& 8o শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত । . শ্ৰীমদ্রজনাথ পাগলোপাখ্যাণ। পয়ার । সুধারস আশ্চর্য্য লীলার বিবরণ } ব্ৰজনাথ উপাখ্যান শুন সৰ্ব্বজন i ” ব্ৰজনাথ নামে এক প্রভুর ভকত। বাল্য হ’তে গুরু সেবা । রে অবিরত ॥ গুরুপদে ছিল আৰ্ত্তি দৃঢ়ভক্তি তার । গুরুকার্য্য বিনে তার কার্য্য নাহি আfর । জ্ঞানকাণ্ড কৰ্ম্মকাণ্ড কিছু না মানিত । জ্ঞানশূন্ত ভক্তি অঙ্গ প্রেমে পুলকিত । সৰ্ব্বদ। উন্মাদ দশ চিন্তা জাগরণ । ভাবন জড়িমা কৃতি প্রলাপ বচন . গুরুপত্নী আজ্ঞা দিল কাৰ্য্যান্তরে যেতে । ব্রজ রহে জ্ঞানশূন্ত গুরু আরোপেতে । ব্রজ তাহ নাহি জানে নাহি বাহ স্মৃতি । ঠাকুরাণী কহিলেন ঠাকুরে সংঞ্জfত । আমি যাহা কহি তাহা নাহি কর গ্রাহ । এ শিষ্য রাখিয়া তব হ’বে কোন কাৰ্য্য ॥
গৃহস্থের বাড়ী থাকে নাহি জ্ঞান বাহ । । - মিছ৷ এরে খেতে দেওয়া শীঘ্র কর ত্যজ্য । পাগল স্বভাব ব্রজ নৈষ্ঠিক আচারে ; ঠাকুরাণী সেই ভাব বুঝিতে না পারে । ঠাকুরাণী কথা শুনি ঠাকুর ভুলিল । ব্ৰজনার্থে বলে যেতে ব্ৰজ না উঠিল । ব্রজভাবে মত্ত ব্ৰজ অঙ্গভঙ্গী করে। নিৰ্ব্বোধ ভাবিল ব্রজ ব্যঙ্গ করে মোরে । ক্রোধভরে ব্ৰজোপরে রুষিল ঠাকুর। পাদুকা ধরিয়া দণ্ড করিল প্রচুর । হেন কালে ব্রজের হইল স্মৃতি জ্ঞান । গুরু কেন দণ্ড করে না বুঝি সন্ধান ॥ পায়ের খড়ম ধরি করেন প্রহর । ব্ৰজ বলে কি স্বার্থক জনম আমার ॥ হইয়াছে গুরুসেবা যে ক্রট আমার । প্রতিশোধে করে গুরু পাদুকা প্রহার ॥ দণ্ড পরিমাণে তার বেদন যে কম । প্রহারে তাঙ্গিল তার হাতের খড়ম ॥ ব্ৰজ-কহে শিষ্য নহে আমি দুষ্ট ভণ্ড । , ཆེ། নৈলে কেন গুরু হেন করে গুরুদণ্ড ॥
আমাকে মারিয়া গুরু হাতে পেল ব্যথা । বুঝিতে না পারি আমি অপরাধ কোথা ॥ কি বুঝিয়। গুরু মোরে এতেক বৈমুখ। - সে ব্ৰজনাথের মনে হৈল বড় দুঃখ । --- - গুরু অপরাধী তার জীবনে কি ফল । জীবন ত্যজিতে ব্রজ হইল চঞ্চল ॥, . মনোদুঃখে ধারা চক্ষে কাতর অন্তরে । ধীরে ধীরে যায় ব্রজ চকের ভিতরে ॥ সেই চকে আছে এক হিজলীকা বৃক্ষ। জনরব আছে গাছে থাকে এক যক্ষ ॥ । ১ একাকী পাইলে তারে করয় সংহার.। রাত্রে কেছ নাহি যায় দিনে লাগে ডর ॥ আরো সেই গ্রামে ছিল শার্দুলের ভয় ! দুরন্ত সদন্ত বর চকেতে ভ্রময় ॥ - হিজলীক বৃক্ষমূলে ব্রজ বসে রয় । নিশা কালে ব্যভ্র ডাকে ব্ৰঞ্জ ডাকে আয়। . --শাৰ্দ্দল আসিয়া ব্ৰজনাথেকে ধরিল। অঙ্গ দ্বাণ লুয়ে ব্যাঘ্র ফিরিয়া চলিল । দাতাল,বরাহ আসে গণ গণ করি। ব্রজ ডাকে আয় আয় বলে হরি হরি ॥ শাৰ্দ্দল না মারে মোরে তুই মোরে মার । গুরুত্যাগী দেহে মোর নাহি দরকার ॥ শার্দুলে বরাহ এসে তরাসে পলায়। , , ব্লজ ভাবে থাকু ওরা তারা নাহি খায়। হিংস্ৰক শাৰ্দ্দল রয়া হিংসা নাহি করে। আশ্চৰ্য্য গণিয়া ব্ৰজ ভেবেছে অগুরে । এবে বুঝি মৃত্যু নাই মৃত্যু আছে পাছে . . না জানি আমাতে গুরুর কোন কাৰ্য্য আছে । । তবে কেন মৃত্যু ইচ্ছ। এ বড় প্রমাদ । গুরু ঈশ্বরের কার্য কেন করি বাদ ॥ " আমাতে কি কাৰ্য্য আছে তার মনে আছে। বচিবার চেষ্টা করি উঠি গিয়া গাছে ॥ মারে কি বাচায় তার মনে যাহা লয়। শ্ৰীগুরুর দেহ কেন আমি করি লয় ॥ " বৃক্ষোপরে উঠিল সে ভক্ত ব্ৰজনাথ । দেখে এক মহা মূৰ্ত্তি হইল সাক্ষাৎ ॥ বলে ব্রজ। আলি কেন এই বুক্ষোপর । আমি কাল এই বৃক্ষে মম অধিকার । ব্রজ বলে যেই মার সেই মোর কাল । যাহা ইচ্ছা তাহ কর ঐনন্দদুলাল