পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৯ ষষ্ঠ অধ্যায় : বৈদ্য ও কায়স্থাদির কথা 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত শ্রীহট্টের কালেক্টরীর সেরেস্তাদার ছিলেন; ইহার পুত্র রায় শ্ৰীযুত সীতামোহন দাস বাহাদুর ও ডাঃ সুন্দরীমোহন দাস জীবিত আছেন। ইহাদের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা স্বগীয় সারদামোহনের নাম তদীয় বন্ধু কবি প্যারীচরণের “মিত্ৰবিলাপ” অমর করিয়া রাখিয়াছে। সারদামোহন ‘কপটতা বিষয়ক প্রবন্ধ’ নামক এক উপদেশ-পুস্তিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করিয়াছিলেন। পরগণা-বনভাগ পূৰ্ব্বাধ্যায়ে বনভাগের বিবরণে বিধর খাঁর কথা কথিত হইয়াছে বিধর খাঁর কথা এস্থলেই বলা সঙ্গত। বিধর খাঁ কত্ত্বক বনভাগ বহুলাংশে আবাদ হইলে, তিনি প্রথমতঃ সেই স্থানের মালীক হন। বিধর খার বংশে পরবর্তীকালে ধনঞ্জয়ের উদ্ভব হয়;তাহার সময়ে এই পরগণা খালিসা বনভাগ, বাজুবনভাগ ও কাজাকাবাদ এই ভাগত্রয়ে বিভক্ত হইলে, বাজুবনভাগ তাহারই জমিদারী ভুক্ত থাকে। বাজুবনভাগের অনেকাংশ অদ্যাপি তদ্বংশীয়ের অধিকারে আছে। এই বংশীয় বামনাথ ধর পূৰ্ব্বাধ্যায়ে উল্লেখিত গোপীনাথ বাচস্পতির সমসাময়িক ছিলেন। রামনাথের পুত্র রামজীবন চৌধুরী;” ইনি গোপীনাথ নামে বিগ্রহ প্রাপ্ত হইয়া সেবা স্থাপন করেন। রামজীবনের পুত্রের নাম ভবানীশঙ্কর, তাহার পুত্র রামশঙ্কর, তৎপুত্র বিশ্বনাথ চৌধুরী। প্রসিদ্ধ ২৫ ইহাব নামীয এক খান মনুষ্য ক্রযের দলিল এস্থলে উদ্ধত কবিলাম, ইহাতে সম্রাট আরঙ্গজেবেব সময়ে ঢাকার নবাবেব অধীনে শ্রীহট্টেব নবাবের নাম আছে। দলিলে নবাবের নামের মধ্যের অক্ষর কীটদংষ্ট, ইহা যে “ইনাত’ অর্থাৎ ইনাযেত খাঁ নবাবের নাম, তা স্পষ্টই বুঝা যায। পূৰ্ব্বাংশ প্রণয়ন কালে ইহাব সময নিরূপিত হইতে পারে নাই, এতদ্বারা তাহা হইল; অবিকল দলিল খানা এই— “শ্ৰী শ্রীমতাং শুলতান ওরঙ্গ সাহা দেব পাদপদ্মানা— স্বস্তিনবতিনবত্যুত্তব সহক্রাদে চৈত্রনা একবিংশতি দিবসে স্বগীয মভু্যদয়িনি বাজ্যে গৌড়বঙ্গের শ্ৰীযুত নবাব ইব্রাহিম খান মহাশয়ানাং ঢকাবস্থিতি কালে শ্রীহট্টাধিপতৌ শ্ৰীযুত নবাব সৈদই+ত খাঁ মহাশয়স্য বিষয়ে পবগণে বাজুবনভাগ চত্বরকান্তর্গত মৌজেমসুনাগ্রাম পাটকস্থ শ্রীবামজীবন চৌধুরী শকাশাত ষোড়শকাৰ্য্যাপণন গৃহীত্ব তত পরণান্তর্গত তদগ্রাম নিবাশনা শ্রী-জা বামধরেন নিজ দাশী শ্রীবদজানন্দীঃ স্বেচ্ছয়া বিক্রিতামিত-অত্র প্রাণি এক অজয়মাল ১৬ সুল্ল কাহন ইতি সং ২০২৯ সালতে ২১ চৈত্র।” (নিম্নে এই স্থান “অত্রাত্রে সক্ষিণ ঃ—”বলিযা বিভিন্ন হস্তাক্ষবে সামধব প্রভৃতি তিনজনের সাক্ষর আছে এবং পাশ্বে দলিল লেখকের হস্তক্ষবে “শ্ৰীগঙ্গারাম ধবস্য মতং শ্রীবদনী দাসী নামী খতঞ্চ” এইরূপ লিখিত। ও নিম্নের দক্ষিণ কোণে "উভযানুমত্যা শ্ৰীগণেশরাম শৰ্ম্মণা লিখিতামি বলিয়া লেখকের দস্তখত আছে। দক্ষিণ পাশ্বে “উগাহী” শব্দেব নিম্নে দুই ব্যক্তির স্বাক্ষর আছে। + চিহ্নিত স্থল কীটদংষ্ট বটে।) ২৬ ইহাব নামীয় চৌধুবাইর সনন্দ, যথা—“সরকার শ্রীহট্ট বাজুবনভাগর বর্তমান ও ভবিষ্যৎকালের চৌধুবীগণ কানুনগোগণ জানিবেন যে পবগণ মজকুবেল বামজীবন চৌধুবী ঈশ্বব ইচ্ছায় মৃত্যু হইযাছে তাহার পুত্র ভবানী দাস সরবরকার ও সভানুদ্যায়ী সরকাব বটে তজ্জনা চৌধুবীগিবির উপযুক্ত ভবানী দাস নাম ইস্তক ১১৩৯ বাঙ্গালা অবাধ নিযুক্ত কবা গেল। উচিত যে উক্ত ব্যক্তিকে সেই স্থানেব উপযুক্ত চৌধুবী জানিযা তাহাব প্রকৃত বাক্য হইতে যে সরকাব বাহাদুরেব উপকাব ও প্রজাগণেব উপকাব হইতে পাবে তাহা হইতে বাহিব হইবার না আর তাহাব দস্তখত প্রকৃত কাগজে মজুত মাতব্বর জানিয়া নানকার ও খানেবড়ী চিরকাল মত তাহার দখল ছাড়িয়া দিবাত্র যদ্বারা সে খাতিরজমা হইয়া এবং দখলকার হইয সনত সস্তুষ্ট থাকিবেক এ বিষএ দৃঢ় তাগিদ জানিয়া উপযুক্ত কৰ্ম্মচবণ কবিবে। ইতি সন ১৫ জলুস ৭ জমাদিউচ্ছনি।”