গোলোক মাতিল আর মাতিল বদন । নারিকেল বাড়ী ধন্ত তাদের কারণ। ঠাকুর পাইয়া হ’ল জগতে আনন্দ । মাতিয়াছে দশরথ আর মহানন্দ ॥ । ইহা দেধি দ্রবীভূত নহে মম মন । যেমন মানুষ আমি হ’য়েছে তেমন ॥.
- জ্ঞান হয় ওঢ়াকাদি স্বয়ং অবতার। -
তিনি বিনে পতিতের বন্ধু নাহি আর ॥ " রাউৎখামার হ’ল প্রেমের বাজার । প্রেমের পাথরে সবে দিয়াছে সাতার। ওঢ়াকাদি হ’তে প্রেম বন্ত উথলিল । আমি বিনে জগতের সকলে ডুবিল। . মরিলে ঠাকুর দেখে পরকাল পাব । শেষে বিষ খেয়ে আমি আত্মঘাতী হ’ব ৷ বিষ কিনে লইলেন কাপড়ে বাধিয়া । এ বিষ খাইব ঠাকুরের কাছে গিয়া। বিষ ল'য়ে ওঢ়ার্কাদি উপনীত হ'ল-L-— প্রভুর নিকটে গিয়া কাতরে বসিল ॥ । প্রভু বলে মৃত্যুঞ্জয় এলি ওঢ়াকাদি। . পরিধান কাপড়েতে কি আনিল বাধি ॥, -অমনি বিস্ময়ান্বিত হ’ল মৃত্যুঞ্জয় । মুখপানে চেয়ে র’ল কথা নাহি কয় ॥ বসন টানিয়া প্ৰভু বিষ খসাইল । ; বাহির করিয়া নিজে বিষ পান কৈল ॥ এলি এই বিষ খেয়ে মরিবার তরে ৷ ” ওঢ়ার্কাদি এলে কিরে বিষে লোক মরে ॥ এই বিষ খেয়ে বাছা মরিতে কি তুমি । এই ত খেলাম বিষ মরিত না আমি ॥ মৃত্যুঞ্জয় মনে মনে ভাবিতে লাগিল। ফাকি দিয়া বেণে বেটা বিষ নাহি দিল ॥ বিষ না দিয়া বণিক দিয়াছে সে কুড় । বিষ নহে এতে কেন মরিবে ঠাকুর ॥ - পুনভাবে এই বিষে ঠাকুর মরিলে প্ৰহাদ মল না কেন অগ্নিবিষানলে। বিষপানে মরিল না ভোলা বিশ্বনাথ । কালীয় শ্ৰীকৃষ্ণ অঙ্গে কৈল দ্বন্তাঘাত । হইলে সামান্ত লোক হইত নিপাত। নিশ্চয় বুঝির ইনি প্রভু জগন্নাথ ॥ বিষপানে মরিতেন মানব হইলে । আমার মনের কথা কেমনুে জানিলে । শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত। | আমি যে এনেছি বিষ গোপন করিয়া। . কেহ নাহি জানে আনি কাপড়ে বাধিয় ॥ |. গোপনে রেখেছি কিসে পাইল সন্ধান । - প্রভু বলে যদি মোরে দেহ দিলি ধরিত্ন । শ্ৰীনাথ শ্ৰীমুখরাক্য যখন বলিল। ; সস্ত্রীক সেবেন হরি চাদের শ্ৰীপদ । অন্তৰ্য্যামী ইনিত স্বয়ং ভগবান ॥ প্রভু কয় মৃত্যুঞ্জয় শুন রে বচন । বিষ খেয়ে মরে ষে সে মানুষ কেমন ॥ নিজ দেহ প্রতি যার দয়ামায়া নাই । সে ভাল বাসিবে পরে বিশ্বাস ন পাই ॥ মৃত্যুঞ্জয় কহে প্ৰভু তোমার সাক্ষাতে। মরিব বিষের বিষে ভয় কি তাহাতে ॥ প্রভু বলে যদি তোর মরিবার ইচ্ছে । བ། ༽ মরিলিত ভাল ক’রে মর মোর কাছে ॥ - পড়ে পদে মনোখেদে বলে মৃত্যুঞ্জয় । দোষ ক্ষমা করি প্রভু রেথ রাঙ্গা পায় ॥ ... " দীন দয়াময় দয়া কর একবারন , “.ে - আমিও তোমার প্রভু এ দেহতোমার । ব্যাধি মুক্ত হ’ল, তুই বল হরি হরি গ্রু ব্যাধিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় নাচিতে লাগিল ॥: { মৃত্যুঞ্জয় ধরি হরিচরণযুগল। :; : ' বলে হরিবল হরিবল হরিবল ॥ মৃত্যুঞ্জয় পাইল প্রভুর শ্রীচরণ। কহিছে তারক হরিবল সৰ্ব্বজন ॥ শ্ৰীহারামন পাগলের উপাখ্যান পয়ার । " " মৃত্যুঞ্জয় হরি বোলা হ’ল ভাগ্যক্রমে যাতায়াত করে প্রভু মল্পক্টাদি গ্রামে মৃত্যুঞ্জয় ভবনে আসেন হরিচাদ। : দুই চারি দিন বাট থাকেন নির্জ হরিচাদ গুণ গায় শয়নে স্বপনে ॥: হরিচাদে না দেখিলে প্রাণ উঠে কঁাদি:া ঠাকুরে দেখিতে যেত ক্ষেত্র ওঢ়াকাদি । - * ঠাকুরের পাদপদ্ম দরশন করে।" কন্তু মল্পর্কাদি গ্রামে আনে নিজ ঘরে । মৃত্যুঞ্জয়ের রমণী কালীশ্বরী নাম । সাধ্বী সতী পতিব্ৰতা জপে হরিনাম। " / " / /