পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশ দৃষ্ট হয় না। পশ্চিম বঙ্গীয় খ্যাতি বিশিষ্ট ২/৪ বংশও পরিলক্ষিত হইয়া থাকে, যথা ভাড়াউড়ার ওম প্রভৃতি, বিভিন্ন স্থানের ঘোষ প্রভৃতি। তদ্ভিন্ন সম্পূর্ণ বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পন্ন ২/৪ ঘরও দেখা যায়; যথা— লাতুর স্বামী বংশ প্রভৃতি। উপরোক্ত তিন শ্রেণী মূলে থাকিলেও, স্থান ও অবস্থার তারতম্যে সামাজিক এই শ্রেণীভেদ কার্যকর হয় নাই। ফলতঃ শ্ৰীহট্টাদি অঞ্চলে “অবস্থা পূজ্যতে ইতি কথারই উদাহরণ সৰ্ব্বত্র; সুতরাং কে বড় কে মধ্যম বা কে তদপেক্ষা ছোট্ট, পদ্ধতির হিসাবে তন্নিরূপণ নিশ্চিত ও নিরাপদ হইবে না। বৈদ্য জাতি ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র, এই আদি জাতি চতুষ্টয়ের অন্যতম না হইলেও বৈদ্য জাতির উল্লেখ এস্থলেই করিব। বৈদ্য জাতি অন্বষ্ঠ নামে কীৰ্ত্তিত। “অম্বা ক্রোড়জাত ইতি অর্থে অর্থাৎ মাতৃক্রোড় জাত বলিয়া ইহাদের এই নাম। ইহাদের ঈদৃশ নাম ও উৎপত্তি সম্বন্ধে স্কন্দপুরাণীয় মত এই – তপোবলসম্পন্ন গালব ঋষি তীর্থভ্রমণ কালে একদা তৃষ্ণা-কাতর হইয়া দর্শন করিলেন যে, এক অসামান্য রূপবতী নারী বারিপূরিত কুম্ভ কক্ষে মরালগমনে যাইতেছে। মহর্ষি সে সুধাংশুবদনা সদনে বারি প্রার্থনা করিলেন ও তদত্ত সলিলপানে পিপাসা-শান্তিতে সন্তোষ সহকারে বর দিলেন “পুত্রবতী হও”। সে রমণীর নাম বীরভদ্রা। তিনি তৎ শ্রবণে মধুর-বাক্যে উত্তর করিলেন,– “আপনার অব্যৰ্থ বাক্য বিবাহিতা নারীর চিত্তহারী হইলেও কুমারীর পক্ষে লজ্জাকর, আমি অবিবাহিতা কুমারী”। গালব ঋষি তখন বীরভদ্রার পিতৃসকাশে এই বিবরণ বর্ণন করিলে, তিনি র্তাহাকেই কন্যা প্রদান করিলেন। কিন্তু বীরভদ্রা তাহাকে জলদানে প্রাণরক্ষা করিয়াছে এই কারণে প্রাণদাত্রীকে তিনি পত্নীত্বে গ্রহণ করিতে অস্বীকৃত হইলেন। অন্যান্য ঋষি গালবের এই ধৰ্ম্ম সঙ্গত ব্যবহারে তুষ্ট হইলেন। তাহারা বীরভদ্রার ও ঋষিবাক্য রক্ষার এক উপায় করিলেন। বীরভদ্রা হইতে ত্রিলোকের হিতার্থে অমৃতাচায্য ধন্বন্তরির উদ্ভিব হইবে, তপঃপ্রভাবে ঋষিগণ পূৰ্ব্বেই ইহা জ্ঞাত ছিলেন। তাহারা তখন কুশনিৰ্ম্মিত এক কুমারের বেদমন্ত্রে প্রাণ প্রতিষ্ঠা পূৰ্ব্বক বীরভদ্রার ক্রোড়ে স্থাপন করিলেন। মাতৃক্রোড় স্পর্শমাত্র বেদ-মন্ত্র-প্রভাবে সে কুশ-কুমার জীবন প্রাপ্ত হইয়া মানবাকার ধারণ করিল। তখন হষ্টচিত্তে সেই সম্মিলিত ঋষিবর্গ উক্ত শিশুর ধন্বন্তরি এই নাম রাখিয়া তপোবন গমন করিলেন। এই ধন্বন্তরি হইতে বৈদ্যগণের উৎপত্তি।-- মনুসংহিতায় লিখিত আছে যে ব্রাহ্মণ হইতে বৈশ্য কন্যাতে জাতপুত্রই অন্বষ্ঠ।” ১৬. অন্যতর পুরাণের আখ্যায়িকা উল্লেখে প্রবন্ধ কলেবব বৃদ্ধি করা অনাবশ্যক। ১৭. “ব্রহ্মাণদ্বৈকন্যায়াং অম্বষ্টো জায়তে।” মনু ১০ম অধ্যায় ৮ম শ্লোক। “দুহিপিনায়কশ্চায়ু পন্থত্রিপুরকায়ুকাঃ। শিয়ালগয়িরিত্যষ্টেী রাঢ়ে বঙ্গে প্রতিষ্ঠিতাঃ।” দুহি, শিয়াল ও গয়িসেন, আয়ু ও পন্থদাস, ত্রিপুর ও পিনাক ও গুপ্ত এবং কাউ নদী, এই আটজন মুখ |