পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় বুরুঙ্গা, রেঙ্গা ও ঢাকাদক্ষিণের ব্রাহ্মণ বং পুনঃ পরগণা-বুরুঙ্গা প্রথম অধ্যায়ে ঘৃতকৌশিক গোত্রীয় আদিদেবের বুরুঙ্গায় অবস্থিতির কথা বলিয়াছি, এই আদিদেবের ষষ্ঠ পুরুষে হিরণ্য গর্ভের উদ্ভব হয়; হিরণ্য গর্ভের কন্যার নাম চণ্ডীদেবী । চীদেবীর সহিত মধুকর মিশ্রের বিবাহ প্রসঙ্গও পূৰ্ব্বে বলা গিয়াছে। আদিদেবের বংশের ধারাবাহিক বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া যায় নাই। শ্রীহট্টের খ্যাত নামা সুকবি শ্রীযুক্ত শরচ্চন্দ্র চৌধুরী এই বংশেই জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, তৎপ্রদত্ত বিবরণে লিখিত আছেঃ– “হিরণাগর্ভে ছয়, সদাশিবে নয়। মায়ের শাপে আটপুরুষ একপিণ্ডা হয়৷”—প্রাচীন প্রবচন । “রচয়িতা কে, জানিবার উপায় নাই। এই কবিতার অর্থ আদিদেবের পুত্র হইতে হিরন্ময়গৰ্ভ ষষ্ঠ পুরুষ, আদিদেবের পুত্র হইতে সদাশিব পৰ্য্যন্ত আট পুরুষ একপিণ্ডা বা একান্বয়ী অর্থাৎ বংশের মধ্যে পিণ্ডদানের যোগ্য একটি মাত্র পুরুষেরই বংশ থাকিত। মায়ে শাপে'–কাহার মা কাহাকে কিজন্য শাপ দেন, জানিবার উপায় নাই।” সদাশিব ও বেগম সদাশিব আদিদেবের বংশে সুতরাং একাকী ছিলেন। সদাশিব ধৰ্ম্মনিষ্ঠা ছিলেন, বিষয় ব্যাপৃত থাকিতে চাহিতেন না; তাহার উদাস মন দেশ দেশান্তরে ঘুরিয়া ফিরিত; অবশেষে তিনি দেশত্যাগের সঙ্কল্প করিলেন, মন অধৈৰ্য্য হইয়া উঠিল। একদিন ত্রিশূল ও জপমালা মাত্র সম্বল সহ সস্ত্রীক বাটী পরিত্যাগ করিয়া চলিলেন । , সদাশিবের পত্নী তখন গর্ভবতী। স্ত্রীলোক তাহাতে নলবনাকীর্ণ দুর্গম পথ, ক্রোশৈক পরিমিত রাস্তা চলিয়াই তিনি পৰ্যটন পরাঙ্খাখী হইয়া অবসন্নদেহে উপবেশন করিলেন। দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সদাশিব আর গৃহে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন না, সেই স্থানেই হস্তস্থিত ত্রিশূল প্রোথিত করিলেন ও শুষ্কনল সংযোগে অগ্নি প্রজ্বলিত করিয়া উপবেশন পূৰ্ব্বক জপ করিতে লাগিলেন। “যাহাকে পেনশন দেওয়া যাবেক" নম্বর নাম পেনশনদার নাম হাল মোট সনদ সাবেক পেনশদান পেনশন ৩২ নং উদয় রাম শৰ্ম্মা পূজারী রামগতি মিশ্র ১৮ আঠার টাকা তৎকালে মোক্তারপুর পরগণায় চান্দখা নামক এক প্রতাপাম্বিত ভূম্যধিকারী ছিলেন, সাধারণতঃ প্রজাবৰ্গ তাহাকে নবাব ও তদীয় পত্নীকে বেগম নামে অভিহিত করিত। এই চান্দ