পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 - লীলাজীর মন হ’ল দমু্য-ব্রাহ্মণেরে । দিয়াছিন্তু মন্ত্র দেখে যাই সে কি করে ॥ এতেক ভাবিয়া সাধু বাহুড়ী চলিল । দসু্য শিষ্য বাট এসে উপনীত হ’ল ৷ দুরে থেকে লীলাজীকে করি দরশন। উৰ্দ্ধবাহু করি নৃত্য করেছে ব্রাহ্মণ। ক্ষণে কক্ষবাদ্য ক্ষণে করে দণ্ডবৎ । লীলাজী চরণে নত হ’ল দণ্ডবৎ । লীলাজীকে স্কন্ধে করি নাচিতে নাচিতে । হরি হরি বলি ল’য়ে চলিল বাটীতে ॥ রাজভেট সামগ্ৰী যতেক ছিল ঘরে । ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী তাতে গুরু সেবা করে ॥ গ্রাম্য লোকে করে সুখে জয় জয় ধ্বনি । খাও খাও লও লও এই মাত্র গুনি ॥ ব্রাহ্মণের প্রেম দেখি বৈষ্ণব সকল ৷ ” গ্রাম্য লোক সঙ্গে মিশে বলে হরিবল ॥ " নগরবাসিনী রামাগণে বলে হরি L___ সাধুসেবা জন্য আনে চাল তরকারী ॥ সাধু সেবা মহোৎসব তাহাতে হইল । দ্রব্যাদি উদ্বর্ত আরো কতই রহিল ৷ সদাগরদত্ত সহস্ৰেক মুদ্রা ছিল । লীলাজী চরণে দসু্য সব এণে দিল ॥ লীলাঙ্গী বলিল সব দিলে যে আমায়। খাইতে পরিতে বাপু তোর কি উপায়। বিপ্র বলে এত দিন দেখেছি খাইয়। খাইয় ফুরাতে নারি আপনার দয়া ॥ যে ধন আমারে প্রভু করেছেন দান । ত্রিভুবনে ধন নাই তাহার সমান ॥ সত্যভামা ব্ৰতকালে দান নিল মুনি । উদ্ধব লিখিয়া দিহা নাম চিন্তামণি ॥ সে ধনমিশ্রিত রস যে বা করে পান । সুস্বাদ নাহিক আর সে সুধা সমান ॥ দয়া করি সেই সুধা খেতে দিলে মোরে । পেট ভরে খেলে সুধা আরো ক্ষুধ বাড়ে ॥ হেন যদি জ্ঞান করি আমি বড় দীন । উচ্চ শৃঙ্গে টেনে তুলে তোমার কপিন । ভবগৃহে তব ভাবশয্যায় শয়ন। নিদ্রা দেবী চৌকিদেন থাকিয় চেতন ॥ তব আশীৰ্ব্বাদে মোর বাস বহিৰ্ব্বাস । বাসে বাসে দেশে দেশে গৌরদেশে বাস ॥ वैवैशद्वतीलांमुड़ । । so রাজদূতে দণ্ড দিত ঘোর চোর জেনে । দুত রাজাভেট দেয় রাজলক্ষ্মী সনে ॥ তোমার মহিমা প্রভু জানিল সকলে। কল্য চোর অন্ত সাধু তব কৃপা বলে ॥ তব মন্ত্র বল এবে হইল প্রকাশ । ব্ৰহ্মপদ হ’তে উচ্চপদ কৃষ্ণদাস ॥ এ সব বৈভব দেখে মনে হয় হাসি । ভুক্তি সহ মুক্তি দেবী হইয়াছে দাসী। এত শুনি লীলাজীউ ধরি দিল কোল । প্রেমানন্দে সাধুগণে বলে হরিবোল ॥ গুরু কহে এবে কর তীর্থ পৰ্য্যটন। দ্বিজ কহে তীর্থ-রাজ তব শ্ৰীচরণ ॥ গুরু কহে সব লোকে করে গিয়া তীর্থ। গয়াধামে পিণ্ড দিলে ত্ৰিকুল পবিত্র । , শিষ্য বলে কর্ণে মন্ত্র দিয়াছ যে মাত্র। . তদবধি কোটি কুল স্বর্গে করে নৃত্য ৷ |- - পতিতপাবন যত বৈষ্ণবসমাজ । গেল দিন কহে দিন কবি-রসরাজ ॥ 密。

  • -- Y.

শাপভ্রষ্ট ব্রাহ্মণীর টিকটিকী রূপ

  • ধারণ ও মোক্ষণ ।

পয়ার । গুরু সঙ্গে শিষ্য কহে মধুর বচন । হেনকালে শুন এক অশ্চির্য্য ঘটন ৷ দৈবে চাল হ’তে একটিকটকী পড়ি। গৰ্ত্তিণী অবস্থা গেল পেট ফেটে মরি ॥ টিকটিক মরে গুরু সাক্ষাতে পড়িয়া । দ্বিজ কৃষ্ণদাস র্কাদে গড়াগড়ি দিয়া ॥ গুরুর সম্মুখে কেন জীবহত্যা হ’ল । পেট ফাড়ি গড়াগড়ি কত কষ্টে মল ॥\ তাহাতে এতেক কষ্ট টিকটিকী পেল। কি হ’ল কি হ’ল বলে কঁাদিতে লাগিল ॥ এত কষ্টে গুরু হে জেষ্ঠীর মৃত্যু হয়। দেখে দুঃখে বুক ফাটে প্রাণ বাহিরায় ॥ হরি তরি বলি দ্বিজ কাদিতে লাগিল । ভগ্ন ডিস্ক হ’তে ছানা বাহির হইল ॥ গুরু কহে ছানা বাচে আর র্কাদ বৃথা । বিপ্র কহে কষ্ট পেল এই মম ব্যথা ॥ . i