পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెఇ শ্ৰীহটের ইতিবৃত্ত। t २ङां: २ध थः মিশ্রিত সংস্কৃতেই দলিলাদি লিখিত হইত।* শ্ৰীহট্টের কথ্য ভাষায়ও অনেক অবিমিশ্র সংস্কৃত শব্দ পাওয়া যায়।

  • এইরূপ একথান দলিলের প্রতিলিপি নিম্নে দেওয়া গেলঃ– "শ্ৰীনকল পাট্টা অজ করার মাহে ২৫ আসাড় সন ১৮৯২ সাল স্বস্তি দ্বিনবতু্যত্তরসহস্রতমাব্দে আসাড়স্ত পঞ্চবিংসতি বিদসে শ্ৰীশ্ৰীমতাং সুলতান আরঙ্গসাহ পাদপদ্মানামভু্যদয়িনি রাজ্যে বঙ্গানামধীশ্বরেষু শ্ৰীযুত সাহাইস্থা খান মহোগ্রপ্রতাপেষু শ্ৰীহট্টাধিকারিণি শ্ৰীযুত আবদুল রহেম খান মহাসয়ে শ্ৰীযুত হাজি সাহাবাজকন্ত পঞ্চখণ্ডাধিকারিত্বে বিলসতি সাহস্রিয় পঞ্চখণ্ডচত্তরকান্তর্গত খাসাপাটকস্থ শ্রীমুদাম দাস শ্রীগোবিন্দদাস সকাসাত সপ্তমুদ্ৰাং গৃহীত্ব শ্ৰীমধুসুদন পাল শ্ৰীকৃষ্ণবল্লভ পালাভাং দক্ষিণে শ্ৰীবৎসিকায়ার্বাটিকা পশ্চিমে পূৰ্ব রাজমার্গ চ উত্তরে পুষ্করিণুক্তরপারং পূৰ্ব্বে ইসানকোনাবধিক প্রমাণেন গোলক আর ফলাইর বাড়ির গোলে চ জুরিআর ত্রিসিমা ইত্থং চতুঃসীমাবচ্ছিন্ন শ্রমনিপত্তন বাটিকা মৌজে খেসরা সম্বন্ধিনী বিক্ৰীতেতি তনমূল্যং ৭ সাততঙ্ক দ্রব্য একবাড়ী চতুঃসীমাএ সন—তারিখ—সদর”—

এই দলিলের শীর্ষদেশে একপাশ্বে একটি পারস্য মোহর এবং অপর পাশ্বদেশে "শ্ৰীমধুসুদন পাল সম্মত শ্রীকৃষ্ণবল্লভ পাল সম্মত" এবং অনিম্নে "উভয়াম্মত্য শ্ৰীমধুসূদন ভট্টাচাৰ্য্য” এইরূপ লিখিত আছে । দলিলের নিম্নদেশে “তত্রার্থে সাক্ষিণ শ্রীহরিরাম পাল” এইরূপ লিখিত। ইহাতে বোধ হয় যে, মধুসূদন ভট্টাচাৰ্য্যই দলিল লেখক ছিলেন । তদ্ব্যতীত দলিলের তিনপাশ্বেই "ইসাদি” বা সাক্ষী ১৫ জনের নাম আছে, যথা— ঘুরামপাল, রতিরামপাল, বারাণসী দাস, পিতাম্বর পাল, রামনারায়ণ দেব, রামচন্দ্র দত্ত, ফরিদ খা ইত্যাদি । এই দলিল সম্পাদনের কাল সম্রাট আরঙ্গজেবের রাজত্ব সময়ই ছিল, তখন বঙ্গাধিপতি শায়েস্থ খ এবং শ্রীহট্টে আব্দুল বহেম খা ফৌজদার ছিলেন। ইহার নাম শ্রীহট্টের কালেক্টরীর কাগজপত্রে আছে কিন্তু তদ্বারা তাহার সময় নিদ্ধারিত করা যাইতে পারে নাই। হাজি শাহবাজ তৎকালে পঞ্চখণ্ডের ভূস্বামী ছিলেন বলিয়াই বোধ হয়। দলিল সংস্কৃতে লিখিত হইলেও লেখক বানান শুদ্ধির প্রতি মনোযোগ করেন নাই ! বানানের ভুল প্রদর্শন করা বাহুল্য মাত্র। দলিলের প্রথমে "নকল" শব্দ লিখিত । আরও কয়েকটি মূল দলিলে এই শব্দ পাওয়া গিয়াছে, ইহা বোধ হয় তৎকালের রীতি ছিল ।