পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-দ্বিতীয় খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৩০ আরও একখানি সনন্দে (নং ১১০২) ১৭৪৮ খৃষ্টাব্দে নবাব নজীব আলী খা বাহাদুর হইতে পং বাহাদুরপুর মৌং উলুউরিতে ৫ ॥০ ১ ভূমি ব্ৰহ্মত্র লাভ করেন। ১১৯৮ পং সনে তাহার মৃত্যু হয়। সাবর্বভৌমের মৃত্যু ঘটিলে তাহার পুত্র কালীচরণ বিদ্যানিবাস উহা “তছরূপ” করিয়াছিলেন বলিয়া সনন্দের মন্তব্যে লিখিত আছে। বিদ্যানিবাস জ্যোতিষশাস্ত্রে অভিজ্ঞ ছিলেন;জয়ন্তীয়াপতি দ্বিতীয় রামসিংহের সভায় তিনি নানা বিষয়ে কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। ইহার পুত্রের নাম কৃষ্ণগোবিন্দ, তৎপুত্র রাজেন্দ্র, তাহার পুত্র শ্ৰীযুক্ত রামকুমার ভট্টাচাৰ্য হইতে এই বিবরণ সংগৃহীত হইয়াছে। পূৰ্ব্বোক্ত কৃষ্ণপঞ্চাননের পঞ্চপুত্র রাঘব সাৰ্ব্বভৌম সন্তানাদি শূন্য ছিলেন, নবাব নজীব আলী খাঁ বাহাদুর প্রদত্ত সনন্দে (নং ১১০৪) ১৭৪৮ খৃষ্টাব্দে পং বাহাদুরপুরে তিনি প<দ৫০ পরিমিত ভূমি ব্ৰহ্মত্র প্রাপ্ত হন; ঐ ভূমি র্তাহার ভ্রাতৃতপুত্র রতিকান্ত আগমবাগীশ “তছরূপ” করিয়াছিলেন। রায়কে তিনি দৈববলে কদম্ববৃক্ষে এক অপূৰ্ব্ব দেবমূৰ্ত্তি দর্শন করাইয়াছিলেন বলিয়া কথিত আছে। এ বংশীয়গণ বিদ্যাগৌরবে এক সময় এ অঞ্চলে যে প্রতিষ্ঠাম্বিত ছিলেন, তাহদের এসব কীৰ্ত্তি কথা তাহা প্রমাণিত করিতেছে। পরাশর গোত্রীয় কথা লাউতা গ্রামের পরাশর গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণের পূৰ্ব্বপুরুষ উপেন্দ্র পণ্ডিত মিথিলাগত বলিয়া কথিত। নবাগত বিদেশীয় হইলেও তাহার গুণে মোহিত হইয়া দেশবাসী সকলে তাহাকে রাজপণ্ডিতি বিদায় পাওযার সুবিধা করিয়া দিয়াছিলেন। তদবধি তাহার বংশীয়গণ সে সম্মান ভোগ করিয়াছেন। রাজপণ্ডিতি পাইলেও ইহাদের অবস্থা অতি অসচ্ছল ছিল, একটি রমণীর কার্য্যকারিতায় তাহা কিয়ৎ পরিমাণে দূর হয়। রমণীর কার্য্যকারিতা একদা এক উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারী (নায়েব ফৌজদার) শিকারোপলক্ষে তদঞ্চলে আসিয়াছিলেন, তিনি রাত্রে পথভ্রষ্ট ও অনুষঙ্গিবর্গ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া অরণ্য পাশ্ববৰ্ত্তী এক বাটীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এই বাড়ীতে স্বামী হীনা এক ব্রাহ্মণী ছিলেন, তিনি অতিথিকে সাদরে গ্রহণ করেন। গৃহে তণ্ডুল ব্যতীত অন্য সামগ্রী ছিল না, তিনি সন্নিকটবৰ্ত্তী চারা ভূমি হইতে “হালি” (ধানের কোমল কচি চারা) আনিয়া তাহার দ্বারা শাক প্রস্তুত করিয়া সেই শাকান্ন খাইতে দিলেন। ক্লান্ত কৰ্ম্মচারী ইহাতেই তৃপ্ত হইলেন; বিধবার ব্যবহারে তিনি নিত্যন্ত তুষ্ট হইয়া ছিলেন এবং তাহার অবস্থা দৃষ্টে তদীয় দয়া জন্মিয়াছিল; তিনি শ্রীহট্টে গিয়া বিধাবার পুত্রের নামে নিষ্কর ভূমি দান করিয়া তাহাদের আহারের সংস্থান করিয়া দিলেন; বিধবার সেই পুত্রের নাম দুৰ্ল্লভরাম।” আদিপুরুষ উপেন্দ্রের জ্যেষ্ঠপুত্রের নাম পুণ্ডরীকাক্ষ ছিল। ইহার বৃদ্ধ প্রপৌত্রের নাম গঙ্গাহরি; গঙ্গাহরি দুৰ্ল্লভরামের ভ্রাতৃসম্পর্কিত ছিলেন। গঙ্গাহরি পুত্র রামকৃষ্ণের দুই পুত্র ছিলেন, ৫. ইনি আদিপুরুষ দ্বিতীয়পুত্র যুধিষ্ঠিবের বৃদ্ধ প্রপৌত্র ছিলেন। দুৰ্ল্লভবামেব বৃদ্ধ প্রপৌত্র শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য স্বীয় বংশবৃত্তাস্ত প্রেরণে অনুগৃহীত করিয়াছেন। ৬. সংক্ষিপ্ত বংশতালিকা, যথা :–