পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-দ্বিতীয় খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৪০ ব্ৰহ্মানন্দের জ্যেষ্ঠ তনয় ঈশান, ইটার রাজকৰ্ম্মচারী নারায়ণ মণ্ডলের পৌরোহিত্য গ্রহণে ইন্দানগরবাসী হইয়াছিলেন।” বুড়ঙ্গ দিনারপুর পরগণার আমুদপুরে এক ব্রাহ্মণ কন্যা বিবাহ করিয়া সেইস্থানে গমন করেন।” দৈত্যারি নিঃসন্তান ছিলেন। *-, লম্বোদরের ছয়পুত্র হয়, ইহাদের নাম রাম, নারায়ণ, সনাতন, বলরাম, নয়ন ও বংশী। সৰ্ব্বকনিষ্ঠ বংশীবদন ন্যায়রত্ন ব্যতীত ইহাদের সকলেরই বংশ আছে। নারায়ণ প্রথম হইতেই ঢাকাদক্ষিণ বাসী হন। র্তাহার বংশীয়গণ তথায় আছেন। রাম ও বলরাম পঞ্চখণ্ড বাসী হন, কিন্তু বলরাম বংশীয়গণ প্রায় শত বৎসর যাবৎ লাতুবাসী হইয়াছেন। নয়নের বংশধর বর্গ শাহবাজপুর পরগণা বাসী। এস্থলে পঞ্চখণ্ড ও শাহবাজপুরের বংশ সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ কথিত হইতেছে। পঞ্চখণ্ডের সুপাতলা বাসী রামচন্দ্র ভট্টাচার্যের সোণারাম ও মথুরেশ নামে দুই পুত্র হয়। তন্মধ্যে সোণার পুত্ৰ মধুসূদন, তৎপুত্র জয়চন্দ্র তর্কভূষণ ও প্রয়াগরাজ ভট্টাচাৰ্য্য; প্রয়াগের পুত্র হীরালাল দশসনা বন্দোবস্ত কালে জীবিত ছিলেন। তিনি পূৰ্ব্বপুরুষ সোণা ও মথুরেশের যুক্ত নামে “২নং সোণা মথুরেশ” নামক তালুক বন্দোবস্ত করেন। হীরালালের বৃদ্ধ প্রপৌত্র শ্ৰীযুত দ্বারকানাথ স্মৃতিভূষণ বৰ্ত্তমান বৃন্দারণ্যবাসী হইয়াছেন।” ব্ৰহ্মানন্দের পৌত্ৰগণের মধ্যে নয়ন ভূসম্পত্তি অজ্জন পূৰ্ব্বক মিরাসদার শ্রেণীতে গণ্য হইয়াছিলেন। ইহাদের মধ্যে পূৰ্ব্বে অনেক শক্তিশালী ও প্রতাপশালী এবং ন্যায়বান ব্যক্তির উদ্ভব হয়, ঈদৃশ বংশের বর্তমান অধঃপতন বড়ই শোচনীয়। ইতিপূৰ্ব্বে ভট্টশ্রীর রথীতর গোত্রীর ভট্টাচায্য বংশের “নবত করার ১১৯০ সালের সম্পাদিত অনুমিত পত্রের উল্লেখ করিয়াছি, সেই দলিলে তদঞ্চলের মোসলমান জমিদার বর্গের নামের সহিত এই বংশীয মুকুন্দরামও স্বীয় নাম দস্তখত করিয়াছিলেন। নয়নের পুত্রের নাম বিশ্বেশ্বর, তৎপুত্ৰ অভয়রাম, ইহার পুত্রের নামই মুকুন্দবাম ছিল। মুকুন্দের পুত্র রঘুবাম পণ্ডিত, তাহার পুত্র পয়লাবামের সময়ে দশসনা বন্দোবস্ত হয়। পয়লারাম নিজেব পূৰ্ব্বপুরুষের অজ্জিত ভূসম্পত্তি তাহাদেরই নামে ভিন্ন ভিন্ন তালুকে বন্দোবস্ত করিয়া লইয়াছিলেন; তালুকগুলির নাম ঃ– “৩৭নং নয়ন বিশাই পং,” “১০৭নং মুকুন্দরাম পং,” “১০৬নং রঘুনাথ পং।” এই তালুকগুলি ভিন্ন তাহার নিজ নামেও তিনি একটি তালুক বন্দোবস্ত লইয়াছিলেন, ইহা “১০২নং পয়লারাম পং” নামক তালুক। পয়লারামের বৃদ্ধ প্রপৌত্ৰ বৰ্ত্তমান। এই বংশোদ্ভব শ্ৰীযুত বিপিনচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য হইতে এই উভয় বিবরণী প্রাপ্ত হইয়াছি। ঐ বংশীসগণ এখনও তথায় বাস কবিতেছেন। ২১. ঐ বংশীয়গণ এখনও তথায় বাস কপিতেছেন। ২১ ইহার মহেশ ভট্টাচাৰ্য্য, হরিনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী ও কিশাহরাম ভট্টাচায্য প্রভূতি পাচ পুত্র ছিলেন। হরিনাথের নামীয় নবাব প্রদত্ত ভূমি, পরে “২১১ নং হরিনাথ পং” নামীয তালুকে বন্দোবস্ত হয়। ১৩. “পুরুষোত্তম তীর্থ-কৃত্য” নামক ইহাব কৃত একখানা সংস্কৃত গ্রন্থ আছে।