পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bア শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ ২ভl; ১ম থ: πππΦημmu গণ পূৰ্ব্বাঞ্চলীয় বহুতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজা অপেক্ষ ক্ষমতায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন। তাহাদের রাজধানী পূৰ্ব্বকালে, কামরূপের সন্নিকটে “কেপল” নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। সে প্রাচীন রাজ্যের রাজধানীর নাম ত্রিবেগ । পরে কাল সহকারে এই ত্রিবেগ নগরী পরিত্যক্ত হয়, এবং তাহ হইতে বত্তমান কাছাড় ও তৎপরে শ্রীহট্টের ভিন্ন ভিন্ন অংশে রাজধানী স্থাপিত হয়। প্রাচীন রাজমালা গ্রন্থে লিখিত আছে যে ত্রিলোচন-তনয় দক্ষিণ, কোপল বা কপিলা তীরবর্তী রাজপাট পরিত্যাগ পূর্বক বরবক্রতীরে রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন।* বরবক্র উজানস্থ সে প্রাচীন রাজধানী বত্তমান কাছাড় জিলার মধ্যেই অবস্থিত ছিল। এই রাজধানীতে র্তাহারা অধিক দিন ত্রৈপুর রাজগণের মন করে ছিলেন না। উক্ত খলসা রাজধানী মনোমত না হওয়ায় ইহাও পরিত্যাগের কল্পনা করা হয়। + সম্ভবতঃ ৩৪ পুরুষ পরে সেই রাজধানীও পরিত্যক্ত হইয়াছিল। ত্রৈপুর রাজগণ যজ্ঞপরায়ণ ছিলেন, মহারাজ তরদক্ষিণ নূতন রাজধানী স্থাপন করিয়া সৰ্ব্বদা যজ্ঞাদির অনুষ্ঠান করিতেন । ৫ যে মহারাজ ত্রিপুর হইতে এই বংশীয়ের প্রাধান্য, সেই ত্রিপুর হইতে একষষ্টিতম নকবি শুক্রেশ্বর ও বাণেশ্বর কর্তৃক ১৩২৯ শকাব্দে রাজমালা রচিত হয় তাহতে লিখিত আছে :– "কপিলা নদীর তীরে ছাড়ি দিয়া ; একাদশ ভাই মিলি মন্ত্রনা করিয়া, সৈন্য সেনা সমে রাজা স্থানান্তরে গেল। বরবক্র উজানেরে থলংস রহিল৷ ”——রাজমালা। “না রহিব এখাতে যাইব অন্ত স্থান । মন স্থির করে রাজা যাইতে উজান ॥” ——রাজমালা । ঃ "তরদক্ষিণ নাম রাজা তাহার তনয় । বহুকাল পালে রাজ্য নিতি যজ্ঞময়।”—য়াজমালী ।