পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ২১৬ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত তাহাতে উপস্থিত হইয়াছিলেন। তৎকালে ভট্টাচার্য্যে বংশীয়া এক বিদুষী বালিকা পণ্ডিত-সভায় উপস্থিত হইয়া শাস্ত্রালোচনা করিয়া যশস্বিনী হইয়াছিলেন। এই বালিকা লিখিতে কি পড়িতে পারিতেন না। তাহার পিতরা টোল ছিল, অধ্যাপনা কালে তিনি কাছে থাকিয়া পিতার উক্তি শুনিতেন। তাহার স্মৃতি শক্ত অতি প্রবলা ছিল, শুধু স্মৃতির উপর নির্ভর করিয়া সেই শাস্ত্রজ্ঞান জন্মিয়াছিল। ভাটেরায় গোস্বামী উপাধি বিশিষ্ট আর এক বংশীয় ব্রাহ্মণ আছেন, ইহারা তত্ৰত্য বহুবংশের কুলগুরু ছিলেন। ভাটেরার গোতম গোত্রীয় ভাটেরার গোতম গোত্রীয় ব্রাহ্মণদের পাণ্ডিত্য বহুকাল যাবৎ। প্রায় দ্বাদশ পুরুষ পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কেশবাচাৰ্য্য হইতে বংশ তালিকা প্রাপ্ত হওয়া যায়। কেশবাচার্যের পুত্র দৈবকীনন্দন, সিদ্ধান্ত; ইহার প্রপৌত্র বামনাথের কেশববাম বাচস্পতি ও বিশ্বনাথ নামে দুই পুত্র হয়, তন্মধ্যে কেশবরাম বিদ্বান ও গুণবান ছিলেন বলিয়া মোগল সম্রাট হইতে এক সনন্দে ৫০ দ্রোণ ভূমি ব্ৰহ্মত্র প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। বিশ্বনাথের জনাৰ্দ্দন ও পুরুষোত্তম নামে দুই পুত্র হয়, জনাৰ্দ্দনের পুত্র গোবিন্দরাম সরস্বতী ও শিবরাম। ইহাদেব উভযের বংশ অনেকটা বিস্তুত। পুরুষোত্তম ও শিবরামের যুক্ত নামে এক সনন্দ আছে ইহারা নবাব হরকিষুণ দাস মনসুর উলমুলক হইতে ব্ৰহ্মত্র প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। শিবরামের জ্যেষ্ঠপুত্র শুভঙ্কব বিদ্যালঙ্কাব, ইহার জ্যেষ্ঠপুত্রের নাম কালীশঙ্কর তর্কচূড়ামণি, ইহার চারিপুত্রের মধ্যে রুদ্রকিঙ্কর পরম সাধক ছিলেন; কথিত হইয়া থাকে যে তদীয় স্তবে তুষ্ট হইয়া ভগবতী সাক্ষাৎ দর্শন দিয়াছিলেন। তিনি বৰ্দ্ধনকুটী বাজের পণ্ডিতসভা জয় করিযা বিশেষ প্রতিপত্তি সঞ্চয় করেন। দ্বাবিংশতি বর্ষ বয়সে কাশীধামে তিনি নশ্বর জীবন ত্যাগ করেন। রুদ্রকিঙ্করের পুত্রাদি হয় নাই, তাহার ভ্রাতু রাসকিঙ্কর তর্কভূষণ মহাশয়ের পুত্র শ্রীযুক্ত হরকুমার ভট্টাচাৰ্য হইতে এই বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। পরগণা-চোঁয়ালিশ শাণ্ডিল্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণ কথা চৌয়ালিশ বাসী সামবেদীয় শাণ্ডিল্য গোত্রোৎপন্ন ব্রাহ্মণগণের এক বৃহৎ বংশ তালিকা আমরা প্রাপ্ত হইয়াছি। এ বংশেব বীজী পুরুষ ধরাধর মিথিলাবাসী ছিলেন। তিনি একজন প্রসিদ্ধ জ্যোতিবির্বৎ ছিলেন, একদা তিনি স্বীয় “জাতপত্র” আলোচনায় জানিলেন যে বজ্রাঘাতে তাহার মৃত্যু হইবে। ইহা জানিয়া তিনি সংসার ত্যাগ করতঃ কাশীধামে গমন করেন ও জনৈক দণ্ডী-স্বামীর নিকট প্রাণায়ামাদি যোগাঙ্গ শিক্ষা কবিয়া, করিয়া, সাধনা প্রভাবে মৃত্যুর করাল কবল হইতে নিস্কৃতি লাভ করেন। মৃত্যুর অবধাবিত দিন অতিক্রান্ত হইলে দণ্ডস্বামী তাহাকে “বজ্রধর" নাম প্রদান করেন। বজ্রধব আর দেশে না গিয়া কালে এদেশে আগমন করেন। র্তাহার সহিত মৃত্যুঞ্জয় গুপ্ত নামক এক ব্যক্তি আগমন করিয়াছিলেন। ইহারা চোঁয়ালিশ আসিয়া বন্য ত্রিপুরা জাতীয় লোকের সাহায্যে সেই স্থান পরিষ্কার ক্রমে বাস করেন। কিছুদিন পরে তিনি আবশ্যকানুসারে এক স্থানে কিঞ্চিৎ মৃত্তিকা খনন করিতে করিতে। একটা স্বৰ্গ মুকুট ও অর্থাদি প্রাপ্ত হইলেন। মুকুট প্রাপ্ত হওয়ায় তিনি সেই স্থানকে