পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় : বুরুঙ্গা, রেঙ্গা ও ঢাকাদক্ষিণের ব্রাহ্মণ বংশ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৮৫ জয়রামের মৃত্যু হয় এবং ১১৯৩ সালে নরোত্তমেরও মৃত্যু হয়; নরোত্তমের পর গোপীনাথ বিগ্রহ জনৈক সন্ন্যাসীকে প্রদত্ত হয়। পালপাড়ার বংশ ঢাকাদক্ষিণের পালপাড়া গ্রামে ভরদ্বাজ গোত্রীয় এক বংশ ব্রাহ্মণ আছেন, ইহাদের উপাধি লস্কর। “লস্কর” সৈনিকদের একটি পদ। এই উপাধি দ্বারা বুঝা যায় যে, উক্ত ব্রাহ্মণ বংশীয়গণ পূৰ্ব্বে শ্রীহট্টের নবাবি সৈন্য-বিভাগে কৰ্ম্ম করিতেন। এবংশে উদয়নারায়ণ ও জয়শঙ্কর শেষ সৈনিক কৰ্ম্মচারী। উদয়নারায়ণের প্রপৌত্র লংলা পরগণাস্থ কুলাউড়া, গ্রামে বৰ্ত্তমানে বাস করিতেছেন ॥১৭ শ্রীহট্টের ব্রাহ্মণগণ মধ্যেও বহুতর বীরবংশ ছিল, লস্কর বংশই তাহার উদাহরণ। লংলা পরগণার ৪৬৩নং তালুক উদয় নারায়ণের নামে নামান্বিত হইয়াছে। সাবর্ণ গোত্র সাবর্ণ গোত্রীয় প্রাচীন এক ব্রাহ্মণ বংশ ঢাকাদক্ষিণের ব্রহ্মপুর গ্রামে অবস্থিতি করিতেন। দত্তরালি ও কানিশালির সন্নিকটে ঐ গ্রাম এখন জঙ্গলাবৃত হইয়া রহিয়াছে; কিন্তু অশীতি বৎসর পূৰ্ব্বে উহা একটি ব্রাহ্মণ বসতি ছিল। তারা শঙ্কর চক্ৰবৰ্ত্ত নামক সামবেদী সাবর্ণ গোত্রীয় জনৈক ব্রাহ্মণ কোন কারণে স্বদেশ বরিশাল ত্যাগ করিয়া এ স্থানে আগমন করেন, তিনি নিজ জন্মস্থানের স্মরণে ঢাকাদক্ষিণে আপন বসতি স্থানকে ব্ৰহ্মপুর নামে সংজ্ঞিত করেন বলিয়া কথিত আছে। আরও কথিত আছে যে নবাব হইতে তিনি ধরাধর খ্যাতিতে পরিচিত হইয়াছিলেন; ইহার বংশধরবর্গ এখন ঢাকাদক্ষিণবাসী। ১৭. উদয় নারায়ণের প্রপৌত্র খ্ৰীযুক্ত বৈকুণ্ঠ নাথ চক্ৰবৰ্ত্ত আমাদিগকে যে উদয় নারায়ণে বৰ্ম্ম ও তরবারি তাহারা পাইয়াছেন এবং তাহার নামের মোহরাঙ্কিত কাগজও প্রাপ্ত হইয়াছেন।