পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংশ বৃত্তান্তে দেশের প্রখ্যাত বংশকাহিনী সন্নিবেশিত হইবারই কথা। কিন্তু এমনও ঘটিয়াছে যে, কোন স্থানের বিখ্যাত বংশাখান ছাড় পড়িয়াছে, এবং অপেক্ষাকৃত অপ্রসিদ্ধ বংশকথা স্থান পাইয়াছে। এরূপ স্থনে আমরা ঈঙ্গিত বিবরণী প্রাপ্ত হই নাই বলিয়াই বুঝিতে হইবে। এবং ভবিষ্যতে ভগবাদিচ্ছায় ইহার ২য় সংস্করণ হইলে প্রত্যেক স্থানের প্রখ্যাত প্রাচীন বংশকথা প্রাপ্ত হইয়া তাহা প্রকাশ করিতে সমর্থ হইব বলিয়া আশা করিতেছি। জীবনচরিত খণ্ডে জীবিত ব্যক্তিগণের কথা উল্লেখ করি নাই। এমনকি “বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী”-নামক পুস্তকে উল্লেখিত "তিব্বতী বাবা” (প্রকৃত নাম নবীনচন্দ্র চক্রবর্তী, যিনি প্রায় পৌণে দুই শত বৎসর হইল শ্রীহট্টে জন্মগ্রহণ করেন) এখনও সশরীরে বর্তমান আছেন বলিয়া তাহার কথাও বলা হয় নাই। দুই এক খানি জেলার ইতিহাসে জীবিত বড় লোকদের কথা দেওয়া হইলেও আমরা পূৰ্ব্ব হইতেই এ কল্পনা ত্যাগ করিয়াছি। আমাদের শ্রীহট্ট জননীর জীবিত সুসন্তানগণ দীর্ঘজীবী হইয়া স্বদেশের গৌরব বৰ্দ্ধন করিতে থাকুন। শ্রীহট্টের ভবিষ্যৎ ঐতিহাসিকগণ তাহাদের কীৰ্ত্তি কাহিনী প্রচারিত করিয়া কৃতাৰ্থ হইবেন। জীবনচরিত সঙ্কলনেও আমরা বংশ কাহিনীর রীতি অবলম্বন কবিয়াছি। আমরা ইচ্ছা করিয়া কাহারও কোন পীড়াজনক কথা ছাপাইব এটা যেন কেহ মনে না কবেন। শ্রীহট্টের ও শ্ৰীহট্টবাসীর গৌরবকীৰ্ত্তি প্রখ্যাপনই আমাদের উদ্দেশ্য। তবে মানুষ ভুল ভ্রান্তির স্বভাবতঃই অধীন। যাহা হউক, এই সকল কথা মনে করিয়া—আশা করি—সহৃদয়তা গুণে আমাদের ক্রটি গ্রহণ করিবেন না। আবার প্রেস হইতে দূরে থাকিয়া প্রািফ দেখায় মুদ্রাঙ্কণেও বহু ভুল হইয়াছে—সমস্ত শোধনের চেষ্টা অসাধ্য। যদি দেশবাসীব উৎসাহে ইহার ২য় সংস্করণ কখন হয় তবে পুনঃ সংস্করণ না হওয়া পর্যন্ত সকলেই আমাদিগকে ক্ষমা কবিবেন। এবং ইহাতে সংযোজনীয় প্রখ্যাত বংশের ন্যায় বিখ্যাত ব্যক্তিব কাহিনীও কিছু পাইলে তাহা অনুগ্রহ করিযা পাঠাইয়া দিবেন, এই প্রার্থনা ৷ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের পূৰ্ব্বাংশ প্রকাশে অনুষ্ঠাতার আর্থিক ক্ষতিব কথা বলিয়াছি, তাদৃশ ক্ষতি দেখিয়াও অম্লান বদনে যিনি এই দ্বিতীয়াদ্ধে ও ব্যয় বহনে বদ্ধ পরিকব হইতে পারেন--- ইউরোপীয় মহাসমরের জন্য কাগজের মূল্য দ্বিগুণ হইতেও অধিক হইয়া পড়িলেও যিনি ব্যয দিতে কুষ্ঠিত হন নাই--তাহাকে একটা ধন্যবাদ কেহ ইচ্ছা কবিলে দিতেও পারেন, কিন্তু আমরা জানি, তিনি ধন্যবাদের আকাঙক্ষায় এই কাৰ্য্যে উৎসাহী হন নাই। শ্রীভগবান তাহাব সৰ্ব্ববিধ সৎকার্য্যে উৎসাহ ও অধ্যবসায় অব্যাহত রাখুন, এইমাত্র আমাদের কামনা। রত্নগির্ভা এই শ্রীহট্টে অতীত যুগে কত অসংখ্য মহাত্মা জন্মগ্রহণ করিয়া গিয়াছেন। তৎকালে এইরূপ লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিবার প্রথা না থাকায় আমরা আজ শত চেষ্টায়ও তাহদের বিষয় জানিতে পারিতেছিনা,কাজেই এই সংগ্রহে ক্ৰটি থাকিবারই কথা। বংশ ও জীবনবৃত্তান্তে যে সকল কথা দেওয়া হইয়াছে, সে সকল নিত্যন্ত আধুনিক কালের—প্রায়শঃ উনবিংশ শতাব্দীর বড় জোর দুই চারিটা অষ্টাদশ শতাব্দীর। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সময়কার ২/৪ জন বৈষ্ণবের পরিচয় পাওয়া যায়, তাও পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর। সৌভাগ্য বশতঃ পূৰ্ব্বোক্ত অনুষ্ঠাতা মহোদয় এই সকল কীৰ্ত্তিকথা সংরক্ষণের জন্য