পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- উপায় নাহিক আর অন্ন নাহি পায় । অন্ন বিনে দৈন্য দশ জীর্ণ শীর্ণ কায় ॥ ব্রাহ্মণী কহিছে এবে উপায় ক্‌ িকরি । অন্ত কষ্টে ইচ্ছা হয় ফাসী ল’য়ে মরি ॥ ব্রাহ্মণ কহিছে তবে ব্রাহ্মণীর ঠাই । তিষ্ঠ তিষ্ঠ অদ্য আমি ভিক্ষা লাগি যাই ॥ যদি ভিক্ষণ নাহি পাই মরিব পরাণে । শেষে তুমি প্রাণ ত্যজ মম মৃত্যু গুনে ॥ এত বলি দস্তু্য কাননেতে চলে গেল । গলে ফাস ল’য়ে দ্বিজ বুলিতে লাগিল । তাহা দেখি রাজদূত ফিরাইয়া আনে। ব্ৰাহ্মণ ব্রাহ্মণী দোহে দিল রাজা স্থানে ॥ হুকুম হইল এর সাত দিন তরে। বন্ধিভাবে থাকিবেক রাজ কারাগারে । আর সাত দিন এর বাটতে থাকিবে । রাজদূত সঙ্গে করি ভিক্ষা মেগে খাবে। এই ভাবে কষ্টে করে কালের হরএ.1–- জীয়ন্তে মরণ সম না হয় মরণ ॥ । কাঞ্চিগ্রামে এক বিপ্র বৈষ্ণব সুজন । = লীলাজী বলিয়া নাম প্রেম মহাজন ॥ সেই গ্রামে বৈশু সাধু এক সদাগর। সাধু বৈষ্ণবের সেবা করে নিরন্তর ॥ বৈশু সাধু বাড়ী সাধু আসে আর যায়। অন্য ঠাই ভ্ৰমি আসে সাধুর আলয়। . সাধু বৈশু বৈষ্ণব সেবায় মন কৈল। শত শিষ্য সঙ্গে করি লীলাজী চলিল ॥ দস্থ দুষ্ট বৃদ্ধ দ্বিজ ভেবেছেন মনে । এ সব লোকেরে সাধু খেতে দেয় কেনে ॥ পায়স পিষ্টক ঘৃত দুগ্ধাদি শাল্যণ্য।" লুচি পুরী ছানা দধি জল পান জষ্ঠ । মাল৷ ল’য়ে সাধ হ’য়ে অঙ্গে করে ফোট।। কি বুঝিয়া খেতে দেয় সদাগর বেট। এবে আমি সাধু হ’য়ে ভূলাইব লোক। x. ভিক্ষা করি খেতে পা’ব, পরিয়া তিলক ॥ লীলাজী যাইতে পথে দমু্য ধরে পায় । বলে প্রভু এক ছড়া মালা দেও আমায়। লীলাজী বলেন তোর মালাতে কি কাজ ! দসু্য বলে সাধু হ’ব ল’ব সাধু সাজ । হাসিয়া দিলেন সাধু এক খণ্ড মালা । ব্রাহ্মণ বলেন মোর গেল জtলা ॥ " . শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত। মালাট লইয়। গলে লইলেন ফোট । চুল ফিরাইয়া মাথে বাধে উভ ঝুটা ॥ হরি হরি বলি ছাড়ে ঘন ঘন ডাক । সদাগর ভবনেতে দিল গিয়া হাকসদাগর ভাবিলেন দস্থ্য এ ব্রাহ্মণ । এর যদি হ’য়ে থাকে হরিনামে,মন। বেশী করি সমাদর করিব উহারে । .তাতে যদি দস্থ্যবৃত্তি হ’তে মন ফিরে ॥ সেবাসুশ্রুষাদি বহু মতে তারে কৈল । তাহাতে দসু্যর আরো গাঢ় ভক্তি হৈল ॥. ভাবে মনে বহু দিন করি দমু্যবৃত্তি। এই মত খেতে দিয়া কেবা করে ভক্তি ॥ অন্নাভাবে দুটা ভাত খাইবার লাগি। ভাব ধ’রে হইয়াছি কপট বৈরাগী ॥ তাহাতে যে খেতে মেলে কহন না যায়। প্রকৃত বৈরাগী হ’লে আরো কিবা হয় ॥ অন্বেষী কাচের পাত্র প্রাপ্ত হৈন্তু সোণ ; সাধুপদরজ বাঞ্ছে তারক রসন ॥ দসু্যর দীক্ষাগ্রহণ । পয়ার । লীলাজীর কাছে গিয়া কেঁদে কেঁদে কয় । প্রভু মোরে শিষ্য করি দেহ পদাশ্রয় ॥ লীলাজী তাহাকে দিল কৃষ্ণ মন্ত্র দীক্ষে । বলে আমি হরি বলে মেগে খাব ভিক্ষে ॥ " সদাগর ভবনেতে ছিল যে বৈষ্ণব । হরি হরি বলে উঠে নৃত্য করে সব ॥ সবে বলে চেয়ে দেখ বৈষ্ণবের গণ । বৈষ্ণব হইয় গেল এ দস্থ্য ব্রাহ্মণ ॥ সদাগর ভাবে ডাকাইত এব্রাহ্মণ। দায় ঠেকে হরি বলে পাইতে ভোজন৷ অধিকাংশ ধন দিলে বলিবেক হরি। , খেতে পেলে আর নাহি করিবেক চুরি । এত ভাবি সদাগর তীরে দিল ধন । রজত সহস্রষুদ্রা করিল অর্পণ ॥ । আশাতীত ধন পেয়ে আনন্দ বাড়িল । , দৃঢ় করে ব্রাহ্মণ বলিছে হরি বল ॥ ধন লয়ে ভক্ত হ’য়ে দ্বিজ গেল বাড়ী। ব্ৰাহ্মণীকে কহে পূৰ্ব্ব বুদ্ধি দিয় ছড়ি . __۔ موسمی بیخچ