'.. r শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত। সেই কালে নিত্য বন্ধ হৈল আবিস্তৃত। নৈলে কেনে দণ্ড ভাঙ্গে নিতাই অবধূত । এই ভাবে আবির্ভূত মিশামিশি হয়। অবতারে নিত্য যোগ নাহিক সংশয় ॥ লাটু আর বিশ্বনাথ এগীলা দেখিয়া . } হরি বলি বাহুতুলি উঠিল নাচিং ঠাকুর বলেন শুন ওরে ব্ৰজনাথ । যাবি না থাকিবি তুই আমাদের সাথ । ব্ৰজনাথ বলে আমি আর কোথা যাব। প্রাণ খুয়ে কোথা গিয়া এদেহ জুড়াব ৷ রসনা বাসনা করে ব্ৰঞ্জনাথ সঙ্গ। ব্ৰজনাথ শান্তিনাথ দোহে এক অঙ্গ । সফলানগরী শ্রীহরির আবির্ভাব ও শ্ৰীহরির অঙ্গে জ্যোতিৰ্ম্মিলন।__ পয়ার। " সুফলানগরী শ্ৰীহরির আবির্ভাব। ধন্য ধন্য বলিয়া হইল জনরব। چھین. শনিবার আর যে মঙ্গল বার হলে। ঠাকুর বসিত ঝোকে ঝোকে হেলে স্কুলে ৷ প্রাতঃস্থৰ্য্যমত হ’ত ঠাকুরের মুখ। কত লোকে গিয়া তথা দেখিত কৌতুক ॥ প্রাতঃ হ’তে প্রহরেক থাকিত তেমন। ' সকলে করিত হরিনাম সংকীৰ্ত্তন ॥ ব্যাধিযুক্ত লোক যত সেই খানে যেত । মুখের বাক্যেতে সব আরোগ্য করিত। এক দিন হরি ঠাকুরের বার মানি । সফলীনগরে হয় জয় জয় ধ্বনি ॥ মহাপ্রভু বলে ব্রজ চল মোরা যাই । . কেমন হরির বার দেখে আসি তাই ॥ তাহা শুনি ব্ৰজনাথ সঙ্গেতে চলিল । দুই প্রভু একত্র হইয়া চলে গেল । শ্ৰীহরি ঠাকুর মধ্যে লোক চতুঃপার্থে। । - দুই প্রভু উপনীত হেনকালে এসে । যখনে শ্রীহরিচাদ উপনীত হ’ল । প্রাতঃস্থধ্য বর্ণ মুখ বিবর্ণ হইল । দিবসে উঠিলে চন্দ্ৰ হীনপ্রভ যেন। . শ্ৰীহরিদর্শনে তেন্নি সে হরি বিবর্ণ। ! ছিল যে ঠাকুর মুখ প্রাতঃস্থৰ্য্য বর্ণ। মুখ হতে বাহিরিল সে জ্যোতি সম্পূর্ণ ॥ " চতুঃপার্থে লোক সব করিল দর্শন। হরিচাদ অঙ্গে জ্যোতি হৈল আকর্ষণ। চুম্বকে চুম্বক দিয়া লৌহ টেনেলয় । , মেঘে সৌদামিনী যথা হ’ল তার প্রায় ॥: ' ঠাকুরের জ্যোতি হরি ঠাকুরে মিসিল । ব্ৰজনাথে লয়ে হরি নিলয় চলিল ॥ : সে ঠাকুর ডেকে বলে সবভক্ত ঠাই । যে ছিল আমাতে বাপু সে আমাতে মাই। এত দিন যার ধনে ছিন্থ অধিকারী।* যার ধন সেই নিলে কি করিতে পারি। তবে যদি ভক্তি করি পার গো ডাকিতে । মুক্তি পা’বে যার যার ভক্তির গুণেতে ॥ যে মানুষ মম দেহে আবিভূতি ছিল। ঐ ষে সে মানুষ মানুষে মিশে গেল। ---মামুঘ-মানুষ সঙ্গে মিশে গেল অ’জ । গেল রবি কহে ভাবি কবি রসরাজ । ব্ৰজনাথের দ্বারা মৃত গরুর জীবন দান । , . . - ব্ৰজা পাগল। ব্ৰঞ্জী পাগল বলে হ’ল খ্যাতি । হরিদাস হয়েছে সে ব্রজ পাগলার সাথি। - সংসারী সংসার কাজ কিছুই করে না। কোথও বসিলে আর উঠিতে চাহে না। -- ব্ৰজনাথ বিশ্বনাথ নাটু হরিচাদ। , - د - "ماء কয়জনে পাতিয়াছে পীরিতির ফাদ ॥ " কতু বৃক্ষশাখামূলে কভু বৃক্ষমূলে। কন্তু গোচরণমাঠে কভু ভূমিতলে ॥ বসিয়া থাকেন কয় প্রভু একতর। কোন কোন দিন গিয়া খায় কারুঘর ॥ কেহ কেহ ডেকে লয় সেবার জন্তেতে । বিশার জননী দেন প্রায় সময় খেতে । বেশী থাকে.বিশ্বাইর মাতার কাছেতে । মনে হ’লে কোন কাজ করে তৎক্ষণাতে ॥ তিনজনে কন্তু যদি কোন কাজ ধরে । দশ কৃষাণের কাজ করে দিতে পারে। কোন দিন কাৰ্য্য নাহি করে দিন ভরি। বড় কাজ করে যদি দ্ভণ্ড দুই চারি f
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।