পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিচাদ কুপালেশে, আদি খণ্ড । ওরা বড় ছিল খল, কাত্যায়নী নাম মন্ত্রগুণে । দমন করেছি কালী, সেই হ’তে চিরকালই, দেখে চিনে নাম শুনে মানে। নাটু আর বিশ্বনাথ, থাকিত ঠাকুর সাথ, হরিচাদ প্রেমে বড় আৰ্ত্তি । যেখানে সেখানে যেত, সঙ্গে সঙ্গে বেড়াইত, কাৰ্য্য করে আজ্ঞা অকুবওঁ ৷ লইয়া রাখালগণ, করে গোষ্ঠ গোচরণ, 鲁 কতু বসে বৃক্ষের ছায়ায় । আপনি হইয়। রাজা, থেলিতেন রাজা প্রজ, -- *- এদিকে গোধন তৃণ খায় ॥ যেই ভাব বৃন্দাবনে, খেলিতেন গোবৰ্দ্ধনে, সেই ভাবে এবে গোপালক । পাগল চাদের আদেশে, হরিলীলা রচিল তারক । , রাখাল বিশ্বনাথের জীবন দান । পয়ার । এক দিন শুন এক আশ্চৰ্য্য ঘটনা। বিশ্বনাথ নামেতে রাখাল এক জন ॥ গোধন চরা'তে বিশ্বনাথ সাথে যায়। সৰ্ব্বক্ষণ ঠাকুরের সঙ্গে সঙ্গে রয় ॥ যখন যে খেলা করে রাখাল'স্বভাব । তার মধ্যে মধু মাথা ঈশ্বরীয় ভাব। ঠাকুর থাকেন এক স্থানেতে বসিয়ে । সবে মিলে খেলে আজ্ঞাতন্ত্ৰবৰ্ত্তী হ’য়ে ॥ রাখালের মিলিয়া বারিক করি লয়। ~ একজন রাখে গরু বারিক সময় ॥ প্রভু দেন আজ্ঞা করে শুন রে রাখাল । ফিরাইয়া আন গিয়া গোধনের পাল ॥ প্রভু দেন আজ্ঞা করে রাখলের শুনে। ঠিক যেন পূৰ্ব্ব ভাব গিরি-গোবৰ্দ্ধনে। বিশ্বনাথ নামে এক রাখাল চতুর । আস্থা সম ভাল তারে বাসিত ঠাকুর ॥ সকল রাখাল এল গোষ্ঠ গোচরণে । নাথ এলন দৈবের নিৰ্ব্বন্ধনে ॥ ট্রয় বলেন তবে সব সখীগণে । আসিলি তোরা বিশে কোনখানে ॥ g বইে ওহে হরি কি কহিব আর। লীল বলিষ্টত বিশের সমাচার। আমি দিমু প্রতিফল, বিশের হয়েছে রাত্রে বিমুচিকা ব্যাধি । মৃতপ্রায় সবে করিতেছে কঁদোকাদি ৷ ঠাকুর বলেন নিদানের কওঁ। আমি । বিশাইর কি করিবে তুচ্ছ ভেদ বমি। নাটুকে করিয়া সঙ্গে ঠাকুর চলিল । হেনকালে বিশ্বনাথ অজ্ঞান হইল৷ বিশাইর হইয়াছে মৃত্যুর লক্ষণ। ঘনশ্বাস বহে তার উত্তর ময়ন ॥ বিশাইর জ্ঞাতি বন্ধু বলেছে সকলি । বিশারে বাহিরে নিয়া কর অন্তর্জলি ॥ হেনকালে প্রভু নাটু সঙ্গে তাড়াতাড়ি। উঠিতেছে হরিচাদ বিশেদের বাড়ী । বিশার জননী কঁদে আগুলিয়৷ পথ । বলে আজ ছেড়ে যায় তোর বিশ্বনাথ ॥ আর কি করিবি খেল৷ ল’য়ে বিশ্বনাথে । প্রভু বলে আইলাম বিশারে কিনিতে ॥ ঠাকুর বলেন বিশে শীঘ্ৰ উঠে আয় । বয়ে যায় রাখালিয়া থেলার সময় ॥ খেলা ছাড়ি কেন বা রইলি অন্তর্জলে । অন্তর্জলে তুই দেখে মোর অন্তর জলে । এত বলি হস্ত ধরি বিশারে তুলিল । নিদ্রাভঙ্গে যেন বিশে গোষ্ঠেতে চলিল ॥ বিশ্বনাথ গোঠে গেল ঠাকুরের সঙ্গে । রাখাল মণ্ডলে গিয়া খেগ করে রঙ্গে ॥ উঠিল মঙ্গলরোল জুড়িয়া মেদিনী । , , , বাল বৃদ্ধ যুব করে জয় জয় ধ্বনি ॥ কেহ বলে রামকান্ত দিয়া ছিল বর। এ ছেলে মনুষ্য নয় ব্ৰহ্ম পরাৎপর ॥ কেহ বলে যশোমন্ত অতি নিষ্ঠানর। তার পুণ্যে হ’ল কোন দেব অবতার ॥ বিশ্বনাথ উপাখ্যান শুনে যেই জন। শমনের ভয় তার হয় নিবারণ ॥ মহানন্দ চিদানন্দ রচিতে পুস্তক । প্রভুর পৌগও লীলা রচিলা তারক। মহাপ্রভুর હાર્ટોન હ ফুলসজ্জা পয়ার । পেীগণ্ড সময় করিতেন গোষ্ঠলীলা। প্রথম কৈশোরে করিতেন মেইথেলী।