পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়–অমর গৌড়ে একটু হাসিয়া গোপীনাথ, অমরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ব্যাপারটা কি হ’য়েছিল অমর ?” অমরনাথের মুখ লাল হইয়া উঠিল ; তিনি অবনতবদনে বলিলেন, “ব্যাপার অতি সামান্ত ; সুলতান বাঘটাকে সড় কি দ্বার আঘাত করে মাটির সঙ্গে গেথে ফেললেন ; আঘাতটা এত জোরে হয়েছিল যে, সড় কি ভেঙ্গে গেল, বাঘ আবার ঠেলে উঠল। আমি—আমি ভয়ে সুলতানের পশ্চাতে লুকিয়ে চীৎকার করে উঠলুম, ‘সুলতান রক্ষা করুন। সুলতান তখন খড়ের্গর আঘাতে ব্যান্ত্রের শিরশেছদ করলেন। আমি আর করিছি কি ? খা সাহেবের মত প্রাণভয়ে না পালিয়ে সুলতানের পশ্চাতে ছিলাম, এই যা ।” সভাতল নিস্তব্ধ ; অনেকেই বুঝিলেন, অমরনাথ আগাগোড় মিথ্যা বলিতেছেন। সুলতান বলিলেন, “আমার তরবারিও আঘাতের প্রচণ্ডতায় ভেঙ্গে গেছে । আচ্ছা পুরন্দর, এ দেশে ভাল ইস্পাত জন্মায় না কেন ।” - - পুরন্দর ইচ্ছাপূর্বক কোন উত্তর না দিয়া অমরনাথের পানে চাহিলেন। অমর কি বলিতে উঠিতেছিলেন, কিন্তু গোপীনাথের সকৌতুক দৃষ্টি, তাহার নয়নে পড়িবামাত্র তিনি আর উঠলেন না। । কেশব ছত্ৰী বলিলেন, “জন্মায় বই কিজাহাপনা ।” সুলতান । তোমার কি অভিপ্রায় অমরনাথ ! w))