পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২২৬ কৌশলে প্রসূতি ও সন্তানের জীবন রক্ষা করেন। কিন্তু তাহার মনে এই ভয় হইয়াছিল যে একটুক ব্যত্যন্ত হইলে তাহাকে নাবীবধের (ব্রাহ্মণী হত্যার) পাতকী হইতে হইত। তিনি এ বৃত্তি ত্যাগ করিলেন ও স্ববংশীয়গণকেও এই বৃত্তি গ্রহণে নিষেধ করিয়া গেলেন; যথা ঃ “—আজিহনে ত্যাগ করিল ইহারে। আমার গোত্রে যেন কেহ বৈদ্যক না করে। অস্ত্র সব যতছিল জলেতে ফালাইলা । সেই হনে এই গোত্রে বৈদ্যক ছাড়িল।”—দত্ত বংশাবলী (অমুদ্রিত) চিকিৎসা ব্যপদেশে সুয়াই সৰ্ব্বত্র যাইতেন। কামার গ্রামে জনৈক শূদ্রের কন্যার বিবাহে নিমন্ত্রিত হইয়া তিনি বিবাহ কবিয়া ফেলিলেন। সুয়াই তজ্জন্য পিতা কর্তৃক পরিবজ্জিত হইলেন।” আত্মকলহে ফল শতানন্দেব ছয় পুত্র; হরিদাসের এক পুত্র এবং সীমন্তের পাঁচপুত্র হয়। সতানন্দ ত্রিপুরেশ্বরের “ঠাকুর” ছিলেন, তাহার মৃত্যুর পর তৎপুত্র মাধবদত্ত “ঠাকুর” বলিয়া গণ্য হন। কিন্তু তখন হরিদাস আবেদন করেন; তাহার ফলে মাধবের পবিবৰ্ত্তে তিনি ঠাকুর গণ্য হন। মাধব ইহার প্রতিবাদ করেন। দেশেব কৈবৰ্ত্তগণ র্তাহার পক্ষাবলম্বন কবিয়াছিল, তাহার অর্থদানে তদীয় সহায়তা করিতে লাগিল। মাধব ইহাদিগকে বশে রাখিবার জন্য তাহাদেব প্রধান বঙ্গকৈবৰ্ত্তেব কন্যার পাণি গ্রহণ কবিয়া জাতিচু্যত হইলেন। ঠাকুব পদবি প্রাপ্তিও আব ঘটিল না। এই মাধবেব পুত্রের নাম গোবিন্দ দাস, তৎপুত্ৰ কদৰ্প খাঁ তদ্বংশে বিশেষ খ্যাতিমান,ব্যক্তি ছিলেন। মিশারীয় দত্ত মাধব এত চেষ্টা কবিযাও ঠাকুব বহিতে পাবিলেন না দেখিযা তাহাব ভ্রাতা যাদব দত্তগ্রাম হইতে বালিহীরা চলিয়া আসিলেন। যাদবের পৌত্র পাৰ্ব্বতী দাস তথা হইতে তরফে গমন করেন, মিরাশী গ্রামের দত্তেবা এই পাৰ্ব্বতী দাসের সন্তুতি। ইহার অধস্তন অষ্টম পুরুষ শ্ৰীযুত প্রমোদচন্দ্র দত্ত মহাশয “দত্ত বংশ বিববণ” প্রেবণে আমাদেব বিশেষ সহাযত কবিযাছিলেন, তদবলম্বনেই এই বৃত্তান্ত লিখিত। ১০ “সুখাইযে দেখিলে কন্যা বড়ই সুন্দব। মুখ চন্দ্রিকাব খাটে বসিলা উঠিয়া। কপবতী দেখি হেন কবিলেন বিযা। তখনে ঠাকুরে এই কথন শুনিযা। কবিলেন তানে ত্যাগ কুপুত্র জানিযা। কামাল গ্রামেতে বিয়া কৈল কিলা গিযা। জেই নাহি জানে বলে কুখ্যাতি কবিযা। এই হেতু সুযাই গোত্রেব বাব হৈল। সংসাবেতে কেহ তান বংশ না বহিল৷ ”—দত্ত বংশাবলী (অমুদ্রিত)