আদি খণ্ড । &S・ "হরি বলে ধন পাই আরো পাই খেতে । ইচ্ছা নাই আর যাই ডাকাতি করিতে ॥ ব্রাহ্মণ বৃত্তান্ত তারে কহিল সকল । ব্রাহ্মণব্ৰাহ্মণী মিলে বলে হরিবল ৷ রাজ দুত তাহ শুনি রাজাকে জানায়। শুনিয়া রাজার মন হরষিত হয় ॥ রাজা বলে প্রজ। যদি হইল বৈরাগী । রাজভেট উপহার লও তার লাগি ॥ দুই রাজদূত দুই রাজভেট ল’য়ে । স্তব করে ব্রহ্মণেরে রাজ ভেট দিয়ে । দ্বিজ ভাবে বৈষ্ণবের সাজের কি গুণ । বেশ দেখে বৈশু মোর সেবায় নিপুণ । আরে যবে কৃষ্ণমন্ত্র করিনু গ্রহণ । তাহা দেখি সদাগর মোরে দিল ধন ॥ পরম বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম ধন্য ধন্ত মানি । । রাজা দিল ভেটে দূতে কহে স্ততি বাণী ॥ বিশুদ্ধ বৈরাগী আমি যখনে হইব । নাহি জানি তখনে কি হ’ব কিনা হ’ব ॥ এ হেন বৈরাগ্য আমি কবে বা পাইব। কবে ব্রজে যাব আমি কবে দীন হ’ব ৷ এ হেন বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম আমাকে ছাড়িয়া । কোথা ছিল হরিনাম আমাকে বঞ্চিয়া ! যখন হইল মম দমু্যবৃত্তি মন। কোথায় বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম ছিলরে তখন ॥ যে নামে জগৎ ভুলে প্রেমে মত্ত হ’য়ে । সেই নাম মোরে ত্যজে ছিল লুকাইয়ে। পেয়েছি তোমাকে যদি আর কি ছাড়িব । ষে দেশে তোমাকে পাব সেই দেশে যাব ৷ আর না করিব আমি কৰ্ম্ম দুরাচার । অভেদ নামনামীন বুঝিলাম সার ॥ দসু্যবৃত্তি করি নিত্য ভুঞ্জিয়াছি দুঃখ । একদিনস্টবরাগী হইয়। কত সুখ ॥ কল্য যারা আমাকে করেছে দুর দুর। তাহার। আদরে বলে বৈষ্ণব ঠাকুর । রাজ দূত দণ্ড দিত আমাকে ধরিয়া । রাজ মোরে দণ্ড দিছে কারাগারে নিয়া । - সেই রাজা সেই দুতে ব’য়ে দেয় ভেট । বোধ হয় যমরাজা মাথা করে হেট । কিবা মন্ত্র লীলাজী দিলেন শিখাইয়।
- বৈষ্ণব হো’ক আমাকে দেখিয়া ॥
& একদিনমাত্র আমি সাধুসাজ পরি। 3. কিবা বৈষ্ণবের গুণ কহ নাহি যায়। বেশ ধরিলেই মাত্র চোর সাধু হয় ৷ আর ফিরে মোর মনে না আইসে চুরি । , একবার নাম লিলে যত পাপ হরে । পাপীর কি শক্তি আছে তত পাপ করে ॥ " ` এই জন্তে নামে হ’ল ব্রহ্মাদেব দীক্ষে । অভেদ নাম নামীন পাইকু পরীক্ষে ॥ এই জন্তে নামে হৈল বৈষ্ণবী পাৰ্ব্বতী । এই জন্য রত্নাকর ছাড়ে দমুৰ্বিত্তি ॥ নারায়ণ অংশে রত্নাকর জন্ম ধরে। নামের মাহাত্ম্য জানাইতে পাপ করে ॥ যার নাম সেই এই মাহাত্ম্য জানা’ল । আর এক কথা মোর মনেতে হইল ॥ জেনে তত্ত্ব নামে মত্ত শঙ্কর গোসাই । যার নাম তার অঙ্গ তারাই তারাই ৷ - পাপী করে পাপ তাপ সাধুসঙ্গ লয়। একবার নাম নিলে সৰ্ব্ব পাপ ক্ষয় ॥ অন্নকষ্ট ছল করে বেশ ধরিলাম । , .. অনিচ্ছাতে নাম ল’য়ে বৈষ্ণব হৈলাম ॥ আমি যে বৈষ্ণব হই আমি কেন কই। ইহাতে কি আমি বড় অপরাধী হই । আমি যে বৈষ্ণব আমি যদি নাহি কই । তাহ। ন বলিলে নামে গুণ থাকে কই । লীলাজী গুরু যে মম তার গুণ কই । | পরশ পরশে আমি বৈষ্ণব যে হই। j } g :
! পরশ পরশে যেন লৌহ হয় সোণা। । বৈষ্ণব পরশে কেন বৈষ্ণব হ’ব না ৷ হাতে তালী দিয়া বলিল যে সাধু সব। চোর ছিল দ্বিজমুত হইল বৈষ্ণব ॥ বৈষ্ণবের মুখপদ্ম বাক্য অখণ্ডিত । অই বলে আমি সাধু হইকু নিশ্চিত ॥ খেতে মুতে বসিতে আমার চিন্তা নাই। ভুক্তি দাগী লক্ষ্মীমাত কুবের সেবাই। জীব স্বষ্টি করে সে কি আহার দিবে না। o নিরবধি কৃষ্ণপ্রেম করহ ভাবনা ॥ . যে কিছু দেখহ ভাই কৃষ্ণের সকল। j আর সব ধাধা বাজী বলহরিবল ॥ ! একদিন লীলাজীউ মহোৎসবে যেতে। } সদাগর বাট যায় বহু শিষ্য সাতে ॥ .