পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९०8 শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত। নড়াইল গ্রামে ভক্ত শ্রীরামকুমার । ভবানী নামিনী হয় ভগিনী তাহার । একদিন ঠাকুরকে আনিব বলিয়া। ভাই বুনে পরামর্শ করিল বসিয়া ॥ রাত্রি ভরি সে ভবাণী বধৃগণে ল’য়ে। ভক্তি রসে নানা মিষ্ট তৈয়ার করিয়ে ॥ ব্ৰহ্ম মুহুর্তের কালে যাত্রা করিলেন। তরী রামকুমার বাহিয়া চলিলেন । দুদণ্ড আড়াই দণ্ড পথ পরিমাণ । দণ্ডেকের মধ্যেতে তথায় চলিযান ॥ ঘোর ঘোর ভোর কালে কেহ না গীতুলে । হন কালে ওঢ়াকাদি গিয়া পন্থছিলে ॥ ছড়া ঝাট জল আন গৃহাদি মার্জন। রান্ন ঘর পরিষ্কার প্রাঙ্গণ লেপন ॥ গাত্ৰোখান করিয়া উঠিল। ঠাকুরাণী। হেন কালে গলে বস্ত্র দাঁড়াল ভবাণী ॥ মন জানি অন্তৰ্য্যামী সত্বর উঠিল। ভগবান ভবানীর নৌকায় বসিল ॥ ভবানী উঠিল রামকুমার উঠিল। ব'টে ধরি ধীরে তরী বাহিয়৷ চলিল ॥ অৰ্দ্ধপথে যেতে যেতে হ’ল ঘোর মেঘ । দুঙ্গিপ্লে বাতাস বহে অতিশয় বেগ । প্ৰভু রামকুমারে বলেন কি করিবি। এই বাতাসেতে নৌকা কেমনে বাহিবি ৷ কুমার রলেন প্রভু মেঘে নাহি ডরি। আপনি আছেন মায় এই শঙ্কা করি ॥ মহাপ্রভু বলে তবে না হও বিমুখ । দিলাম উহারে ভার যা ইচ্ছা করুক ॥ তরণী বাহিয়া যায় শ্রীরামকুমার । চতুর্দিকে মেঘ দিনে ঘোর অন্ধকার । অবিরল ধারে ঘন মেঘ বৃষ্টি হয় । বৃষ্টি বিন্দু নাহি পড়ে ঠাকুরের নায় ॥ নিরাপদে উদয় হইল নড়াইল । আননে প্রভুকে লয়ে সেবা করাইল । পায়াস পিষ্টক আদি লড়েক শাল্যন্ন। ডাল বড় ভাজা শাক শুক্তাদি ব্যঞ্জন ॥ সেবাদি সুশ্রুষ ইষ্ট গোষ্ঠ দিবা ভরি। সন্ধ্য সমাগম ক্রমে হইল শৰ্ব্বরী ॥ প্রভুকে নিজ বাসরে রাখিল কুমার। গেল দিন কহে দীন কবি সরকার ॥ سمی ভক্ত মহেশ ও নরসিংহ শাল গ্রাম ॥ পয়ার নড়া’ল কানাই আর ভক্ত সনাতন । শুামী চরণ বিশ্বাস ভক্ত বহু জন ॥ ভকত ভবনে যান প্ৰভু জগন্নাথ । সনাতন শু্যামের বাটীতে যাতায়াত ॥ ফলসী নিজামৰ্কাদি আর তালতলা । মত্ত মাতালের প্রায় হ’ল হরি বোল।। হরিচন্দ্ৰ মহেশ কনিষ্ঠ ভজরাম । তিন ভাই হরিভক্ত সুন্দর সুঠাম ॥ শ্ৰীউমাচরণ চণ্ডী বৈরাগী ঠাকুর । হরিনাম করে তারা মধুর মধুর ॥ নেহাল বেহাল হ’ল আর গঙ্গাধর । - - - হরিচাদে মানে তার স্বয়ং ঈশ্বর ॥ মহেশ প্রভুকে ল’য়ে নিজ বাড়ী যান। নেহাল জমিতে গিয়া নিগড়ায় ধান ॥ ঠাকুর কহিছে তুই আয়রে নেহাল । নেহাল দাড়t’ল যেন সুদীন কাঙ্গাল ॥ নিড়ানিয়া ঘাস ছিল অষ্টিলের পরে। তার এক তৃণ সাধু দর্শনেতে ধরে ॥ আর এক গোছ। সাধু ধরে স্কন্ধ পরে। গলে জড়াইয়া ধরি রহে যোড় করে। অই ভাবে উঠিলেন ঠাকুরের নয়। দণ্ডবৎ হইয়া পড়িল রাঙ্গা পায় ॥ ঠাকুর উঠিল এসে মহেশের বাড়ী। গড়াগড়ি যায় সবে প্রভু পদে পড়ি ॥ উমাচরণের বাড়ী যান হরিচন্দ্র । যেন সবে হাতে পেল আকাশের চন্দ্র ॥ দক্ষিণ দেশের ভক্ত ওঢ়ার্কাদি যায় । পথে যেতে তিষ্টেন নিঝামর্কাদিগায় ॥ উমাচরণ বাড়ই মহেশ ব্যাপারী। বারুণীর অগ্ৰে মহোৎসব এই বাড়ী। মতুয়ার নাহি করে স্বজাতিকে গ্রাহ। লৌকিক সমাজিকতা করেছেন ত্যজ্য । সামাজিক পুরোহিত হইয়াছে বন্ধ। মহেশ বলেন সামঞ্জীর ভাগ্য মন্দ ॥ মহেশের ভাইকীর মৃত্যু হয়েছিল । পুরোহিতে আনিবারে মহেশ চলিল ॥