পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়—আহবান তুলেছে। আর ত কিছু শুনতে পাচ্ছি না—সব সুর ; প্রত্যেক রক্তবিন্দু সেই সুরে ধ্বনিত হ’চ্ছে। এ কি, ধ্বনির কি রূপ আছে ? এ যে অতি মোহন রূপ ! রূপে আমার হৃদয় ভরে গেল, বিশ্ব সংসার রূপে আলো হ’ল । রঘুনাথ বিহবলচিত্তে ধরণী:পৃষ্ঠে বসিয়া পড়িলেন । গোবৰ্দ্ধন জল জল করিয়া চিৎকার করিয়া উঠিলেন। হিরণ্য গম্ভীরভাবে মাথা নাড়িয়া বলিলেন, “উহু জলে কিছু হবে না ; রঘু রূপ চায় ; রূপ এখন কোথায় পাই ? হয়েছে—বউমাকে সাজিয়ে গুজিয়ে ত্বরায় নিয়ে এস ; চল, আমরা অন্তরালে দাড়িয়ে দেখি ব্যাপারটা কতদূর দাড়ায়।” ব্যবস্থাটা গোবৰ্দ্ধনের পছন্দ না হইলেও তাছাকে সম্মত হইতে হইল। রত্নভূষিত ইল্ললা সত্বর আসিয়া স্বামী-সন্নিধানে দণ্ডায়মান হইলেন । রঘুনাথ তাহ লক্ষ্য করিলেন না ; তিনি মৃদুকণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, “আহা কি রূপ!” ইল্ললা স্বামীর সম্মুখে বসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কর রূপ দেখে তুমি এমন ক্ষেপে উঠেছ ?” রঘুনাথ। তুমি কে ? তুমি কি সেই রূপময় রূপ ? না, না, তুমি অতি কুৎসিৎ ; সরে যাও, আমি তোমাকে চাই নে। ইল্ললা । বুঝেছি তোমার মন তোমাতে নেই। ঠাকুরকে বলছি ত তোমার আর একটা বিয়ে দিন, আমি বাপের বাড়ী চলে যাই । S&○○