পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম অধ্যায়। ] ইটার বিবিধ কথা । o ახr> দণ্ডায়মান থাকিতে হইত, তদবস্থায় চতুদ্ধিক হইতে র্তাহার উপর কাষ্ঠখণ্ড বিক্ষিপ্ত হইত। হরবল্লভ কুলরক্ষার জন্য ঈদৃশ পাশব অত্যাচার সহ করিতে স্বীকৃত হইলেন। দেশবাসী বুদ্ধগণ হরবল্লভের যশ কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন। হরবল্লভ ! তোমার দৃঢ়তা ধন্য, তোমার মানসিক বল প্রশংসনীয় ; বড় বড় রাজ রাজড়াদের ব্যবহার দেখিয়াছি ; তাহীদের তুলনায় দিল্লী সম্রাট যেরূপ, শ্ৰীহট্টের নবাব তোমার তুলনায় তদপেক্ষা কম কিছুতেই নহেন, কিন্তু তাহারা যে দৃঢ়তা প্রদর্শন করিতে পারেন নাই, ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র তুমি তাহা করিয়াছ, তুমি ধন্ত। হরবল্লভের পুত্র শু্যাম রায় ও বিনোদ রায়, এই কঠোর অত্যাচারের কথা শুনিলেন। অত্যাচারী শুকুরুল্লার প্রকৃতি র্তাহারা জানিতেন, সুতরাং কুল ও সন্ত্রম রক্ষার জন্য ভগ্নী মালতীকে সঙ্গে লইয়া তাহারা এই অত্যাচারের প্রতিকারার্থে মুর্শিদাবাদে গমন করিলেন। মুর্শিদাবাদে শুাম রায় ও মালতী বসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। মালতী সে ভীষণ রোগের হস্ত হইতে নিষ্কৃতি লাভ করিতে পারিলেন না,—অচিরেই প্রাণত্যাগ করিয়া মানসিক যন্ত্রণা হইতে মুক্তি লাভ করিলেন। শু্যাম রায় বহু কষ্টে আরোগ্য লাভ করিয়া শুনিলেন যে, কঠোর অত্যাচারে পিতা দেহত্যাগ করিয়াছেন। এই সংবাদ শ্রবণে শুাম রায়ের মরণাধিক ক্লেশ হইল, তিনি প্রতিজ্ঞা করিলেন যে, এই অত্যাচারের প্রতিশোধের উপায় না করিয়া দেশে ফিরিবেন না । শু্যামরায় বহুদিন মুর্শিদাবাদে রহিলেন, বহুদিনেও নবাব কৃত অত্যাচারের প্রতিকার কল্পে কিছুই করিতে পারিলেন না । এই সময় শ্রীহট্টের বড়লিখাশু্যামরায়ের বাসী শাহ জাতীয় দুলৰ্ভদাস ও হুকমত রায় নামে দুই দেওয়ানী প্রাপ্তি। ধনী সওদাগর মুর্শিদাবাদে বাণিজ্যোপলক্ষে ছিলেন ; তাহাদের লবণের একচেটিয়া কারবার ছিল।* প্রভূত ধনশালী এই সওদাগরদের

  • এই সওদাগরদ্বয় বৃহৎ বৃহৎ পলওয়ার নৌকাযোগে বিদেশে বাণিজ্য করিতেন। "হুকমত রায়ের ছেগা" বলিয়া শ্রীহট্টে বহু মহালের নাম আছে, এগুলি হুকমত রায়ের নামে বন্দোবস্ত হইয়াছিল ৷ শ্ৰীযুক্ত হরকিঙ্কর দাস মহাশয় লিখিয়াছেন যে, এই হুকমত রায়ের কাৰ্য্য স্বীকার করিয়াই, দেওয়ান স্বীয় উন্নতি সাধন করিতে সমর্থ হন । হুকমত রায়ের যত্বেই