পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫ জীবন বৃত্তান্ত 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত কিন্তু কুসুমেও কীট থাকে, কুবেরের মনেও সুখ ছিল না; তাহার কারণ লাউড়ে আসিয়া ক্রমান্বয়ে তাহার ছয়টি পুত্র জাত হইয়া অচিরকাল মধ্যে গতায়ু হয়। তাহার পরে একটি কন্যা জ্ঞাত হয়, এতগুলি পুত্রকন্যার মৃত্যু ঘটিলে পিতামাতার মনে কিরূপ ভাবোদয় হয়, তাহা না বলিলেও চলে। কুবেরের আর দশে থাকিতে ইচ্ছা হইল না, তিনি পত্নীর সহিত শান্তিপুরে চলিয়া গেলেন এবং কিছুকাল উভয়ে তথায় সেই স্থানে অবস্থিতি কালে লাভাদেবীর গর্ভ লক্ষণ প্রকাশ পায়, এই গর্ভজাত সন্তানটি বাঁচিবে কি না সন্দেহ হওয়া অস্বাভাবিক নহে, কুবের দৈব লাভাশায় নারায়ণের পূজা ও দরিদ্র সেবায় অনেক ব্যয় করিতে লাগিলেন। এই সময়ে কুবের, রাজা দিব্যসিংহের এক পত্র পাইলেন ও দেশে আসিলেন।” কুবের স্বদেশে আগমন করিয়া প্রতিবাসিবর্গের সহিত প্রথমে সাক্ষাৎ করিলেন, তাহারা সকলেই পরম আনন্দিত হইলেন—“সেই গ্রামের লোক তার সম্মান করিলা।” তার পর রাজার সহিত দেখা হইল, রাজাও হৃষ্টচিত্তে র্তাহাকে গ্রহণ করিলেন। রাজা বলিলেন— শুন্য করি মানি’ ” কুবের কিদৃশ দক্ষ মন্ত্রী ছিলেন, ইহাতেই বুঝা যায়। রাজাকে মন্ত্রী যে উত্তর দিলেন, তাহা এই— “দরিদ্র ব্রাহ্মণে দয়া কর নিরবধি । গঙ্গাতীর পুণ্য ভূমি অতি রম্য স্থান। তাহা হইতে আসিবারে মন নাহি ধায়। তবে যে আইনু চলি তোমার আজ্ঞায়। ঈশ্বর কৃপায় পুন হইল গর্ভাধার। অদৃষ্টের ফল যেই হয় মূৰ্ত্তিমান।”—অদ্বৈত প্রকাশ। রাজা মন্ত্রী-পত্নীর গর্ভের কথা শুনিয়া সুখী হইলেন। বলিলেন—“এবার পুণ্যস্থানে গর্ভ হইয়াছে সন্তান বাচিতে পারে, আপনে বিজ্ঞ চিন্তা পরিহার করিবেন।” - ৩০. বাল্যলীলা সূত্রম। ৩১. বিবাহান্তে ক্রমে তার বহু পুত্র হৈল। পুত্ৰগণ মৈলে তবে বিবেক হইল। তবে গঙ্গাতীরে রম্যে শান্তিপুরে আইল। লাভাসহ কছিদিন তাহা গোঙাইলা একদিন শ্রীকুবের তর্ক পঞ্চানন। আকারে জানিলা লাভার গর্ভের লক্ষণ। হেন কালে রাজপত্রী কুবের পাইলা। বণিতা সহিতে নিজ দেশে চলিলা। —অদ্বৈত প্রকাশ