পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় কাত্যায়ন গোত্রীয় কথা বাণিয়াচঙ্গ পূৰ্ব্বে একটি ক্ষুদ্র খণ্ডরাজ্যরূপে গণ্য হইয়াছিল, শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের ২য় ভাগ ৩য় খণ্ড ৩য় অধ্যায়ে লাউড় রাজ্যের বিবরণ প্রসঙ্গে তাহা বর্ণিত হইয়াছে। বৰ্ত্তমানে বাণিয়াচঙ্গ তিনটি পরগণাতে বিভাগিত; একটার নাম কসবা বাণিয়াচঙ্গ, ইহার মধ্যেই প্রাচীর-পরিখা-প্রবেষ্টিত প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ বাণিয়াচঙ্গ নগর অবস্থিত। পশ্চিমে ক্ষুদ্র জোয়ার বাণিয়াচঙ্গ নং ২, এবং উত্তরে জোয়ার বাণিয়াচঙ্গ নং ১ বিস্তুত রহিয়াছে শেষোক্তের সীমা সুনামগঞ্জ সবডিভিশনের অন্তর্গত। এ ছাড়া বহু পরগণা ইহা হইতে খারিজ হইয়াছে। বাণিয়াচঙ্গের নামতত্ত্ব পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে। বাণিয়াচঙ্গের উল্লেখ করিতে গেলেই কাত্যায়ন গোত্রীয় ব্রাহ্মণবর্গের কথা আসিয়া পড়ে। ইহারা হিন্দু ও মোসলমান শাখায় বিভক্ত; মোসলমান শাখাতে বাণিয়াচঙ্গের অধিস্বামী দেওয়ানদের উদ্ভব; ইহাদের বিবরণ পূৰ্ব্বাংশে (২য় ভাগে) বিবর্ণিত হইয়াছে। উক্ত ২য় ভাগের চ পরিশিষ্টে বাণিয়াচঙ্গের রাজবংশ তালিকা মুদ্রিত হইয়াছে তাহাতে জানা যায় যে এই মহাবংশ প্ৰবৰ্ত্তক বাণিয়াচঙ্গ-রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রাজ্য কেশব মিশ্রের পুত্রের নাম দক্ষ, তৎপুত্র নন্দনের গণপতি ও কল্যাণ নামে দুই পুত্র হয়, তন্মধ্যে কল্যাণের পুত্র রাজা কৰ্ণ খাঁ। কর্ণখারই এক পুত্র গোবিন্দ খাঁ মোসলমান ধৰ্ম্ম অবলম্বনপূবর্বক হবিব খা নামে খ্যাত হন। গণপতির পুত্ৰ সদাশিব, তাহার নৈ (নয়ী), লক্ষ্মীনাথ ও রূপরাজ খাঁ নামে তিন পুত্র ছিলেন। ইহারা প্রসিদ্ধ ব্যক্তি, ইহাদের মধ্যে নৈ ও রূপরাজের নামে মহল্লা আছে। এই বংশীয় জগদীশ বিদ্যাভূষণ, চাদ খাঁ, ভবানন্দ খা প্রভৃতির নামেও এক একটি পল্লী আছে। রাজ্য কৰ্ণ খাই বাণিয়াচঙ্গে বিভিন্ন বংশীয় ব্রাহ্মণ স্থাপন করিয়া যান। শ্রীযুক্ত গিরিজাপ্রসন্ন বিশ্বাস মহাশয় আমাদিগকে এ কথা জানাইয়া উপকৃত করিয়াছেন। কাশ্যপ গোত্রীয় কথা আদিকথা বাণিয়াচঙ্গের কাশ্যপ গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণ রাঢ়ী শ্রেণীর অন্তর্গত। ইহাদের উপাধি বিশ্বাস চৌধুরী। বাণিয়াচঙ্গাধিপতি গোবিন্দ খাঁর বিবরণ পূৰ্ব্বাংশে কথিত হইয়াছে। গোবিন্দ ঐ দিল্লীতে প্রাণদণ্ডের আদেশ প্রাপ্ত হন ও দৈবানুগ্রহে অব্যাহতি লাভ করেন। এই সময় জাতুকৰ্ণ গোত্রীয় মুরারি বিশারদ ১ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২য় ভাগ ৩য় খণ্ড ৩য় অধ্যায় দেখ।