পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়--সন্ন্যাসে নাপিত করিয়াছিল ; প্রভূ তাহাকে স্বর্গের আশা দিয়া বশীভূত করিলেন । কিন্তু যে স্বর্গ মোক্ষ, ধৰ্ম্ম পুণ্য কিছুই চায় না, তাহাকে প্রভু মুগ্ধ করিতে পরিলেন ন—নিজেই দুগ্ধ হইয়া বাধা পড়িলেন। প্ৰভু তখন প্রেমপূর্ণনয়নে হরিদাসের পানে চাহিলন । সে দৃষ্টিতে ব্ৰহ্মাণ্ড দ্রবীভূত হয় । হরিদাস কাপিয় উঠলেন, তাহার দেহ কণ্টকিত হইল, একটা অব্যক্ত শক্তি আসিয়া তাহার হৃদয়-কপাট ভাঙ্গিয়া ফেলিল। হৃদয়ের প্রত্যেক রক্তবিন্দু উন্মুখ হইয় প্রভুকে দেখিতে লাগিল। হরিদাস ভুলুষ্ঠত হইয়া প্রভুকে প্রণাম করিলেন ; এবং যুক্ত করে বাষ্পরুদ্ধকণ্ঠে কহিলেন, “আমি বুঝেছি তুমি কে ঠাকুর । তুমি সেই ত্ৰিলোকের নাথ ; সেবার কৃষ্ণ হয়ে দুৰ্য্যোধনকে মারতে এসেছিলে, আর এবার গৌর হয়ে আমাকে বধ করতে এদেছ। প্রভূ, আমাকে দয়া কর—ও মাথায় হাত দিতে আজ্ঞা করে না।” । *u. প্রভূ । আমি মিনতি করছি—আমার প্রতি তোমার যদি বিন্দুমাত্র ও স্নেহ-দয়া থাকে, তবে আমায় উদ্ধার কর হরিদাস ! হরিদাস। প্রভুর আজ্ঞা লঙ্ঘন করি, এমন সাধ্য আমার নাই। কিন্তু ত্রিলোকনাথ, আমার এক নিবেদন আছে। আমার জাতি ব্যবসা, পরের পায়ের নখ ফেলা । যে হাত তোমার মাথায়;দেব, সে হাত কেমন করে মানুষের পায়ে দেব প্রভু ? আমি তোমার নাপিত হ’য়ে আবার কা’র ক্ষেীরী করব ? br"