পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০১ ষষ্ঠ অধ্যায় : বৈদ্য ও কায়স্থাদির কথা 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ংবাদ পাওয়া যাইতে পারে। প্রতাপগড়-জফরগড়ের ন্যায় ইন্দানগর মৌরীপুরে ভূস্বামীর স্বত্ব সম্পর্ক স্পষ্টতঃ লক্ষিত হয়। ইন্দাইপাল নামে কোন এক ব্যক্তির নামে ইন্দানগরের নাম হইয়াছিল বলিয়া কথিত আছে;মহুরাপুর বা মৌরাপুর উক্ত ইন্দাইপালেরই অধিকার ভুক্ত ছিল। ইন্দাইপালের কৰ্ম্মচারী যাদব দাস তকতা পূৰ্ব্বক ইহা নিজ নামে বন্দোবস্ত করিয়া লওয়ার জনশ্রুতি অদ্যাপি শুনা যায়। সম্রাট শের শাহেব সময়ে ইন্দানগর মণ্ডল বংশীয় জমিদারদের হস্তগত হয়। নারায়ণ মণ্ডল ইটার রাজা সুবিদনাবায়ণের কৰ্ম্মচারী ছিলেন, তাহা পূৰ্ব্বে বলা গিয়াছে। ইন্দানগর পরগণার প্রায় বারপণ অংশ এযাবৎ উক্ত চৌধুরী বংশের অধিকার আছে। ইন্দানগরের পশ্চিমদিকে একটি মোকাম আছে। এই মোকামে একজন সিদ্ধ ফকির একটা প্রস্তর লইয়া সৰ্ব্বদা খেলা করিতেন। চৌধুরী বংশীয় জনৈক ব্যক্তিকে একদা তিনি উহা প্রদান করিয়া বলিয়াছিলেন যে, যতদিন সে প্রস্তর তাহাদের হস্তচু্যত না হইবে, ততদিন সম্পত্তির ধ্বংস নাই; যত দিন প্রস্তরটি বদ্ধিত হইবে, একহস্তে কন্দুক ক্রীড়ন যোগ্য ক্ষুদ্র প্রস্তরটি এক্ষণে তদ্রুপ আকৃতি বিশিষ্ট হইয়াছে। চৌধুৰী বংশীযদের স্থাপিত “চৌধুরী বাজার” শ্ৰীমদনমোহন বিগ্রহ, মন্দির এবং প্রাচীন দীর্ঘিকাদি তাহাদের কীৰ্ত্তি চিহ্ন। উক্ত পরগণার ১নং হইতে ১০নং পর্যন্ত তালুকগুলি এই বংশীয় ব্যক্তিবর্গের নামে পবিচিহ্নিত। এই দশটি মূল তালুক হইতে পাবে আরও অকেন তালুকের সৃষ্টি হইয়াছে। উত্তর শ্রীহট্টের বৈদ্যকায়স্থাদি বংশ বৃত্তান্ত, তুলনায় পাই নাই বলিলেই হয়; সুতবাং এইরূপ দীন ভাবে ইহা শেষ কবিতে হইতেছে। শ্রীহট্টের কোন স্থান কায়স্থ অধুষিত নহে? কোন বংশে ২/১টি কীৰ্ত্তি কথা নাই ? তাহা পাইলে ও অধ্যায়টি অন্যরূপ হইত। ২৭ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশে উল্লেখিত বিষয় বিশেষেব অনুরূপ উদাহবণ প্রদর্শনের জন্য এই বংশাবলী ৩য ভাগে প্রকাশ কবিতে প্রতিশ্রত ছিলাম, ঙ পবিশিষ্ট্রে তাহা প্রদত্ত হইবে। যাহাদের নামে তালুকের নামাদি হইযাছে, তাহীও প্রদর্শিত হইবে।