অন্তখণ্ড । প্রাতে রাধানগরের বাজারে উদয় । এক হাড়ি মণ্ড ক্রয় করিল তথায় । পূৰ্ব্বমুখী হ’য়ে চলে ঠাকুরের বাড়ী। হাতে যষ্টি মস্তকেতে সন্দেশের হাড়ী ৷ বাবা বাবা বলে হাই ছাড়ে বার বার । মধুমতী নদী দোহে হইলেন পার । দীর্ঘশ্বাস পরিত্যাগ সঘনে করিয়া । চলিলেন তারাইল গ্রাম মধ্য দিয়া ॥ খাগড়াবাড়িয়া গ্রাম দক্ষিণ অংশেতে। একবেট, দস্তু ব’সে ধান্সের ভূমিতে ॥ জমির টানিয়া নাড়া আলি বাধিতেছে । দুজনকে দেখে সেই আলিতে ব’সেছে। সেই দস্তু্য জিজ্ঞাসিল কোথায় যাইস। মেয়ে লোক সঙ্গে করি কি জঙ্গে আসিস্ ॥ একমাত্র মেয়েলোক করিয়া সঙ্গেতে । কোথায় যাইস তোরা কোন সাহসেতে ॥ জয়চাদ কহে আমি ওঢ়াক দি যাই । উনি মোর বড় দিদি, আমি ছোট ভাই ॥ এক বাবা হরিচাদ বাবার উদ্দেশে । ভাই-বুনে চলিয়াছি নিৰ্ব্বিকার দেশে । - দস্থ্য বলে কি ঠাকুর পেয়েছিস তোরা। মস্তকেতে হাড়ি তোর হাড়িতে কি ভর। ॥ জয়চাঁদ বলে মোর হাড়িতে সন্দেশ । দমু্য বলে কেন নিস্ করে এত ক্লেশ ॥ কুপিণ্ডে যত বেটার। উঠ’য়েছে সুর। যশ বৈরাগীর ছেলে হ’য়েছে ঠাকুর । , জমিদারে নিল যার ভিট। বাড়ী বেচে । , সফলাডাঙ্গা ছাড়িয়ে ওঢ়ার্কাদি গেছে ৷ সে ঠাকুর হ’ল কিসে জাতি নমঃশূদ্ৰ ' ' সেও নমঃশূদ্র বেট। তুই নমঃশূদ্র । সে হ’ল ঠাকুর কিসে তার বাড়ী যাস কিবা ঠাকুরালী তার দেখিবারে পা’স্ ॥ সন্দেশের হাড়িটারে নামা'য়ে রাখিয়ে । না খাওয়ায়ে তোদেরে সে দিবে খেদাইয়ে ॥ জয়চাঁদ বলে হাড়ি রাখিলেই হয়। খেতে দিক্ নাহি দিক্ তার নাহি দায় ॥ খেতে পাই, না পাই, রাখিলে হয় হাড়ি। ও Y বলে ত খেতে যাইব না তব বাড়ী ।
- বলে আয় তবে মম বাড়ী যাই। পাতথির ভাত সে বাড়ীতে কভু নাই ॥
ওরে ভেটা ভণ্ড আর না করিস ছল । সন্দেশের হাড়ি ল’য়ে মোর বাড়ী চল ॥ মোর বাড়ী নামাষ্টলে নাহি খুব ঘরে । আমিও খাইব আরো খাওয়াব তোরে ॥ জয়চাঁদ বলে আগে ওঢ়ার্কাদি ঘণ’ব । , সেখানে খেতে না পেলে তোর বাড়ী র’ব। দস্থ্য বলে যা চলে তোর ঠাকুরের বাড়ী। সেবা জন্যে মিষ্ট মিস হাতে কেন লড়ি ॥ সন্দেশ লক্টতে হয় সেবার কারণ । লড়ি নিস্কার সঙ্গে করিবারে রণ ॥ এত বলি দস্থ বেটা ঘষ্টি কেড়ে নিল । অাইলের নিম্নভাগে গাড়িয়াল থুইল ॥ পাড়াইয়া দিল লড়ি মাটির তলেতে । জয়চাঁদ বলে লাঠি নিব মাটী হ’তে ॥ দস্য বলে ভাগ্য তোর রাখিলাম লড়ি । সন্দেশের হাড়ি নিব কর যদি তেড়ি ॥ বল্ গিয়া ওঢ়ার্কাদি তোর সে ঠাকুর । লাঠি নিল একবেটা নাদিল আমারে । তাহা শুনি জয়চাঁদ কঁদিতে কঁাদিতে । ওঢ়ার্কাদি উপনীত বিষাদিত চিতে ॥ ঠাকুর বসিয়াছেন পশ্চিমাভিমুখে । হেনকালে জয়চাঁদ দাড়া’ল সম্মুখে ॥ ঠাকুর তখন বলিলেন জয়র্চাদে । দসু্যহাতে পড়েছিলি বিষম প্রমাণে ॥ যষ্টিখান কেড়ে নিয়ে সে খুয়েছে গেড়ে। ভাগ্যে সন্দেশের হাড়ি তোরে দিল ছেড়ে ॥ তাহা শুনি জয়চাঁদ কাদিয়া ভাষায় । হেন অন্তৰ্য্যামী নাথ কোথা পাওয়া যায় ॥ প্রভুর নিকটে রাখি সন্দেশের হাড়ি । পদে পড়ি জয়চাদ খায় গড়াগড়ি ॥ হরিচাদ বলে ওরে বাছা জয়র্চদ । বাঁকুড়া করিলে তোর ঘটিত প্রমাদ ॥ জয় বলে রাজ কার্য্যে যুদ্ধ করিয়াছি। তার মত কতটারে পরস্ত করেছি ॥ পাচশত লোকের মুহাড়া একা দেই । আমি জয় পরাজয় করে দেই নেই ॥ রণে যদি পাইতার করি একবার। পলাইয়া যায় লোক হাজার হাজার ॥ অদ্য আমি বলহীন নহে কোন মতে । তথাপি পরাপ্ত মানি শৃগালের হাতে :