমি সে বিন্ধ্য-পৰ্ব্বতে ॥ এখন উঠিতে পারে রাখে কোন জনে । উঠিতে না পারে মাত্র এক বাক্য মেনে ॥ বাক্য না মানিতে পার কাপুরুষ হও । সিংহের শাবক হ’য়ে ছাগ-রীতি লও ॥ তাহাঙনি তারক জুড়িল দুই হাত । অপরাধ ক্ষমা কর অনাথের নাথ ॥ কালীনগরের কর্তা বেত কাটিয়াছে। অপরাধ করিয়াছি স্বীকার ক’রেছে। গুরু কাৰ্য্য করি মোরা মনের হরিষে। প্রভু কাৰ্য্যে বেত নিব দোষ হবে কিসে ॥ লঙ্কা দন্ধে বন ভাঙ্গে বস্ত্র হরে হয় । রাম কাৰ্য্য রাম করে সমৰ্পিত তনু ॥ এত বেত লাল চাদ কি কার্য্যে ল্লাগাবে। আমরা লইলে বেত গুরু কাৰ্য্য হবে। ইহা বলি এই বেত কেটেছেন তিনি। ঠাকুর বলেন যাও সব আমি জানি ॥ অন্ত খণ্ড । Xసి(t SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS J SAAAA SASAASAAAS ধর গিয়৷ সেই বেত সেই তিন জনে । চৌদ্ধ জনে টান বেত কিসের কারণে ॥ বেত ধরি টান দিল সেই তিন জন । অমনি বাহির বেত হইল তখন ॥ তিন জনে ছাটিয়া করিল পরিষ্কার। * তিন বেত প্রায় দুই বোঝা দুজনার । এদিকে সকলে করে মাধ্যাত্ত্বিক ক্রিয়া । স্বানাদি ভোজন করে হরি বোল দিয়া ॥ প্রভু হরিচাদ স্বান করে প্রথমেতে । বলিলেন আম আন সবে দেও খেতে ॥ অগ্ৰে ছেদি কত গুলি দিলেন খাইতে । অমৃত খাইঃ হরি বলে আনন্দেতে ॥ পরে অন্ন ভোজনে বসেন হর্ষ মনে । ঘৃত পক্ক ডা’ল বড়। শাকাদি ব্যঞ্জনে ॥ অমৃত অম্বল দধি দুগ্ধ আম্র সহ। খাইলেন ভক্ত সব বড়ই উৎসাহ ॥ পায়স পিষ্টক-অাদি সেবা খাজা গজ । ক্ষীর চুৰি, ক্ষীরের লজুক, সরভাজা । ঠাকুরের বাম দিকে আম পোরা ঝাকা । প্রভু কন এত আম রাখ কেন একা । লালচাদ বলে এই আম গুলি চুক । খুঁলে টক দেখিতে সুন্দর যায় দেখা । প্রভু কন মিঠা আম আর নহে চাই। এ আমি খেয়েছি আন আই আম খাই ॥ ভাল ভাল আমি খেয়ে কি করিমু কাজ ! ভোজনের শেষ চুক তাই খা’ব আজ ॥ চুকা আম খাই নাই আই আম খাব। অই আম খেয়ে মনোমালিন্ত ঘুগ’ব ৷ লালচাদ দেন আম্র ভকতি প্রচুর। প্রভু কন কই চুকা অতীব মধুর। মধুর হতে মধুর সুমধুর আম । ক্রমুখের মধু বাক্য তাই পরিণাম। যে গাছের চুক আম্র খাইল ঠাকুর। সে গাছের আম হ’ল সে হতে মধুর। ভক্ত বৃন্দ সেবা কার্য্যে ছিল যতজনে। তৃপ্ত হ’ল চুকা আস্ত্ৰে মধু আস্বাদনে ॥ সেবা কাৰ্য্য করি হরি যাত্র। করিলেন। লালচাদ বেত ল’য়ে সঙ্গে চলিলেন । অগ্ৰে অগ্ৰে ভোলা নামে কুকুর ধাইল । ওড়ার্কাদি গোলোকের ঠাই উত্তরিল।
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/২০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।