পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ চতুর্থ খণ্ড L] শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৩১৪ সানন্দরাম দত্ত সেই স্থানে একটি বিস্তুত ভূভাগ লাভ করিয়াছিলেন, ইহার আয়তন দ্বিসহস্র বিঘা ছিল বলিয়া কথিত হয়। সানন্দরাম দত্তের পুত্র শিবানন্দ ও বিপুলানন্দ। শিবানন্দ পরম ধাৰ্ম্মিক ছিলেন। বামৈ পরগণাব নওয়াগাওতে পুরকায়েতন্দি নামে একটা স্থান আছে, শিবানন্দ ঐ স্থানে ইষ্টদেবীর সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেন, ঐ স্থানে এখনও লোকে (সিদ্ধ স্থান জ্ঞনে) পূজারি দিয়া থাকে। শিবানন্দ নিঃসন্তান ছিলেন, লাখাইব দত্ত বংশীয়গণ সকলেই বিপুলানন্দের সন্তান। বিপুলানন্দের ছয় পুত্রের মধ্যে তিন জনই নিঃসন্তান, ষষ্ঠ বা সৰ্ব্ব কনিষ্ঠ পুত্র গোপীনাথ এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন; ইহাব নামে লাখাইর গোপীনাথপুর মৌজার নাম হয়। গোপীনাথেরও ছয়পুত্র হয়, তাহদের পুত্ৰগণের মধ্যে কেহ কেহ দশসনা বন্দোবস্তের সময় জীবিত ছিলেন; উহাদের নামে তালুক বন্দোবস্ত হইয়াছিল। পং লাখাইর ১৩/১৪/১৫/১৬/১৭ নং তালুক দত্তদের নামেই বন্দোবস্ত হইয়াছিল। গোপীনাথের পৌত্রদের মধ্যে অনন্তরাম পূৰ্ব্বোক্ত ১৪ নং তালুকের অধিকারী ছিলেন, ইহার পুত্র চণ্ডীপ্রসাদ, ইনি বলভদ্রপুর গ্রাম স্থাপন করেন। ইহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা ভবানীপ্রসাদ দত্ত, ইংরেজ রাজত্বের প্রথম সময় পরগণার পাটওয়ারি নিযুক্ত হন।" ইনিই লাখাই দত্তবংশের বিবরণ (স্বগীয় ভবানী দত্তের লিপি) লিখিয়া গিযাছেন। বিপুলানন্দের ৪র্থ পুত্র গঙ্গারাম। গঙ্গারামের তিনপুত্রের মধ্যে ২য ও ৩য় পুত্রের নাম সন্তোষ ও বাসুদেব। ইহারা ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ছিলেন ও নিজ নামে দুইটি গ্রাম স্থাপন করেন। বাসুদেবপুবের স্থাপয়িতা বাসুদেবেব পুত্রের নাম কৃষ্ণজীবন দত্ত, ইনি কৃষ্ণপুর নামক গ্রাম স্থাপন করিয়া যশস্বী হন। পূবেবাক্ত সন্তোষ ও বাসুদেবের দুই পৌত্রেব যুগ্মনামে (“আত্মাঅনুপ”) নামে তত্ৰত ৪নং হালাবাদি তালুকের বন্দোবস্ত হয়। অনুপ দত্ত অতি শান্ত প্রকৃতি বিশিষ্ট ও ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তি ছিলেন। লাখাইর দত্ত বংশের এই সংক্ষিপ্ত বিববণ সম্বন্ধে তদ্বংশীয় শ্রাযুক্ত নগেন্দ্ৰ নাথ দত্ত উকীল মহাশয় সহায়তা করিয়া উপকৃত কবিয়াছেন। পরগণা-রিচি দত্ত বংশ কথা শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের ৩য় ভাগ ২য় খণ্ডে উল্লেখিত হইয়াছে যে রিচির দত্তবংশীয়গণ পঞ্চখণ্ডের সুপাতলাবাসী দত্তবংশীয়গণেরই এক শাখা সস্তুত। প্রায় ত্রিশথ বৎসর পূবেবরিচিতে হিন্দু ভদ্রলোকের বড় বাস ছিল না। জনৈক মোসলমান জমিদার তখন রিচির মালিক ছিলেন। হিন্দুর মধ্যে এক ঘর ব্রাহ্মণ, আশাদেব নামে একজন কায়স্থ ও দাসবংশীয় সোণারাম তথায় বাস করিতেন। ইহাদের সামান্য জমিজমা ছিল। মোসলমান জমিদারটি বিলাস-পরতন্ত্র ও আলস্য-পরবশ ছিলেন। ঐ সময়ে কোন অজ্ঞাত কাবণে পঞ্চখণ্ডের জনৈক দত্ত চৌধুরী এই স্থানে আসিয়া বাস করেন; ও বুদ্ধিবলে কতকভূমির অধিকার লাভ করেন। ৫ কালেক্টাণীব প্রাচীন কাগজপত্রে ইহাব স্বাক্ষর দৃষ্ট হয়। সন ১১০৯ বাংলার এলাম ও দশসনা সংক্রান্তপং প্রতাপগডব “মৌজা মিলান” “একওয়াল জমি” নামক, ইহার দস্তখত যুক্তকাগজ আমাদেব হস্তগ৩ ইযাছে।