পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় ; বনভাগ প্রভৃতি স্থানের ব্রাহ্মণ বিবরণ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১০১ গৃহেই ঐ বিগ্রহ স্থাপন করিয়া পূজা করিতে লাগিলেন। সুদামের পুত্রদ্ধয় শ্রীহট্টের নবাব হইতে ঐ দেবতার বৃত্তি দৈনিক দুই পণ কৌড়ি মঞ্জুর করাইয়া লন। রাজারাম সুদামের জ্যেষ্ঠ পুত্র, ইহার পুত্রের নাম বলভদ্র; বলভদ্রের সুসন্তান না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাহাকে নিঃসন্তান জানিয়া তদীয় পৈত্রিক বৃত্তির এক অংশে একপণ রহিত করিয়া দিয়াছিলেন। কিন্তু পরে তিনি নিকটবৰ্ত্তী বংশ হইতে নীলাম্বর নামে এক দত্তকপুত্র গ্রহণ করেন। এই নীলাম্বরের বংশধর বর্গ মধ্যে অনেক প্রধান ব্যক্তির উদ্ভব হইয়াছিল। ব্রাহ্মণ ও সিপাহী ও গোলাপগঞ্জের ঘাটি * সুখদেবের পৌত্র শ্ৰীবল্লভের তিন পুত্র হয়, তন্মধ্যে ও কনিষ্ঠ, উভয়েই শ্রীহট্টের সরকারী সৈন্যদলে সৈনিকের কৰ্ম্ম স্বীকার করায়, ভবানীবল্লভ সিংহ ও রামবল্লভসিংহ নামে খ্যাত হন। শ্রীহট্ট শহর হইতে প্রায় দশ মাইল পূৰ্ব্ব-দক্ষিণে, গোলাপগঞ্জে নদীর উপরে একটি টীলা দৃষ্ট হয়, পূৰ্ব্বে এই স্থানে একটি ক্ষুদ্র ঘাটি ছিল। জয়ন্তীয়ার অসভ্য খাসিয়াদের অত্যাচার নিবারণ কল্পে এ স্থানে কয়েকটি সৈন্য থাকিত; উক্ত দুই ভ্রাতা সেই ঘাটির অধিনায়ক ছিলেন এবং তথায় থাকিতেন। ভবানীবল্পভের এক পুত্র একদা ভ্রমণোপলক্ষে পং পানিশালির আখড়াতে গমন করিয়াছিলেন, শাস্ত্রালাপ প্রসঙ্গে তত্ৰত্য বিজ্ঞ অধিকারী-বৈষ্ণব তাহাকে বিশেষভাবে লজ্জা দান করিলে তিনি তাহাতে নিতান্ত অপমান বোধ করেন এবং আর বাড়ীতে না গিয়াই বিদ্যা লাভের জন্য তথা হইতে "দ্রাবিড়" দেশে গমন করেন ও বেদাদি অধ্যয়ন পূৰ্ব্বক দ্বাদশ বৎসরান্তে পানিশালির মূল স্থান হয়বতনগরের আখড়াতে বিচারার্থী হইয়া উপনীত হন; তথায় গোসাঞি ২৯. কৃষ্ণকান্ত ভট্টচার্যের বিস্তৃত বংশের একটি ক্ষুদ্র শাখা নিম্নে উদ্ধৃত করিলামঃ ཨཱལ་ཤ་ཝeཐོis་རྨ ಶ್ಲಾ ನಿ! |