পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০৫ চতুর্থ অধ্যায় : লংলা, সতগাও বালিশিরা প্রভৃতি স্থানের ব্রাহ্মণ বিবরণ 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত সন্ন্যাসী নরোত্তম গিরির নামানুসারে সেই স্থান “নরতম্”, তৎপবে “নরতন” নামে খ্যাত হয়। চন্দ্রশেখরের পুত্র মথুরানাথ এবং রামভদ্র প্রভৃতি। মথুরানাথের পুত্রের নাম রঘুনাথ বিদ্যালঙ্কার। ইহার পুত্ৰ “দুলাভট” ও “জগন্নাথ শিরোমণি”। দুলাভট বৈদান্তিক পণ্ডিত ছিলেন, ইহার নামে এক সিদ্ধ নিষ্কর তালুক আছে। নবাব নোয়াজিস মোহাম্মদ খাঁর প্রদত্ত সনন্দে দৈনিক চারিপণ কৌড়ি তাহার ভরণ পোষণ জন্য নির্দিষ্ট হয়, তন্মধ্যে “দুইপণ সদর কাছারীতে ও দুইপণ দক্ষিণ ভাগেব কৰ্ম্মচারিয়ানের বেতন হইতে” দিবার ব্যবস্থা হয। ইহার পুত্র গঙ্গাধরের নামেও ব্রহ্মত্র ভূমি আছে। পূৰ্ব্বোক্ত রামভদ্রের পুত্রের নাম রামকৃষ্ণ, ইহার রামজীবন, রামচন্দ্র ও শ্রীচন্দ্র নামে তিন পুত্র হয়; তন্মধ্যে রামজীবনের নামীয় একখানা সনন্দে চারিহাল মদতমাস ভূমি প্রাপ্তির কথা জ্ঞাত হওযা যায়। এই সনন্দোল্লিখিত ভূমি দাতা নবাব নুরউল্লা খা বাহাদুর। বামজীবনের পুত্র বাধাকান্ত চক্রবর্তী ও হরিকৃষ্ণ খা। রাধাকান্তের নামে চারিখানা সনন্দ আছে।" রাধাকান্তের পুত্র হরিদাস ও ঘনশ্যাম, হরিদাসের নামে দুই খান। সনন্দ আছে জানা যায়। বাধাকাস্তের মধ্যম ভ্রাতা রামচন্দ্রের পুত্রের নাম রাজেন্দ্র, ইহার নামে দশসনা তালুক আছে। তাহার অপর ভ্রাতার নাম শ্রীচন্দ্র, ইহাব দুই পুত্র, তাহাদের নাম সানন্দরাম ও রামানন্দ। সানন্দরাম এই বংশে অতি প্রধান ও কৃতী পুরুষ ছিলেন, শ্রীহট্টের নবাবগণ হইতে তিনি অনেক ভূমি ব্ৰহ্মত্র প্রাপ্ত হন। তত্ৰত টোলের অধ্যাপক তাহার প্রপৌত্র শ্রীযুক্ত রোহিনীচন্দ্র তর্কচূড়ামণি মহাশয সানন্দরামেব নামীয় নয়খানা সনন্দের নকল সহ তদ্বংশবিবরণ প্রেরণে আমাদের সহায়তা করিয়াছিলেন।" বিশারদ বংশ এই বংশেব অন্যশাখা বংশ বলিযা খ্যাত। বলভদ্র বিশাবদ হইতেই এ শাখাব এই খ্যাতিব উৎপত্তি। বলভদ্রেব দুইপুত্র, তন্মধ্যে একেব নাম বযুপতি, অপবেব নাম বমাপতি পঞ্চানন। বঘুপতিব পুএমহাদেব, তৎপুত্র উমাকান্ত, বিশবদ উপাধি ভূষিত বিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন। বিশাবদ বংশে অনেক পণ্ডিতের উদ্ভব হয। উমাকাস্তেব মধ্যম পুত্রেব নাম বামকৃষ্ণ, তাহাব পুত্র বিজযকৃষ্ণ, ইহাব চাবি ৩ আমাদেব সংগৃহীত উক্ত সনদেব নং ৯৪ ৷এই বংশীযগণ যে দীর্ঘজীবী ছিলেন, এসকল সনদেব উল্লেখিত কালালোচনায তাহা বুঝা যায। 8 (১) সনন্দ নং ৯২নং দাবা ১১ জলুসে নববা সৈযদ মোহাম্মদ আলী খাঁ হইতে তিনি লংলাব নৰ্ত্তন গ্রামে ভূমি মদত মাস প্রাপ্ত হন। (২) ৯৩নং সনন্দে নবাব হবকিষুণ দাস মনসুব উলমুলক হইতে ২জলুসে তিনি ঐ এক স্থানেই ২।। ১। ২॥১১ ভূমি ব্ৰহ্মাত্র লাভ করেন, ১২০০ সালে তাহাব মৃত্যু হয, অতএব স্পষ্টতঃ ইহাকে সুদীর্ঘজীবী দেখা যাইতেছে। অপর সনন্দ সমূহেব বিববণ দেওয়া বাহুল্য বলিযা পবিত্যক্ত হইল ৫ এই সকল সানন্দ যথাযথোভাবে উদ্ধৃত কবা বাহুল্য বোধে এস্থলে মাত্র চাবিখানি সনদেব মৰ্ম্ম দেওযা গেলঃ– (১) নবাব নজীব আলী খাব মোহবাঙ্কিত সনন্দে তিনি দৈনিক + ০ গণ কৌডি পাইতেন। (২) নবাব নোযাজিস মোহাম্মদ খাব মোহবাঙ্কিত সনদে তিনি “বাবকাহন কৌডি সবকাৰী নজব ছলামী হইতে ব্ৰহ্ম উত্তবেব নিযমে” বাৎসবিক পাইতেন। (৩) নবাব মোহাম্মদ আলী খাব মোহবাঙ্কিত সনদে তিনি বার্ষিক ২৫ কাহন কৌড়ি পাইতেন। (৪) উক্ত নবাব প্রদত্ত অন্য এক সনন্দে তিনি আবও কতক ব্ৰহ্মত্র পাইযাছিলেন।