পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় ইটার কাত্যায়ন, পরাশর ও ভরদ্বাজ গোত্রীয় ব্রাহ্মণ বিবরণ কাত্যায়ন গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণের কথা আদি ধৰ্ম্মপাব সময়ে কাত্যাযন গোত্রীয় শ্রীধরাচার্য শ্রীহট্ট দেশে আগমন কবেন, এই গ্রন্থেব ২য খণ্ডে ১ম অধ্যাযে তাহা বলা গিয়াছে এবং ঝ পরিশিষ্টে বংশ তালিকা প্রদত্ত হইয়াছে।’ শ্রীধবাচার্য হইতে অষ্টাবিংশতি পর্যায়ে প্রসিদ্ধ তার্কিক শিরোমণিব ভ্রাতা বঘুপতিব উদ্ভব হয়, বঘুপতি রাজা সুবিদনাবায়ণেব কন্যা বিবাহ করিযা ইটাবাসী হন, ইহার বংশাবলী অতি বিস্তৃত। গ্রন্থকার রঘুদেব রঘুপতির তিনপুত্র, জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম রমাপতি, ইহার পুত্র বঘুদেব একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন, ইহাকে গর্ভে ধাবণ কবিযা জননী অকন্ধতী বত্বাগভা হন। বযুদেব গঙ্গাতীবে গমন করিয়া অক্টোত্তব শত সংখ্যক পুবশচবণ করেন, কিন্তু তাহাতে তিনি মনে কোন পবিবৰ্ত্তন অনুভব করিলেন না,—ইষ্টদেবীর কৃপা প্রাপ্ত হন নাই বলিয়াই বোধ কবিলেন। অতঃপব তিনি তন্ত্রোক্ত যোগিনী সাধনে বৃত হইযা অচির-কাল মধ্যেই সিদ্ধ-মনোরথ হন এবং সিদ্ধ পুরুষ বলিযা খ্যাতি লাভ করেন। দেশের বহুলোক তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার কবতঃ তৎপ্রদর্শিত পথানুসরণে সাধনমার্গে অগ্রসর হইয়া ক্রমশঃ সিদ্ধির পথে প্রধাবিত হইয়াছিল। তিনি সাধক গণের সুবিধার জন্য সেই বিশেষ উপসেনা প্রণালী বিবৃত ক্রমে “গদ্যবেগ” নামে এক গ্রন্থ প্রণয়ন কবেন, তাহার উপসনাস্থান “কালীবাড়ী” বলিয়া খ্যাত, তথায় তৎপ্রতিষ্ঠিত কালী বিদ্যমান আছেন। গ্রন্থকার কালীচরণ ইহার পৌত্র কালীচরণ সিদ্ধান্ত একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন, কথিত আছে একদা মহাসহস্র গ্রামে “ধবজারোপণ” ব্যাপারে কাত্যায়ন গোত্রজ কোন ব্যক্তি ব্যবস্থা দান কবেন, এই উপলক্ষে ১ ৩য ভাগ ২য খণ্ডে সংযোজিত ঝ পবিশিষ্টেব লিখিত বংশাবলীব অনুল্লেখিত একদেশেঃ—(১নং ফুটনোটেব বাকী অংশ পবেব পৃষ্ঠায দেখুন।)—প্রকাশক ২ গদাবেগেব আদি শ্লোকটি এই ৪— “কালীং সচ্চিম্ময়ীমম্বাং শিবযুক্তাং সনাতনীং । গুরুঞ্চ জ্ঞানদং সাক্ষাৎ স্তৌমি স্বাভীষ্ট সিদ্ধযে। তন্ত্রশাস্ত্রান সমালোচ্য সাবমাহত যত্নতঃ। শ্ৰীবঘুদেব দীবেণ গদ্যবেগঃ প্রতন্যতে। ”