পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-প্রথম খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১০৮ আব্দুল গণি প্রভৃতি তিন পুত্র হয়; শেখ আব্দুল গণির আব্দুল মনাফ প্রভৃতি পাঁচ পুত্র ছিলেন; আব্দুল মনাফেরও আব্দুল হেকিম প্রভৃতি পাঁচ পুত্র জন্মেন, এই বিবরণ প্রদাতা শ্ৰীযুত আবদুল রহিম ইহারই পুত্র। সমাপ্তি শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তৃতীয় ভাগের প্রথম খণ্ড এই স্থানেই সমাপন করা হইল। উত্তর শ্রীহট্ট সবডিভিশনে পঞ্চ লক্ষাধিক অধিবাসী বাস করেন, হিন্দু মোসলমানে এই অধিবাসী মধ্যে কয়টি বংশের বিবরণ এস্থলে বিবৃত হইল? আমরা নিজ বংশ কাহিনী রক্ষার প্রতি কিরূপ মনোযোগী, এতদ্বারা তাহা বেশ বুঝা যায়। উত্তর শ্রীহট্টে কত প্রাচীন ও সন্ত্রান্ত বংশ পড়িয়া রহিয়াছে কিন্তু তাহাদের গৌরব সূচক কাহিনী অল্পলোকেই স্মরণ রাখিয়াছেন, আমরা এই জন্যই কি বহুতর সন্ত্রান্ত বংশের বিবরণ পাই নাই ? যে অল্প সংখ্যক ব্যক্তি বংশকথা পাঠাইয়াছেন, তন্মধ্যে কেহ কেহ শুধু বংশপত্রিকা দিয়াছেন, কেহ কেহ বা নামের লিষ্ট সহ দুই চারিটি কথা পাঠাইয়াছেন, কিন্তু কীৰ্ত্তিকথা ব্যতীত এরূপ বংশ তালিকা বা নামের লিষ্ট ছাপাইলে সাধারণের তাহা সুপাঠ্য হইবে কেন ? যাহারা পাঠাইয়াছেন, তাহাদের বংশ সস্ত্রান্ত হইতে পারে, বহু গুণবান পুরুষ সে বংশে জন্মগ্রহণ করিয়া থাকিতে পারেন, কিন্তু কোনও কীৰ্ত্তিকাহিনীর সহিতই তাহদের নামের সম্বন্ধ না পাওযাতে, আমাদিগকে তাহা পরিত্যাগ করিতে হইয়াছে। কেবল যে উত্তর শ্রীহট্ট সবডিভিশনেব সম্বন্ধেই এরূপ বলিতেছি, তাহা নহে; অন্যান্য সবডিভিশনে অধিবাসীগণ সম্পর্কেও ঐ একই কথা প্রযোজ্য; এই এক স্থানেই আমরা তাহা বলিযা রাখিলাম মাত্র। আমরা উত্তর শ্রীহট্টেব যে সব বংশ বিবরণ পাইয়াছি, তন্মধ্যে প্রথমেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পিতামহ উপেন্দ্র মিশ্রেব বংশ বিবরণ পাইমাছি, তন্মধ্যে প্রথমেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পিতামহ উপেন্দ্র মিশ্রের বংশ বিবরণ বর্ণন করিয়াছি; উপেন্দ্র মিশ্রের মাতামহ বংশ-বরুঙ্গার ঘৃতকৌশিক গোত্রীয় চৌধুরীদের বংশের উল্লেখও করা হইয়াছে। বুরুঙ্গার পর রেঙ্গাব বিশারদ বংশ-কথা বর্ণিত হইয়াছে তৎপর রেঙ্গার ভরদ্বাজ গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণের উল্লেখ করিযাই ঢাকাদক্ষিণের সম্প্রদায়িক বৎস ও মোদগুল্য গোত্রীয়গণের বিবরণসহ তত্ৰত অগ্নিহোত্রী ও লস্করবংশের পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে। ইহাব পর বনভাগের উপাধ্যায় বংশ কথা, মৌজপুরের ভট্টাচাৰ্য্য ও লক্ষ্মীপুব প্রভৃতি স্থানের বিদ্যাবিনোদ বংশ কাহিনী কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। অতঃপর ব্রাহ্মণ কথা, ও কৌড়িয়াব ভট্টাচাৰ্য্য এবং কুরুষার গোস্বামী বংশ বিবরণ বর্ণিত হইয়াছে, “সাধারণ বিভাগে” প্রথমেই শহরের সন্ত্রান্ত বৈদ্য ও কায়স্থাদির বংশের উল্লেখ করা গিয়াছে; তাহার পর দুলালীর বৈদ্য বংশের সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ হইয়াছে। তদনন্তর ঢাকাদক্ষিণের দেব, দত্ত ও কর বংশের কথা কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। অতঃপর গোধরালি, দিগলী ও বনভাগ এবং রেঙ্গা প্রভৃতি স্থানের ভূদ্র পরিবারের ২/৪টি কথা সামান্যতঃ বলা হইয়াছে। মোসলমানগণের বংশের মধ্যে শহরের মজুমদার, মুফতি ও সর্কুম এই তিনটি শ্রেষ্ঠ বংশের বিবরণসহ মৌলবী পরিবারেব সম্বন্ধে দুই চারিটি কথা বলা গিয়াছে। এবং জলালপুরের সকদুম রহিম উদ্দীনের বংশের নামোল্লেখ মাত্র করা হইয়াছে। তৎপর ভাদেশ্বরের শেখ বংশ কথা, তাহাতেই এ খণ্ড পরিসমাপ্ত হইয়াছে।