পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৯ জীবন বৃত্তান্ত 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ঐ সময়ে দৈবক্রমে দিনাজপুরের রাজা গণেশের সহিত র্তাহার দেখা হয়। গণেশ তাহার বুদ্ধির তীক্ষতা ও বিদ্যাবত্তা দর্শনে বিমোহিত হইয়া তাহাকে তার স্বীয় মন্ত্ৰীপদ প্রদান করিতে ইচ্ছুক হন। নৰসিংহ রাজাকে কন্যাদায়ের কথা জানাইয়া বলিলেন যে মধ্যগ্রাম নিবাসী মধুসূদন মৈত্রকে কন্যাদানে তিনি সঙ্কল্পবদ্ধ হইয়াছেন, তাহা না করিয়া তিনি কাৰ্য্যাস্তরে বৃত হইবেন না রাজা তদীয় সঙ্কল্প শ্রবণে আশ্বাস দিয়া বলিলেন যে বিবাহের ব্যয় তিনিই বহন করিবেন।” ইহার পর নরসিংহ ধনরত্ন ও কন্যাদি সহ এক নীেকারোহণ করিলেন এবং মধুমৈত্রের গ্রামে গিয়া নদীর মধ্যে বাস করিতে লাগিলেন। পরদিন মধু প্রাতঃসন্ধ্যা করিতে গিয়া সেই নৌকা দেখিতে পাইলেন ও কোথা হইতে নৌকা আসিয়াছে এবং নৌকাতেই বা কে আছেন, জিজ্ঞাসিলেন। তখন নরসিংহ অগ্রসর হইয়া মধুমৈত্রকে বলিলেন, ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণই গতি, আপনার ঘাটে আসিয়াছি, কন্যাদায় হইতে রক্ষা করুন, নতুবা স্ত্রী ও কন্যা এবং শ্রীচক্রাদি সহ ডুবিযা মরিব।” নরসিংহ তৎপর তাহাকে স্বীয় নৌকায় উঠাইলেন ও রূপবতী তনয়াদ্বয় সহ বহু অর্থ তাহার সম্মুখে উপস্থিত করিলেন। মধুমৈত্র তখন যুবক নহেন যে রমণীর রূপে উন্মত্ত হইবেন কিন্তু তিনি স্ত্রীবধের ভাগী হইবেন, ব্রহ্মবধের পাতক তাহার ঘাড়ে হয়তঃ পতিত হইবে ইহা ভাবিযাই ভীত হইলেন ও বহু পরিমিত ধন সহ কন্যাদ্বয় গ্রহণ করিলেন। বিবাহ হইয়া গেল। কিন্তু ইহাতে এক বিভ্ৰাট ঘটিল, মধুর পুত্ৰগণ ইহাতে প্রতিবাদী হইয়া পিতাকে ত্যাগ কবিল, মধু সমাজ-বজ্জিত হইলেন। মধুর ভগিনীপতি ধৈএী বাগচী কুলীন-প্রধান ছিলেন। ধৈঞীর এক নিমন্ত্রণে একদা মধু যোগ না দেওয়াতে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটিয়াছিল। আজ এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় পড়িযা মধু ভগিনীপতির শরণ না লইয়া থাকিতে পারিলেন না। মধুর বশ্যতা স্বীকার বিফলে গেল না। যখন মধুর বাৎসরিক পিতৃশ্ৰাদ্ধ উপস্থিত হইল, তখন ধৈএী বাগচী সেই শ্রাদ্ধে উপস্থিত হইয়া ভোজন করিলেন। তদ্ব্যতীত তিনি মধুর পুত্রগণকে ডাকিয়া অনেক সে কারণে তোমাকে কবি হেয় জ্ঞান। মধুমৈত্র যদি কন্যা সমপিত পাব। আমরা মিলিযা পূজা কবিব তোমার। — প্রেমবিলাস ৬৭. “বাজাব সঙ্গে হইল কথোপকথন । নুসিংহের মনোভাব রাজা কবিল গ্রহণ1 বাজা বলে মন্ত্রিত্ব পদ গ্রহণ কব তুমি। বিবাহেব যত বায় সব দিব আমি।” তখন—“নরসিংহ মস্তিত্ব পদ স্বীকাব করিল। বিবাহের যত ব্যয় সব রাজা দিল।”— ঐ ৬৮ “ধনবত্ব পাইয়া নরসিংহ মহামতি। স্ত্রীপুত্র কন্যাদ্বয় লইয়া সংহতি। নৌকায় চড়িয়া মাঝ গাঙ্গে চলি গেল।” “নবসিংহ বলে যদি কন্যা নাহি লও। সবংশে মবিব তুমি ব্ৰহ্মঘাতি হও। —ঐ