পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়–অমর গৌড়ে ঘোড়াটিকে সুলতানের মনে ধরিল । দেখিলেন, সেই অশ্বের বল্লা ধরিয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছেন, স্বয়ং অশ্বশালাধ্যক্ষ। সুলতান প্রত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি এ অশ্ব কোথায় পাইলে ?” - অমর | জাহাপনার শালে ছিল । স্কুল । সে কি ! এমন ঘোড়া থাকতে আমাকে এতদিন একটা গিধবড় দেওয়া হ’ত ! t Y ভূতপূৰ্ব্ব অশ্বশালা-রক্ষক দেখিল, মহাবিপদ ; কি বলিতে যুক্ত করে সে অগ্রসর হইল। অমর তাহাকে সে সুবিধা না দিয়া পুনঃ পুনঃ কুণিষ করিতে করিতে নিবেদন করিলেন, “এর পিঠে চাপলেই জাহাপনা বুঝতে পারবেন এমন তেজী ঘোড়া সম্রাট লোদিরও নেই।” . *# সুলতান প্রীতমনে অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণ করিলেন। অমর অশ্ববল্প ছাড়িয়া দিয়া দ্বিতীয় অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণ করিলেন এবং স্কুলতানের অগ্রবর্তী হইয়া, বিলম্বিত বৃক্ষশাখা তরবারির আঘাতে ছেদন করিতে করিতে অগ্রসর হইলেন। গোপীনাথ প্রভৃতি প্রাঙ্গণে দাড়াইয়া অমরকে দেখিতে লাগিলেন। বিতাড়িত অশ্বশালা-রক্ষক যুক্তকরে উজিরকে কহিলেন, “হুজুর, এ ঘোড়া এখানে ছিল না, . হালে দিল্লী হতে আনিয়েছে। একটা মিথ্যাকথা বলে স্বচ্ছদে আমাকে অপদস্থ করলে ; কথাটা আমাকে ভেঙ্গেও বলতে । দিলে না ।” - Rసె