পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮১ পঞ্চম অধ্যায় বনভাগ প্রভৃতি স্থানের ব্রাহ্মণ বিবরণ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত প্রধান গদী। কামরূপের অন্তর্গত সুয়ালরুচি নামক স্থানের কিঞ্চিৎ ভাটিতে একটি দেবালয় আছে উহার অধিকারী “শিলটীয়া গোসাই” নামে খ্যাত। উহারা এই বংশীয় কি না, জানা যায় নাই। গুণাভিরাম কৃত আসাম বুরুজীতে শ্ৰীহট্ট হইতে আসামে ব্রাহ্মণ উপনিবেশের কথা আছে। পরগণা-বোয়ালজুর ভরদ্বাজ গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২য় ভাগ ৩য় খণ্ডের ২য় অধ্যায়ে মহারাজ বিজয় সিংহের গুরু রাঘব ভট্টাচায্যের নামোল্লেখ করা গিয়াছে। ভরদ্বাজ গোত্রীয় উক্ত রাঘব ভট্টাচার্য্যের জ্যেষ্ঠপুত্ৰ সাচায়নিতে বাসস্থান স্থির করেন। মধ্যমপুত্র পঞ্চ খণ্ডবাসী হন,তাহার তৃতীয় পুত্র বংশীবদন বোয়ালজুরে গিয়া বাস করেন ও তথায় প্রতিপত্তি স্থাপন পূৰ্ব্বক তত্ৰত “রাজপণ্ডিত” প্রাপ্ত হন। ইহার দুই পুত্র হরিহর ও মহাদেব। মহাদেবের অষ্টম পুরুষে কালীশঙ্কর ন্যায়পঞ্চাননের পুত্রাদি না থাকায় এই শাখা বিলুপ্ত হইয়াছে। হরিহরের দুইটি বিবাহছিল, তাহার প্রথমা পত্নীর গর্ভজাত সন্তানের নাম জগন্নাথ বিশারদ। তদীয় দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র ভবদেব ভট্টাচাৰ্য্য কর্তৃক জ্যৈষ্ঠ সম্পত্তি হইতে প্রথমে বঞ্চিত হইয়া রেঙ্গা পরগণায় নিজ মাতুলালয়ে প্রতিপালিত ও শিক্ষিত হইয়াছিলেন, পরে তিনি রাজদ্বারে অভিযোগ করিয়া পৈতৃক সম্পত্তি ও শিষ্য সম্পদ প্রাপ্ত হন। তদ্ব্যতীত তত্ৰত গজেন্দ্র নন্দী, অনন্ত নন্দী, রঘুনাথ রায়, শেখ হাশিম প্রভৃতির সম্পাদিত ১লা জ্যৈষ্ঠ ১১৩১ সালের এক দানপত্রে “বেদীয়া ডাকাতির ভিটার পূৰ্ব্ব, বড়খালা পশ্চিম; মাইনকার হদের খালর দক্ষিণ ও জানের উত্তর” এই চতুঃসীমান্তর্গত একখণ্ড ভূমি দান প্রাপ্ত হন এবং তত্ৰত সুবিদ রায়, গন্ধৰ্ব্ব রায় ও রঘুরায় প্রদত্ত ১১৩৭ সালে সম্পাদিত এক দলিলে বোয়ালজুরের রাজপণ্ডিতি লাভ করেন। ভবদেবের পুত্র কৃষ্ণরাম ভট্টাচাৰ্য্যও তত্ৰত্য সহদেবরায় ও উছবরায় হইতে ১৪ই চৈত্র ১১৭১ সালে সম্পাদিত এক দানপত্রে খানপুরে ৩/ হাল ব্ৰহ্মত্র প্রাপ্ত হন। ইহার চারিপুত্র রামগোপাল, রত্নাকর, রঘুপতি ও মহেশ্বর। তন্মধ্যে রঘুপতি খ্যাতিমান পুরুষ ছিলেন, তিনি “সাদেকুল হরমনিক’ মোহারাঙ্কিত এক সনন্দে (নং ২৯০) ১৪ জলুসে বাজুসোণাইতা হইতে ৩০ ॥০ a ০ ভূমি ব্ৰহ্মত্র প্রাপ্ত হন। ১২০৪ সালে তাহার মৃত্যু হইতে তদীয় ভ্রাতা মহেশ্বর উক্ত ভূমি “তছরূপ” করেন। বত্নাকর, রঘুপতি ও মহেশ্বরের বংশ এক্ষণে বিলুপ্ত। একখানা সংগ্রহ গ্রন্থ সঙ্কলন করিয়া যশস্বী হইয়াছেন। রত্নাকরের পুত্রের নাম রামগোবিন্দ, ইনি গোহাটী গমন কবিয়া তত্রত বড়য়া বংশীয় কয়েক ব্যক্তিকে শিষ্য করিয়াছিলেন। তন্ত্ররত্নমালাকার ২৬. পঞ্চখণ্ড হইতে এক শাখা ইন্দম্বেববাসি হইয়াছেন,তত্ৰত শ্রীযুক্ত কালীকুমার তর্কচূড়ামণি এই শাখা সম্ভূত। ২৭ এই মোহধেব বিবরণ ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ ২য় ভাগ ২য় খণ্ড ৪র্থ অধ্যায়ে দ্রষ্টব্য।