- w- “
- जैजैइदिनीलोन्नड
তাতে মাত্র দেখা যায় অগ্নির মণ্ডল । দণ্ড না দেখায় অগ্নি দেখায় কেবল । তেমতি মঙ্গল যবে ঘুরাইত মুখ। এক মঙ্গলের দেখাইত শত মুখ ॥ বড় প্রেম উথলিয় পড়িত গোবিন্দ । কক্ষ বাদ্য করি হেলি দুলিয়। আনন্দ ॥ পিছেতে প্রভুকে রাখি বিমুখ হইয়। প্রভুর মুখেতে মুখ থাকিত চাহিয়া ॥ প্রেমে ঝাক ঝাকি নাকে শ্লেষ্মা উঠিয়া । প্রভুঅঙ্গে পড়িত যে ছুটিয়া ছুটিয়া ॥ নাকে মুখে চখে যাহা যেখানে পড়িত। যত্ন করি প্রভু তাহা অঙ্গেতে মাখিত। কক্ষবাদ্য করি রামকুমার ভকত। কীৰ্ত্তন মধ্যেতে হেলে দুলিয়া পড়িত। এইরূপে ভক্ত বৃন্দ হয়ে একতর। দিক নাই কে পড়িত কাহার উপর ॥ মহাভাবে চিত্তানন্দ হৃদয় আহলাদ । গম্ভীর প্রকৃতি যেন প্রভু হরিটাদT® ভূক্তগণে প্রেমোন্সক্ত হইত যখন। বিকৃতি আকার প্রভু হইত তখন ॥ ক্ষণে কৃষ্ণবর্ণক্ষণে গৌরাঙ্গ বরণ। রক্ত জবা তুল্য হ’ত যুগল লোচন4 ক্ষণে দুৰ্ব্বাদল শুাম ক্ষণেক পাটল । ক্ষণে নীলৎপল বর্ণনয়নযুগগ : - ভক্তগণে হুঙ্কারিত বলে হরিচাঁদ। সে ধ্বনি শ্রবণে য়ৈম মত্ত সিংহনাদ ॥ সবেলোকে মত্ত হয়ে দিত হরিধ্বনি। . তাহাতে হইত যেন কম্পিত মেদিনী । কেহ না জানিত দিবা কিভাবেতে গেল । না জানিত যামিনী কি ভাবে গত হ’ল ৷ প্রেমানন্দ সদানন্দ আনন্দে বিভোল । ভণে তারক চন্দ্র বল হরিবল। প্রভুর নূতন বাট বসতি। পয়ার । - *. একদা প্রভুর জ্যেষ্ঠ নামে কৃষ্ণদাস . . ঠাকুরেকে কহে ডেকে শুন হরিদাস ॥ আমরা সকলে থাকিলাম এক বাড়ী । , তুমি বা একাকী কেন থাক সবে ছাড়ি।
- {
এস সবে একেত্রেতে"সুখে করি বাস । তাহ শুনি মহাপ্ৰভু যেতে কৈল আস। এ সময় জমিদার এসে ওঢ়ার্কাদি । পূৰ্ব্ব বাড়ী যাইবারে করে কাদার্কাদি। ন হইল পঞ্চ ভাই তাহাতে স্বীকার । । কঁদিতে কঁাদিতে ফিরে গেল জমিদার ॥ আমভিট। ত্যজি প্ৰভু পোদার বাটীতে । পাচ ভাই বসতি করিল এক সাতে ॥ নড়াইল বাসীবাবু নাম রামরত্ন । জমিদার বসাইল করি বহু যত্ন ॥ * রামরত্ব হরনাথ আর সীতানাথ। । এ তিনের নাম নিলে হয়-সুপ্রভাত ॥ তেলীহাট পরগণে ইহার মালেক। আমিরারাজ ওঢ়াকান্দী জমিদার এক । - এই ওরার্কাদি প্রভু করেন বসতি। . . --------- সমাদরে জমিদার করিলেন স্থিতি ॥. _ভকত ভবনে প্রভু যাতায়াত করে। , , ভক্ত সঙ্গে থাকে রঙ্গে আনন্দ অন্তরে - ওঢ়াকান্দি আর ঘূতকান্দী মাচকাদি। কুমারিয়া চন্দ্ৰদীপ আর আড়ে। কান্দী। .. ' ইত্যাদি অনেক গ্রাম চতুঃপাশ্বে রয়। ভক্তি করি যে ডাকে তাহার বাড়ী যায়। -ভক্তবৃন্দ পান করে কৃষ্ণ প্রেম রস । হাসে র্কাদে নাচে গায় অন্তরে উল্লাস ॥. ; দুই পুত্র তিন কন্যা ল’য়ে ঠাকুরাণী। সুখের সাগরে ভাসে লোচন'নন্দিনী ॥ ভকত ভবনে ফিরে প্রভু হরি চাঁদ। বাঞ্ছা পূর্ণ করে হরি যার যেই সাধ । যেখানে যেখানে আছে প্রভুর ভকতু। ক্রমে এসে এক ঠাই হয়েন একত্র : , এই ভাবে ওঢ়াকাদি কালাতিবাহিত। . ভক্তগণে আসে যায় হয়ে হরষিত ॥ কোন কোন দিন প্ৰভু ভক্তগণে ল’য়ে। পুষ্করিণীতীরে গিয়ে থাকেন বসিয়ে। একে একে ভক্ত সব মিলিত আসিয় ॥ কখন বসিত প্রভু তৃণাসন করি। ভক্তগণে বসিয়া বলিত হরি হরি ॥a