পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২৩২ মজুরদের বসিদ সমূহে ইহারাই নাম “গৌরবল্লভ পোদ্দার” বলিয়া লিখিত আছে। গৌরীবল্লভ লংলা থাকিত, কদাপি বাহির হইত না, এই জন্য তাহার বাসস্থানের নাম “মশারিয়া’ হইয়াছে। নাম ত্রিপুরাবাসী অনন্তদাস ও হরিদাস নামে দুই ভ্রাতা কোন অপরাধ করায় রাজদণ্ডের ভয়ে স্বদেশ ত্যাগ করেন। ইহারা স্বীয় পুরোহিত ও নাপিতাদি সহ কাউয়াদীঘী নামক হাওরের পশ্চিম ভাগে নিৰ্জ্জন জঙ্গলাকীর্ণ স্থানের কতকাংশ পরিষ্কার ক্রমে বাড়ী প্রস্তুত করেন। এই দুই ব্যক্তির নামে ঐ স্থান অনন্ত হরি বা অন্তেহবি বলিয়া খ্যাত হয়। অনন্ত ও হরিদাসের সময়ে (কিঞ্চিৎ দূরবর্তী) আখাইল কুরা বাজারটি ব্যতীত নিকটে অন্য কোন লোক সমাগম স্থল বা লোকালয় ছিল না। ইহাদের একজনেব ৫ম পুরুষ অন্তে তদ্বংশে একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির উদ্ভব হয় ও তিনি অনেক বিত্ত অজ্জন করেন, ইহাব বংশ এখনও তথায় আছেন।-- এই বংশীয়গণ ব্যতীত তথায তরফদাব খ্যাতি বিশিষ্ট অন্য একবংশ বিদ্যামান। পূৰ্ব্বে এই গ্রামে সাতগাও হইতে শিবচন্দ্র দত্ত নামক একব্যক্তি মোসলমান রাজত্বের শেষকালে আগমন করেন বলিয়া কথিত আছে। অন্তেহরির তরফদারগণ বলেন যে, তিনি কিছুদিন এস্থানে অবস্থিতিব পব তথাকার দাস জাতীয় একব্যক্তিব এক কন্যার পাণি গ্রহণ করেন। সেই স্ত্রীর গর্ভে শিবরামেব মণিরাম ও শোভারাম নামে দুই পুত্র জন্মে, তন্মধ্যে মণিবাম পারস্য ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন ও তিনি রাজকীয় কোন কৰ্ম্মে দক্ষতা প্রকাশ কবেন। তিনি সেই কার্যোব পুরস্কার স্বরূপ অন্তেহবিব পশ্চিম তবফ (অংশ) প্রাপ্ত হন ও তবফদার উপাধিতে খ্যাত হন। মণিরামের পুত্ৰগণের মধ্যে জ্যেষ্ঠের নাম ভবানীপ্রসাদ। অরঙ্গপুরের জনৈক জমিদার সদলবলে একদা অন্তেহরি লুণ্ঠন করিতে গিয়া এই ভবানী প্রসাদেব পবাক্রমে পরাভূত ও বন্দী হন ও অর্থপ্রদানে নিষ্কৃতি লাভ করেন বলিয়া কথিত আছে। ভবানীপ্রসাদের পৌত্রের নাম অভয়াচরণ। তাহার পুত্র শ্রীযুক্ত দীনেশচন্দ্র তরফদার বক্তমান আছেন। অন্তেহবি গ্রামে নমঃশূদ্রের ব্রাহ্মণ কুলে অজ্ঞান ঠাকুর নামক জনৈক মহাত্মার উদ্ভব হইয়াছিল, ইহার কথা ৪র্থ ভাগে উক্ত হইবে। ১৬ মৌলভীবাজাবেব মোক্তাব শ্ৰীযুত কুলচন্দ্র দাস হইতে প্রাপ্ত।