পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > २ கம் ஆக ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ৯ম অঃ — স্বতরাং এ বিষয়ে যতদুর আলোচনা s可忆可可可亨9刃 উচিত ছিল, তাহ হয় নাই ।” “এই ঘটনার কয় বৎসর পরে ১২৮৬ সালের মাঘ মাসে গোটাটিকর নিবাসী শ্রদ্ধেয় পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত বিরজা নাথ দ্যায়বাগীশ একদা রজনীযোগে স্বপ্নে দেখেন, সেই ব্রহ্মানন্দপুরী তাহাকে বলিতেছেন, ‘চল, শিবটলায় যাইয়া তোমাকে শিব দেখাই।’ এই বলিয়া সন্ন্যাসী, পণ্ডিত মহাশয় ও র্তাহার দুই ছাত্রকে লইয়া শিবটালায় গমন করিলেন ও র্তাহার নির্দেশমতে পূর্বোল্লিখিত শিখরস্থিত সেই স্তুপ খনন করিয়া শিব দেখিতে পাইলেন। এই অদ্ভূত স্বপ্ন দেখিয়া প্রাতঃকালে পণ্ডিত মহাশয়, স্বপ্নের কথা কাহাকেও না বলিয়া তদ্বিষয় চিন্তা করিতেছেন, এমন সময় ছাত্র দুইটি পণ্ডিত মহাশয়ের নিকট আসিয়া বলিল যে, তাহারাও সেই রজনীতে স্বপ্নে সেই সন্নাসী ও পণ্ডিত মহাশয়ের সঙ্গে শিবটালায় যাইয়া স্তপের ভিতর হইতে শিব বাহির করিয়াছে ! ( এই ছাত্রদ্বয়ের মধ্যে আখালিয়া বাসী কৃষ্ণকুমার ভট্টচার্য্য এখন মৃত, এবং জানাইয়া নিবাসি শ্ৰীযুক্ত কৈলাস চন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য জীবিত আছেন ।* ) স্বপ্ন দেখিয়া পণ্ডিত মহাশয়ের চিত্ত সংশয়ে দোদুল্যমান ছিল, কিন্তু ছাত্রদের বৃত্তান্ত শুনিয়া তাহার বিশ্বাসপ্রবণ হৃদয় হইতে সংশয় দূর হইয়া গেল, তিনি সানন্দ চিত্তে ছাত্রবর্গ ও প্রতিবাসীদিগকে সঙ্গে লইয়৷ স্তপ খনন করিতে শিবটালায় গমন করিলেন। সন্ন্যাসী স্বপ্নে যেইরূপ দেখাইয়া দিয়াছিলেন, সকলে মিলিয়া ঠিক সেইরূপ ভাবে স্ত,প খনন করিতে লাগিলেন। প্রথমেই একখণ্ড প্রস্তর পাওয়া গেল, প্রস্তর সরাইয়া দেখিলেন, তাহার নিয়ে শিবের উপরিভাগ দেখা যাইতেছে । ক্রমে চারিদিক হইতে বৃক্ষ ও মৃত্তিক সরাইলে শিবের গৌরীপাট পৰ্য্যন্ত বাহির ভৈরব প্রকাশ ।

  • শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্র চৌধুরী মহাশয়ের প্রবন্ধ লিখিবার বৎসর কাল পরেই কৈলাসচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় কৈলাসধামে শিবসাযুজ্য লাভ করিয়াছেন। তিনি তৰ্কশাস্ত্রের পরীক্ষায় প্রথম হইয়া তর্কতীর্থ উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন ।