পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৫ প্রথম অধ্যায় : পঞ্চখণ্ডের ব্রাহ্মণগণ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত থাকে। তদ্ব্যতীত কাপ্তান ফিশার সাহেবের কাছাড় সম্বন্ধীয় রুবকরিতে জানা যায় যে, গোকুল মিশ্র, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নারায়ণ হইতে সিদ্ধিপুরে (সিদ্ধেশ্বরে) কতক নিষ্কর ভূমি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। গোকুল মিশ্রের পুত্র আনন্দ মিশ্র কাছাড়রাজ-সরকারে উকীল ছিলেন এবং ঐ ভূমি ভোগ করিতেন। কাছাড়রাজ্য ইংরেজাধিকার ভুক্ত হইলে উক্ত ভূমিতে গবৰ্ণমেণ্ট পক্ষে করধার্যের জন্য জরিপ হইলে, তদুতপলক্ষে এক মোকদ্দমা উপস্থিত হয়, তখন কৃষ্ণকান্ত বিদ্যামণি পৈতৃক সনন্দ প্রদর্শন করিলে, ১৮৩৪ খৃষ্টাব্দের ২১শে মার্চ উক্ত ব্ৰহ্মত্র নিষ্কর বাহাল থাকার আদেশ হয়। পূৰ্ব্বোক্ত সনন্দ প্রাপক বিশ্বনাথের ভ্রাতুষ্পপুত্র উমাকান্তের বাজকৃষ্ণ নামে পরম সুন্দর একটি পুত্র হয়, ইহার চরিত্র অতি মধুব ও পবিত্র ছিল; তিনি একদা গোবিন্দজি দর্শনে মণিপুরে গমন করেন। মণিপুরাধিপতি র্তাহার ধৰ্ম্মনিষ্ঠা ও নিৰ্ম্মল চরিত্র-গৌরবে মোহিত হইয়া তাহাকে একখানা শাল ও একশত মুদ্রা পুরস্কার প্রদান করেন। রাজদত্ত এই মুদ্রা প্রাপ্ত হইয়া তিনি কামাখ্যাতীর্থে গমন করিয়াছিলেন। ইহার পৌত্র শ্রীযুত যোগেশচন্দ্র মিশ্র হইতে এই বংশীয়গণের বিবরণ আমরা প্রাপ্ত হইয়াছি। পঞ্চখণ্ডের পাল ও সেন প্রভৃতি অন্যান্য বংশ বিবরণও তিনি সংগ্ৰহ করিয়া দিয়া উপকৃত করিয়াছিলেন। পঞ্চখণ্ডের অন্যান্য ব্রাহ্মণ বংশ ঘুঙ্গাদিয়ার কাশ্যপ গোত্র পঞ্চখণ্ড বহু ব্রাহ্মণের বসতি স্থান, আমরা অল্প কয়েকটি বিবরণই প্রাপ্ত হইয়াছি, অপ্রাপ্ত পরিচয় তত্ৰতা সনন্দ প্রাপকবর্গের নামাদি দ্বিতীয় পরিশিষ্টে প্রদত্ত হইবে। পঞ্চখণ্ডের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের কাশ্যপ গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণ বেশ সম্মানিত কাশ্যপ গোত্রে রতিরাম চক্রবর্তী একজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন, তিনি নবাব শমশের খা বাহাদুর হইতে এক সনন্দে (নং ৮৫০) পঞ্চখণ্ড কালায় ১.০, ১০ । ভূমি ব্ৰহ্মত্র প্রাপ্ত হন। ঐ কাশ্যপ গোত্রে নয়াগ্রামে সানন্দরাম তর্কবাগীশ নামে আর এক বিখ্যাত নৈয়ায়িক পণ্ডিত ছিলেন, তিনি স্বগুণে নবাব মীর মোহাম্মদ হাদী বাহাদুর হইতে ৪ জলুস ৯ সাবান তারিখ যুক্ত সনন্দে (নং ৪৫০) পঞ্চ খণ্ড কালা হইতে ॥.৩ ভূমি ব্ৰহ্মত্র পাইয়াছিলেন; ১১৯৭ সালে তাহার মৃত্যু হয়, তখন তাহার পুত্র উহা ভোগ করেন। তিনি বহুতর ব্রহ্মত্র ভূমি প্রাপ্ত হন, ঐ সকল ভূমি “তাং সানন্দরাম” নামে খ্যাত হয়। গবর্ণমেণ্টের সংস্কৃত উপাধি পরীক্ষায় এ যাবৎ যাহাব ন্যায় কেহই কৃতিত্ব প্রদর্শন করিতে সমর্থ হয় নাই, এই বিবরণ প্রদাতা পঞ্চখণ্ডের সেই শ্ৰীযুক্ত রামতনু ন্যায়সাঙ্গাচুঞ্চ মহাশয় উক্ত তর্কবাগীশের বংশোদ্ভব। তত্ৰত্য গৌতম গোত্রীয়গণ এই ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের গৌতম গোত্রীয় ব্রাহ্মণ বংশও বিখ্যাত বটে। এই বংশের বীজী পুরুষ রামভদ্র ভট্টাচাৰ্য্য মিথিলা হইতে আগমন করেন। ইহার পুত্রের নাম রামকান্ত ন্যায়ভূষণ, তৎপুত্র হবেকৃষ্ণ ভট্টাচাৰ্য্য। তাহার পুত্রের নাম রামজীবন তর্কপঞ্চানন। ইহার এক চতুষ্পাঠী ছিল। তদীয় জনৈক শিষ্য হইতে তিনি গুরুদক্ষিণা স্বরূপ কতক ভূমি দান প্রাপ্ত হন। রামজীবনের প্রাপ্ত ভূমি ”বামটিকর” নামে অভিহিত হয়। রামজীবনের পুত্র কৃষ্ণকান্ত বিদ্যালঙ্কার, তৎপুত্র রঘুনাথ ভট্টাচাৰ্য্য, তাহার পুত্রের নাম বলভদ্র চূড়ামণি। ইনি একটি বৃহৎ দীঘ খনন করিয়া যশস্বী হন; ঐ দীঘী